কলকাতা, 15 এপ্রিল : তিনদিনে সাতজন কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে বেলগাছিয়া বস্তি থেকে ৷ তারপর থেকেই উদ্বেগে রাজ্য প্রশাসন ৷ বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপরই কার্যত ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেওয়া হয় বস্তিটিকে ৷ পাঠানো হয় বিশেষ মেডিকেল টিম ৷
এশিয়ার মধ্যে সবথেকে বড় বস্তি মুম্বইয়ের ধারাভি নিয়ে চিন্তিত মহারাষ্ট্র প্রশাসন ৷ সেখানে ইতিমধ্যে 47 জন কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে ৷ চারজনের মৃত্যুও হয়েছে ৷ মুম্বইয়ের বস্তিগুলিতে 271 জনকে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ অত্যন্ত ঘিঞ্জি বস্তি হওয়ায় কোরোনা সংক্রমণ ঠেকানোর রাজ্য প্রশাসনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ একই অবস্থা বেলগাছিয়া বস্তিতেও ৷ কয়েকদিন আগে এই বস্তির এক বৃদ্ধার কোরোনায় মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁর আত্মীয়-পরিজন-সহ 14 জনকে পাঠানো হয়েছে রাজারহাট কোয়ারান্টাইনে ৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে অন্তত 50 জনকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ ওই বস্তিতে শেষ কয়েকদিনে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের পরীক্ষা করে দেখতে চাইছে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল ৷

বস্তি থেকে কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ বাইরে না ছড়াতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ৷ বস্তিবাসীর মধ্যে যাঁদের সংক্রমণ হয়েছে বা যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন কিনা গেলে কোথায় গিয়েছিলেন সব বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন ৷ আগামী 15দিন বস্তিবাসীদের শারীরিক পরীক্ষা করবে চিকিৎসকদের ওই দল ৷