ETV Bharat / state

নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের চেষ্টা, আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের - LIFE IMPRISONMENT IN RAPE CASE

ঘটনাটি ঘটেছিল 2021 সালে জুন মাসে ৷ নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও ওড়না দিয়ে খুনের চেষ্টা করে ওই আসামী ।

life imprisonment in Rape case
নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আসামীর (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

চন্দননগর, 21 ডিসেম্বর: নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করার চেষ্টা । আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল চন্দননগর আদালত ৷ এই মামলার বৃহস্পতিবার দোষী সাবস্ত করা হয় পার্থ চৌধুরী ওরফে ঘণ্টাকে । শুক্রবার চন্দননগর অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক মানবেন্দ্র সরকার তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল 2021 সালে জুন মাসে ৷ নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও ওড়না দিয়ে খুনের চেষ্টা করে ওই আসামী । পরে নাবালিকাকে ড্রেনে ফেলে স্ল্যাব চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় । ঘটনার দুদিন পরে মেয়েটির জ্ঞান ফেরে ৷ স্থানীয় এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তার আওয়াজ শুনতে পায় ৷ এরপর ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয় । তাকে হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি কর হয় । পরে পরিবার ও নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ পার্থ ওরফে ঘণ্টাকে গ্রেফতার করে ।

স্পেশাল পাবলিক পসিকিউটার অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী (ইটিভি ভারত)

এই মামলার সরকারি আইনজীবী (স্পেশাল পাবলিক পসিকিউটর) অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী বলেন, "2021 সালের 15 জুন মোবাইল রিচার্জ করতে বেরিয়েছিল বছর পনেরোর নাবালিকা । মেয়েটির পূর্ব পরিচিত পার্থ চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় । পার্থ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও নাবালিকাকে উত্যক্ত করত । তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিত । নাবালিকা তাতে রাজি হয়নি । তাই জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায় ।"

তাঁর কথায়, "চন্দননগরের এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে পার্থ । নাবালিকা বাধা দিলে তার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করা হয় । নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে পার্থ মনে করে সে মারা গিয়েছে । তাই তাকে একটি নর্দমায় ফেলে রেখে স্ল্যাব চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় সে । সেখানেই 48 ঘণ্টা পড়ে থাকে নাবালিকা । দুদিন পর স্থানীয় এক ব্যক্তি নাবালিকাকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন । নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।"

আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন মনোহর বাগ ৷ তিনি তদন্ত করে পার্থ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেন । তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা, তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং পকসো আইন-সহ একাধিক মামলা রুজু করা হয় । এরপর দোষী সাবস্ত হওয়ার পর চন্দননগর অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক পার্থ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ।

চন্দননগর, 21 ডিসেম্বর: নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করার চেষ্টা । আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল চন্দননগর আদালত ৷ এই মামলার বৃহস্পতিবার দোষী সাবস্ত করা হয় পার্থ চৌধুরী ওরফে ঘণ্টাকে । শুক্রবার চন্দননগর অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক মানবেন্দ্র সরকার তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল 2021 সালে জুন মাসে ৷ নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও ওড়না দিয়ে খুনের চেষ্টা করে ওই আসামী । পরে নাবালিকাকে ড্রেনে ফেলে স্ল্যাব চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় । ঘটনার দুদিন পরে মেয়েটির জ্ঞান ফেরে ৷ স্থানীয় এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তার আওয়াজ শুনতে পায় ৷ এরপর ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয় । তাকে হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি কর হয় । পরে পরিবার ও নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ পার্থ ওরফে ঘণ্টাকে গ্রেফতার করে ।

স্পেশাল পাবলিক পসিকিউটার অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী (ইটিভি ভারত)

এই মামলার সরকারি আইনজীবী (স্পেশাল পাবলিক পসিকিউটর) অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী বলেন, "2021 সালের 15 জুন মোবাইল রিচার্জ করতে বেরিয়েছিল বছর পনেরোর নাবালিকা । মেয়েটির পূর্ব পরিচিত পার্থ চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় । পার্থ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও নাবালিকাকে উত্যক্ত করত । তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিত । নাবালিকা তাতে রাজি হয়নি । তাই জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায় ।"

তাঁর কথায়, "চন্দননগরের এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে পার্থ । নাবালিকা বাধা দিলে তার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করা হয় । নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে পার্থ মনে করে সে মারা গিয়েছে । তাই তাকে একটি নর্দমায় ফেলে রেখে স্ল্যাব চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় সে । সেখানেই 48 ঘণ্টা পড়ে থাকে নাবালিকা । দুদিন পর স্থানীয় এক ব্যক্তি নাবালিকাকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন । নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।"

আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন মনোহর বাগ ৷ তিনি তদন্ত করে পার্থ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেন । তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা, তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং পকসো আইন-সহ একাধিক মামলা রুজু করা হয় । এরপর দোষী সাবস্ত হওয়ার পর চন্দননগর অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক পার্থ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.