কলকাতা, 30 জানুয়ারি: দেউচা পাচামি (New PSs in Deucha Pachami) নিয়ে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা (Cabinet Meeting Decision)। এ দিন দেউচার মহম্মদ বাজার থানা ভেঙে মহম্মদ বাজার, রামপুর এবং দেউচা এই তিনটি থানা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । মূলত দেউচা পাচামি এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে ।
সম্প্রতি বিশৃঙ্খলার কিছু ঘটনা ঘটেছে: এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজ্য মোটা লাভের অংক ঘরে তুলতে পারবে । একইসঙ্গে রয়েছে বিপুল কর্মসংস্থান এবং অনুসারী শিল্প পরিকাঠামো বিস্তারের সুযোগ । আর সে কারণে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়িত করার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু স্থানীয় একাংশের আন্দোলন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ইন্ধন কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে । একাধিক বিশৃঙ্খলার ঘটনাও সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকা থেকে এসেছে ।
নতুন থানার গঠন তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত: এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবেই দেউচা এলাকায় দুটো নতুন থানা গঠন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আয়নশৃঙ্খলার স্বার্থে নয়া থানা গঠনের কথা বলা হলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এর পেছনে সরকারের মূল উদ্দেশ্য হল পুলিশ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা ।
আরও পড়ুন: 'জল জঙ্গল জমির অধিকার ছাড়ব না !' দেউচা পাচামিতে আন্দোলনে ধার আদিবাসীদের
প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে তৎপর সরকার: উল্লেখ্য, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হল এই দেউচা । মহম্মদ বাজারের হরিণ সঙ্গা মৌজায় একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই কয়লা খনি । এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য প্রায় 35 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে দেউচা পাচামিতে । সরকারের তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী 100 বছর বিদ্যুতের কোনও সংকট হবে না । বরং বিদ্যুৎ সস্তা হয়ে যাবে ।
ক্ষতিপূরণ ও চাকরির ঘোষণার পরও অশান্তি: ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঘোষণা করেছে যে, বলপূর্বক জমি অধিগ্রহণ হবে না এখানে । বরং আলোচনার মাধ্যমে জমিদাতাদের সঙ্গে নিয়েই প্রকল্প রূপায়িত হবে । ইতিমধ্যেই প্রকল্পের জন্য ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ এবং পরিবার পিছু একজনের চাকরির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার । কিন্তু এরপরেও ওই এলাকায় অশান্তি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট সরকার: নবান্নের কাছে রিপোর্ট, বহিরাগত কিছু মানুষের ইন্ধনে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে । আর এই অবস্থাতে নতুন থানা গঠন করে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করল রাজ্য সরকার । রাজনৈতিক মহল বলছে, অনুব্রত বিহীন বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুহূর্তে ভরসাস্থল হল পুলিশ । আর সে কারণেই নতুন থানা তৈরি করে এখানে তাদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ।