ETV Bharat / state

রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা, সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

author img

By

Published : Dec 16, 2019, 6:01 PM IST

রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে । যার মধ্যে একটি মামলার জরুরি ভিত্তিতে আজই শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । সেখানে আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পর রাজ্য সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি ।

High Court
হাইকোর্ট

কলকাতা 16 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 পাশ হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চলছে । আর তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার । এই অভিযোগেই আজ দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে । যার মধ্যে একটি মামলার জরুরিভিত্তিতে আজই শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে । সেখানে আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পর রাজ্য সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি । আগামী বুধবার রাজ্য সরকারকে দিতে হবে এই রিপোর্ট । আর ওই দিনই এই জনস্বার্থ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি ।

রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেললাইনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন । ভাঙচুর করা হয়েছে স্টেশনে । বিভিন্ন জেলায় চলতে থাকা এই বিক্ষোভের পিছনে কিছু প্রশাসনিক ব্যক্তিদের ইন্ধনও রয়েছে । আজ এই অভিযোগে সুরিজিৎ সাহা নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন । তাঁর এই মামলার আজ জরুরিভিত্তিতে শুনানি হয় । মামলাকারীর আইনজীবী স্বরজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "12 ডিসেম্বর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন পাশ হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে । এখানেই রাজ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ । কলকাতা সহ হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিদের ইন্ধনে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হচ্ছে । নষ্ট হচ্ছে কেন্দ্রীয় সম্পত্তি । অথচ এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই । কেন্দ্র সরকার যে আইন পাশ করেছে সেটা মেনে নেওয়াই রাজ্যের একমাত্র কাজ । না হলে সংবিধানের সার্বভৌম কাঠামো ভেঙে পড়বে । তাই অবিলম্বে যে সন্ত্রাসমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । ইচ্ছাকৃতভাবে এই সন্ত্রাসমূলক আবহ তৈরি করা হয়েছে । রাজ্যের সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্যের দায়িত্ব । কিন্তু সেই কাজে রাজ্য সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে । "

অন্যদিকে এই একই কারণ দেখিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সুমন ভট্টাচার্য নামে আরও এক ব্যক্তি । এই ব্যাপারে সুমন ভট্টাচার্যর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ এখন জ্বলছে । ফিরহাদ হাকিম একজন জনপ্রতিনিধি । কিন্তু তিনি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বললেন, এটা আপনারা এমন কাজ করবেন না । কারণ এতে BJP-র সুবিধা হবে । 70 শতাংশ লোক অমিত শাহের পক্ষে চলে যাবে । ফলে 30 শতাংশ লোক উত্তরপ্রদেশের মানুষের মতো হয়ে যাবে । "

রাজ্যের তরফে আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, "আমাদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে আগামী বুধবারের মধ্যে । আমরা ওই দিন রিপোর্ট দেব । আবার শুনানি হবে ।"

কলকাতা 16 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 পাশ হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চলছে । আর তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার । এই অভিযোগেই আজ দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে । যার মধ্যে একটি মামলার জরুরিভিত্তিতে আজই শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে । সেখানে আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পর রাজ্য সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি । আগামী বুধবার রাজ্য সরকারকে দিতে হবে এই রিপোর্ট । আর ওই দিনই এই জনস্বার্থ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি ।

রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেললাইনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন । ভাঙচুর করা হয়েছে স্টেশনে । বিভিন্ন জেলায় চলতে থাকা এই বিক্ষোভের পিছনে কিছু প্রশাসনিক ব্যক্তিদের ইন্ধনও রয়েছে । আজ এই অভিযোগে সুরিজিৎ সাহা নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন । তাঁর এই মামলার আজ জরুরিভিত্তিতে শুনানি হয় । মামলাকারীর আইনজীবী স্বরজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "12 ডিসেম্বর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন পাশ হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে । এখানেই রাজ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ । কলকাতা সহ হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিদের ইন্ধনে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হচ্ছে । নষ্ট হচ্ছে কেন্দ্রীয় সম্পত্তি । অথচ এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই । কেন্দ্র সরকার যে আইন পাশ করেছে সেটা মেনে নেওয়াই রাজ্যের একমাত্র কাজ । না হলে সংবিধানের সার্বভৌম কাঠামো ভেঙে পড়বে । তাই অবিলম্বে যে সন্ত্রাসমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । ইচ্ছাকৃতভাবে এই সন্ত্রাসমূলক আবহ তৈরি করা হয়েছে । রাজ্যের সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্যের দায়িত্ব । কিন্তু সেই কাজে রাজ্য সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে । "

অন্যদিকে এই একই কারণ দেখিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সুমন ভট্টাচার্য নামে আরও এক ব্যক্তি । এই ব্যাপারে সুমন ভট্টাচার্যর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ এখন জ্বলছে । ফিরহাদ হাকিম একজন জনপ্রতিনিধি । কিন্তু তিনি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বললেন, এটা আপনারা এমন কাজ করবেন না । কারণ এতে BJP-র সুবিধা হবে । 70 শতাংশ লোক অমিত শাহের পক্ষে চলে যাবে । ফলে 30 শতাংশ লোক উত্তরপ্রদেশের মানুষের মতো হয়ে যাবে । "

রাজ্যের তরফে আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, "আমাদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে আগামী বুধবারের মধ্যে । আমরা ওই দিন রিপোর্ট দেব । আবার শুনানি হবে ।"

Intro:
কলকাতা 16 ডিসেম্বর:
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর কোটা রাজ্যজুড়ে যে তাণ্ডব চলছে তার ফলে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের। বিরুদ্ধে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে একটি মামলা আর জরুরী ভিত্তিতে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি আগামী বুধবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন। বুধবারই ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।


Body:নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর গোটা রাজ্যে যে সন্ত্রাসের আবহে তৈরি হয়েছে তার দায় রাজ্যের। রাজ্যের মানুষকে পরিকল্পিতভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। এই দাবিতে আজ কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সুরজিৎ সাহা নামে এক ব্যক্তি। তার তরফে আইনজীবী সরজিত রায়চৌধুরী জানালেন আমাদের মূল দাবি হচ্ছে," 12 ই ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয়ে যাওয়ার পর সারারাত যে মূলত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে। এখানে রাজ্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কলকাতাসহ হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা ,দক্ষিণ 24 পরগনা ,মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের ইন্ধনে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। এমনভাবে কেন্দ্রীয় সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে অথচ এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের তরফে এখনো পর্যন্ত কোন এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। কেন্দ্র সরকার যে আইন পাস করেছে সেটা মেনে নেওয়াই রাজ্যের একমাত্র কাজ। নাহলে সংবিধানের সার্বভৌম কাঠামো ভেঙে পড়বে। তাই অবিলম্বে যে সন্ত্রাসমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে করতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবেই সন্ত্রাসমূলক আবহ তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্যের দায়িত্ব। কিন্তু সেই কাজে রাজ্য সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যাপারে রাজ্যের কাছে আগামী বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা দুটোর সময় এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পাশাপাশি সুমন ভট্টাচার্য নামে আরও এক ব্যক্তি আলাদা আরো একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই ব্যাপারে সুমন ভট্টাচার্যর আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তেওয়ারি জানালেন," পশ্চিমবঙ্গ এখন জ্বলছে। ফিরহাদ হাকিম একজন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু তিনি ভিডিও পাবলিশ করে বললেন এটা আপনারা করবেন না। কারণ এতে বিজেপি সুবিধা হবে। উনার উচিত ছিল বলা যেটা করবেন না কারণ এটা অন্যায়। 70% লোক অমিত শাহের পক্ষে চলে যাবে ।ফলে 30% লোক ইউপির মত হয়ে যাবে ।প্রতিবাদ করতে পারবে না। একজন মন্ত্রী হয়ে কিভাবে বলেন একটা সেন্ট্রাল আইন পশ্চিমবঙ্গের লাভ হতে দেবেন না। ওনার বক্তব্যের পর থেকে দেখা যাচ্ছে ঝামেলা আরো বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছি। অবিলম্বে ওনাকে আটক করার দাবি জানানো হয়েছে আমাদের তরফ থেকে যাতে এই ঝামেলা আরো না ছড়িয়ে পড়ে।"

রাজ্যের তরফ এ আইনজীবী অর্ক নাগ জানালেন," "আমাদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে আগামী বুধবার আমরা রিপোর্ট দেব ঐদিন আবার শুনানি হবে।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.