জলপাইগুড়ি, 19 জুন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে মারধর করে চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগে ধৃত সাতজনকে গতকাল জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয় ।
অভিযোগ, 14 জুন রাতে স্থানীয় বেতগাড়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু রায়ের এক বন্ধু তাঁর বাড়িতে আসেন । প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করেন দীনবন্ধু সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ৷ তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে একজন যুবক রাতে তাঁর বাড়িতে আসায় মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে প্রতিবেশীরা । এরপর তারা ওই যুবক ও মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধর করে । পরে পুলিশের হাতে দু'জনকে তুলে দেওয়া হয় । 15 জুন পর্যন্ত ময়নাগুড়ি থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না করার কারণে যুবক ও মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন : গদ্দার সুনীল মণ্ডলের তৃণমূলে ঠাঁই নাই, জামালপুরে ফ্লেক্স তৃণমূলের
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা থানাতে এসে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছিল ৷ থানা থেকে বাপের বাড়িতে গিয়ে একরাত থাকার পর গতকাল স্বামীর সঙ্গে বেতগাড়ার বাড়িতে আসেন ৷ মহিলার স্বামীর অভিযোগ, সেখানে স্থানীয় মহিলারা তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়, বিবস্ত্র করে মারধর করে, এরপর মহিলার চুল কেটে দেয় স্থানীয় মহিলারা ৷ গতকাল ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ 11 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন দীনবন্ধু রায় । পুলিশ তদন্তে নেমে 7 জনকে গ্রেফতার করেছে ।
জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, "গতকাল ময়নাগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ জমা পড়ে গৃহবধূকে স্থানীয়রা মারধর করে চুল কেটে দিয়েছে । আমরা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছি । তার মধ্যে তিন জন মহিলা ও চার জন পুরুষ । এছাড়া যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে তা খতিয়ে দেখে আমরা বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি । সবাইকে গ্রেফতার করা হবে ।"
জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের এপিপি সিন্ধু রায় জানান ময়নাগুড়ির ধৃত 7 জনকে আজ সিজেএম আদালতে তোলা হয়েছিল । চার জনের জেল হেফাজত হয়েছে এবং তিনজন মহিলা জামিন পেয়েছেন ।