ETV Bharat / state

কোরোনায় মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা : তন্ময় ভট্টাচার্য

লকডাউনে রাজ্যের অনেকেরই অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে ৷ বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে ৷ তার মাঝেও কোরোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা ।

Kolkata
তন্ময় ভট্টাচার্য
author img

By

Published : May 1, 2020, 1:28 AM IST

কলকাতা , 30 এপ্রিল : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। অস্তিত্বহীন ক্লাবকে মুখ্যমন্ত্রী টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি । অথচ রাজ্যের মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । কিন্তু এখনও তিনি কোরোনা ভাইরাসে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন । চোর, ডাকাতের সরকার বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন এই CPI(M) বিধায়ক ।


দেশের সরকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে । মেহুল চোকসি , বিজয় মালিয়া এদেশের টাকা মেরে বিদেশে পালিয়ে গেল । শত শত কোটি টাকার মালিকদের কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিল দেশের সরকার । এই সরকারের শাসনকালে দেশে না খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে । স্বাধীনতার পর থেকে রেকর্ড পরিমাণ বেকারত্ব বেড়েছে ভারতে । এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রের অনুসরণে রাজ্যকে চালাবার চেষ্টা করছেন ৷ তাই অস্তিত্বহীন ক্লাবগুলিকে এই সময় টাকা দিচ্ছেন । অথচ দরিদ্র মানুষের দু'বেলা অন্ন জুটছে না । অন্যদিকে , বেকারত্বের হার গগনচুম্বী । বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন , 40 কোটি ভারতবাসী অনাহারের তালিকায় চলে যাবেন । ইতিমধ্যেই বেকারত্বের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে ।

এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তুলনা টেনে তন্ময় ভট্টাচার্য জানালেন , মুখ্যমন্ত্রী মহামারীর সময় মানুষকে আশ্বস্ত করছেন গুজবে কান দেবেন না । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় 59 টি হাসপাতালে কোরোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন । আরও কিছু হাসপাতালে কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন । কিছুদিন পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন , বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হতে গেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে লিখিয়ে আনতে হবে যে তার শরীরে কোরোনার জীবাণু নেই । রাজ্যের প্রায় লক্ষাধিক শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত । ডিপথেরিয়া, পোলিওর ভ্যাকসিন বন্ধ । কয়েক লাখ ক্যান্সার রোগী , ডায়াবেটিস রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না । ম্যালেরিয়া , টিবি , হিমোফিলিয়া , থ্যালাসেমিয়ার রোগীরা রক্তের অভাবে মৃত্যুর মুখে । ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি শূন্য । সামাজিক রক্তদানের অনুমতি নেই । মুখ্যমন্ত্রী কেবল এই কঠিন পরিস্থিতিতেও ক্লাবকে অর্থ বিলিয়ে যাচ্ছেন । সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই চিকিৎসকদের । ইতিমধ্যে কোরোনা ভাইরাসে দুইজন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন । রাজ্যে কোনও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই বলে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য ।

সবমিলিয়ে সাড়ে নয় কোটি জনসংখ্যার জন্য মাত্র 200 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন । 100 কোটি টাকা খরচ করেছেন বিজ্ঞাপনে । বাকি 100 থেকে কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলা এবং ক্লাবকে অর্থবিলি । ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার । রাজ্যের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ।

কলকাতা , 30 এপ্রিল : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। অস্তিত্বহীন ক্লাবকে মুখ্যমন্ত্রী টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি । অথচ রাজ্যের মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । কিন্তু এখনও তিনি কোরোনা ভাইরাসে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন । চোর, ডাকাতের সরকার বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন এই CPI(M) বিধায়ক ।


দেশের সরকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে । মেহুল চোকসি , বিজয় মালিয়া এদেশের টাকা মেরে বিদেশে পালিয়ে গেল । শত শত কোটি টাকার মালিকদের কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিল দেশের সরকার । এই সরকারের শাসনকালে দেশে না খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে । স্বাধীনতার পর থেকে রেকর্ড পরিমাণ বেকারত্ব বেড়েছে ভারতে । এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রের অনুসরণে রাজ্যকে চালাবার চেষ্টা করছেন ৷ তাই অস্তিত্বহীন ক্লাবগুলিকে এই সময় টাকা দিচ্ছেন । অথচ দরিদ্র মানুষের দু'বেলা অন্ন জুটছে না । অন্যদিকে , বেকারত্বের হার গগনচুম্বী । বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন , 40 কোটি ভারতবাসী অনাহারের তালিকায় চলে যাবেন । ইতিমধ্যেই বেকারত্বের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে ।

এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তুলনা টেনে তন্ময় ভট্টাচার্য জানালেন , মুখ্যমন্ত্রী মহামারীর সময় মানুষকে আশ্বস্ত করছেন গুজবে কান দেবেন না । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় 59 টি হাসপাতালে কোরোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন । আরও কিছু হাসপাতালে কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন । কিছুদিন পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন , বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হতে গেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে লিখিয়ে আনতে হবে যে তার শরীরে কোরোনার জীবাণু নেই । রাজ্যের প্রায় লক্ষাধিক শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত । ডিপথেরিয়া, পোলিওর ভ্যাকসিন বন্ধ । কয়েক লাখ ক্যান্সার রোগী , ডায়াবেটিস রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না । ম্যালেরিয়া , টিবি , হিমোফিলিয়া , থ্যালাসেমিয়ার রোগীরা রক্তের অভাবে মৃত্যুর মুখে । ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি শূন্য । সামাজিক রক্তদানের অনুমতি নেই । মুখ্যমন্ত্রী কেবল এই কঠিন পরিস্থিতিতেও ক্লাবকে অর্থ বিলিয়ে যাচ্ছেন । সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই চিকিৎসকদের । ইতিমধ্যে কোরোনা ভাইরাসে দুইজন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন । রাজ্যে কোনও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই বলে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য ।

সবমিলিয়ে সাড়ে নয় কোটি জনসংখ্যার জন্য মাত্র 200 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন । 100 কোটি টাকা খরচ করেছেন বিজ্ঞাপনে । বাকি 100 থেকে কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলা এবং ক্লাবকে অর্থবিলি । ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার । রাজ্যের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.