হুগলি, 6 নভেম্বর: হুগলি ও বর্ধমান জেলায় ডিভিসি'র উপর একাধিক ব্রিজের বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরেই। একাধিক অভিযোগ ছিল মানুষের। বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে যাওয়ার পথে পরে বৈঁচি ডিভিসি ব্রিজ। কিন্তু পাঁচ বছর থেকে সেটাও চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরে আছে। এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ব্রিজের বেহাল দশা নিয়ে ইটিভি ভারতে খবর প্রকাশিত হয় ৷ এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৃণমূলের জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ব্রিজ তৈরির আশ্বাসও দেন।
তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য মানস মজুমদার জয়ের পরই তৎপর হন। সেই অনুযায়ী বিভাগীয় মন্ত্রীর কাছে আবেদন করে নতুন ব্রিজ তৈরির আশ্বাস দেন। সোমবার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য আধিকারিকরা বৈঁচী ডিভিসিতে হাজির হয়েছিলেন। পূর্ত দফতরের প্ল্যানিং বিভাগের আধিকারিক ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ভবানী ভবন থেকে ব্রিজটি পরিদর্শন করতে আসেন। তারা জানান ডিপিআর তৈরি করে দেওয়ার পর টাকা অনুমোদন হলেই ব্রিজটি নতুন করে তৈরি হবে।
পূর্ত দফতরের হুগলি ডিভিশনের বাঁশবেড়িয়া হাইওয়ে সাব ডিভিশন 1-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক বেরা বলেন, "আজকে সার্ভে করা হয়েছে।ব্রিজটি নতুন করে করতে হবে। তার প্রস্তাব এসেছে।" বৈঁচি ডিভিসি খালের উপর ব্রিজ দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে আছে। ভারী যান চলাচল বন্ধ ৷ 13 নম্বর রুটের বাসও বন্ধ গত তিন বছর ধরে ৷ গুরাপ কালনা রোডের সঙ্গে জাতীয় সড়ক ও কয়েকটি রাজ্য সড়কের যোগাযোগ। কয়েকটি গ্রামের মানুষের বৈঁচী স্টেশন যেতেও ভরসা এই ব্রিজ।
আরও পড়ুন: 'সন্দেহ যখন হয়েছে, তদন্ত করুক !' পৌরনিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তৎপরতা নিয়ে সুর নরম ফিরহাদের
এই বিষয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য মানষ মজুমদার চিঠি লিখে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরই এদিন মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ব্রিজ মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মানষ মজুমদার। তিনি বলেন, "আগে ব্রিজের অবস্থার কথা মাথায় রেখে দু'দিকে লোহার বার পোঁতা রয়েছে। এরফলে যাতায়াত থেকে ব্যবসা বাণিজ্য সব কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। আমি জেতার পর মন্ত্রীকে জানাই। পূর্ত দফতর পর্যবেক্ষণ করেছে। টাকা অনুমোদন হওয়ার আগে প্রাথমিক কাজ শুরু হল। খুব তাড়াতাড়ি মেরামতির কাজও শুরু হয়ে যাবে। হাইড রোড সংযোগকারী এই রাস্তা করার জন্য তৎপর রাজ্য সরকার।"