কলকাতা, 29 মে: কলকাতায় এখন দুটি কাকু । একজন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । অন্যজন হলেন কালীঘাটের কাকু ৷ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । দীর্ঘ কয়েক মাস পর সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বন্দি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করার পর এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবীরা । অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঠিক কী সম্পর্ক ছিল সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথা বলেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি, তাঁরা দাবি করেন যে, অর্পিতা কোনওভাবেই দুর্নীতির ঘটনা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেন না ৷
প্রসঙ্গত, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার সোমবার আদালতে বলেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার কোনও রকমের দুর্নীতির সম্পর্ক ছিল না । অর্পিতার সেই দাবিকে নস্যাৎ করার জন্য এ দিন আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে আইনজীবীরা বলেন, কলকাতায় এখন দুটি কাকু । একজনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ অন্যজন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক কতটা গভীর, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে । পার্থর 31টি এলআইসি পলিসিতে নমিনি হিসেবে রয়েছে অর্পিতার নাম ৷ ইডির আইনজীবীরা জানান, সেই নমিনিতে পার্থকে অর্পিতার কাকু বলে উল্লেখ করা রয়েছে ৷
দীর্ঘ কয়েক মাস পর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এ দিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা এ দিন অর্পিতাকে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের সুরক্ষাবলে আদালতে পেশ করেন । এ দিন আদালতে অর্পিতার আইনজীবীদের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটকে কাজে লাগিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর যে ভূমিকা রয়েছে, সেই ভূমিকা ছিল না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা নগদ এবং কোটি টাকার সোনার গয়না । এরপরে এই মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা । এই ঘটনার পর থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলতে থাকে ৷
আরও পড়ুন: পার্থর 31 এলআইসি পলিসির নমিনি অর্পিতা, তিনি আগে কেন অভিযোগ করেননি ? প্রশ্ন ইডির