কলকাতা, 17 জুলাই: এবার নবান্নতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সদ্য মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া পাঁচজনের পরিবার। সোমবার স্বাস্থ্য দফতরে গিয়েও কোনও লাভ না-হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত ৷ সম্প্রতি খিদিরপুরের প্রসূতি সদনের বিরুদ্ধে বড়সড় চিকিৎসার গাফিলতি তুলেছিল পাঁচ প্রসূতির পরিবার। গত 10 জুন ওই পাঁচ প্রসূতি ওই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের নর্মাল ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চিকিৎসক সিজারিয়াল ডেলিভারি করার কথা জানান। সেইমতো প্রসব হওয়ার পরেই আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পাঁচ প্রসূতি। প্রচণ্ড জ্বরে ভুগতে থাকেন তাঁরা। তারপরে জানা যায় তাঁদের কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালে শুরু হয় ডায়ালিসিস। তবে পরিবারের অভিযোগ, কীভাবে কিডনি নষ্ট হল? কেন সিজার করা হল? কতদিন চলবে ডায়ালিসিস? তা নিয়ে কোনও কিছুই ডাক্তার বা এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে না। বাইরে থেকে ডায়ালিসিস করানোর এত খরচ ওই দরিদ্র পরিবারগুলি কীভাবে বহন করবে। এখন যদি সেখানে না-রেখে বাড়িতে রাখা হয় তাও সম্ভব না। সেই নিয়ে রোগীর পরিবার ভীষণভাবে চিন্তিত।
ইতিমধ্যে রোগীর পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। তবে এবার স্বাস্থ্য দফতরে এই বিষয়ে ডেপুটেশন দিয়ে এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে পরিবার। সোমবার সেই মতো তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরেও যান। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কেউ দেখা না-করায় অবশেষে ফিরে যান তাঁরা। ওই পাঁচ জন মহিলার পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে থানায় গিয়েছিলাম। তারপর মেয়রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।"
তাঁরা আরও বলেন, "এবার ভেবেছিলাম স্বাস্থ্য দফতরের কাছে তদন্তের জন্য বলব। কিন্তু তারা রাজি হয়নি কথা বলতে। তাই একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই যাব ৷ কারণ তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যদি তাতেও লাভ না-হয় তাহলে আমরা আদালতে যাব। হঠাৎ করে পাঁচজনের কিডনি বিকল হয়ে যাবে একদিনে সেটা সম্ভব নয়। আমরা কেউ এই পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানতাম না ৷ যদি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে লাগে সেটা আমাদের পক্ষে করাও সম্ভব নয়। তাই সরকারের থেকে আমরা আর্থিক সাহায্য চাইছি এবং এই সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত চাইছি।"
আরও পড়ুন: মেটার্নিটি হোমে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, মেয়রের দ্বারস্থ রোগীর পরিবার