ETV Bharat / state

একঘেয়েমি থেকে শিশুদের মুক্তির আস্বাদ উত্তরের বন দফতরের পার্কে - parks bring some break from monotony for Siliguri children

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে রাজ্য বন দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত অভয়ারণ্য, চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করে সেসব বন্ধ রাখা হয়েছে । আর তাতেই বিভ্রান্ত ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । বন দফতরের অধীন চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য, সাফারি পার্ক বন্ধ রাখা হলেও পার্কগুলি কিন্তু বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি । তাই যথারীতি খোলাই রয়েছে পার্কগুলি ।

একঘেয়েমি থেকে শিশুদের বিরতি দিচ্ছে শিলিগুড়ির বনদফতরের অধীনস্থ পার্কগুলি
একঘেয়েমি থেকে শিশুদের বিরতি দিচ্ছে শিলিগুড়ির বনদফতরের অধীনস্থ পার্কগুলি
author img

By

Published : May 6, 2021, 8:17 PM IST

শিলিগুড়ি, 6 মে : করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত গোটা দেশ ৷ প্রতিদিনই সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখের বেশি সংক্রমিত হচ্ছে দেশে ৷ রাজ্যেও একই অবস্থা ৷ প্রতিদিন 17 থেকে 18 হাজার আক্রান্ত হচ্ছে রাজ্যে ৷ সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই রাজ্য আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে ৷ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ৷ স্কুল, কলেজ বন্ধ ৷ দোকান খোলার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৷ আরও একবার বন্দীদশার সম্মুখীন হতে চলেছে মানুষ ৷ আর এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে শিশুদের মনের উপর ৷ এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মনের কথা ভেবেই রাজ্য বন দফতরের উদ্যান ও বনবিভাগের অধীনে থাকা উত্তরবঙ্গের 32টি পার্ক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

কোভিড বিধি মেনে নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে পার্কগুলি
কোভিড বিধি মেনে নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে পার্কগুলি

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে রাজ্য বন দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত অভয়ারণ্য, চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । যাতে কোনওভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, সেই কারণেই এগুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বন দফতর । ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করে সেসব বন্ধ রাখা হয়েছে । আর তাতেই বিভ্রান্ত ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । বন দফতরের অধীন চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য, সাফারি পার্ক বন্ধ রাখা হলেও পার্কগুলি কিন্তু বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি । তাই যথারীতি খোলাই রয়েছে পার্কগুলি । বন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, বন দফতরের উদ্যান ও বনবিভাগের অধীনে থাকা উত্তরবঙ্গের 32টি পার্কই আগের মতো খোলা রাখা হয়েছে । কিন্তু, আগের নির্দেশিকায় বিভ্রান্ত হয়ে পার্কে যাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিল খুদেরা ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ

যদিও পরে বিভ্রান্তি কেটেছে ৷ আগের মতো ভিড় না হলেও বন্দিদশা থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পার্কে মনোরঞ্জন করতে যাচ্ছে কেউ কেউ । এতে কিছুটা হলেও একঘেয়েমি কাটছে খুদে থেকে বয়স্কদের । তবে পার্ক খোলা হলেও কড়াভাবে নজর রাখা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধিতে । নো মাস্ক নো এন্ট্রি, স্যানিটাইজ়েশন ও সামাজিক দূরত্ব তো বটেই । পার্কের ভিতরে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঘুরতে দেখলে জরিমানাও করা হচ্ছে । নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে খুদেদের খেলার সামগ্রী থেকে বসার জায়গা । চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক বন্ধ থাকায় এখন পার্কগুলিই মনোরঞ্জন ও কিছুটা সময় কাটানোর একমাত্র ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

বন দফতরের উদ্যান বিভাগের ডিএফও (উত্তরবঙ্গ) অঞ্জন গুহ বলেন, "সরকারি নির্দেশিকায় কোনও বিভ্রান্তি ছিল না । সাধারণ মানুষ একটু বিভ্রান্ত হয়েছেন ঠিকই । তবে উত্তরবঙ্গের বন দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত পার্ক খোলা রয়েছে । কড়া স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে পার্কগুলিতে সীমিত দর্শকদের ঢোকানো হচ্ছে ।"

শিলিগুড়ি বনবিভাগের রেঞ্জার মানব চক্রবর্তী বলেন, " আগে যেরকম পার্কে দর্শকের ঢল নামত, করোনা আবহের কারণে তা একদমই তলানিতে ঠেকেছে । তবু বিকেলবেলায় কয়েকজন পার্কে আসছেন ৷ স্বাস্থ্যবিধিতে নজরদারি রেখে তাদের পার্কে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে । প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে ৷ "

শিলিগুড়ি, 6 মে : করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত গোটা দেশ ৷ প্রতিদিনই সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখের বেশি সংক্রমিত হচ্ছে দেশে ৷ রাজ্যেও একই অবস্থা ৷ প্রতিদিন 17 থেকে 18 হাজার আক্রান্ত হচ্ছে রাজ্যে ৷ সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই রাজ্য আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে ৷ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ৷ স্কুল, কলেজ বন্ধ ৷ দোকান খোলার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৷ আরও একবার বন্দীদশার সম্মুখীন হতে চলেছে মানুষ ৷ আর এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে শিশুদের মনের উপর ৷ এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মনের কথা ভেবেই রাজ্য বন দফতরের উদ্যান ও বনবিভাগের অধীনে থাকা উত্তরবঙ্গের 32টি পার্ক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

কোভিড বিধি মেনে নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে পার্কগুলি
কোভিড বিধি মেনে নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে পার্কগুলি

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে রাজ্য বন দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত অভয়ারণ্য, চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । যাতে কোনওভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, সেই কারণেই এগুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বন দফতর । ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করে সেসব বন্ধ রাখা হয়েছে । আর তাতেই বিভ্রান্ত ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । বন দফতরের অধীন চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য, সাফারি পার্ক বন্ধ রাখা হলেও পার্কগুলি কিন্তু বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি । তাই যথারীতি খোলাই রয়েছে পার্কগুলি । বন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, বন দফতরের উদ্যান ও বনবিভাগের অধীনে থাকা উত্তরবঙ্গের 32টি পার্কই আগের মতো খোলা রাখা হয়েছে । কিন্তু, আগের নির্দেশিকায় বিভ্রান্ত হয়ে পার্কে যাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিল খুদেরা ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ

যদিও পরে বিভ্রান্তি কেটেছে ৷ আগের মতো ভিড় না হলেও বন্দিদশা থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পার্কে মনোরঞ্জন করতে যাচ্ছে কেউ কেউ । এতে কিছুটা হলেও একঘেয়েমি কাটছে খুদে থেকে বয়স্কদের । তবে পার্ক খোলা হলেও কড়াভাবে নজর রাখা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধিতে । নো মাস্ক নো এন্ট্রি, স্যানিটাইজ়েশন ও সামাজিক দূরত্ব তো বটেই । পার্কের ভিতরে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঘুরতে দেখলে জরিমানাও করা হচ্ছে । নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে খুদেদের খেলার সামগ্রী থেকে বসার জায়গা । চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক বন্ধ থাকায় এখন পার্কগুলিই মনোরঞ্জন ও কিছুটা সময় কাটানোর একমাত্র ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

বন দফতরের উদ্যান বিভাগের ডিএফও (উত্তরবঙ্গ) অঞ্জন গুহ বলেন, "সরকারি নির্দেশিকায় কোনও বিভ্রান্তি ছিল না । সাধারণ মানুষ একটু বিভ্রান্ত হয়েছেন ঠিকই । তবে উত্তরবঙ্গের বন দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত পার্ক খোলা রয়েছে । কড়া স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে পার্কগুলিতে সীমিত দর্শকদের ঢোকানো হচ্ছে ।"

শিলিগুড়ি বনবিভাগের রেঞ্জার মানব চক্রবর্তী বলেন, " আগে যেরকম পার্কে দর্শকের ঢল নামত, করোনা আবহের কারণে তা একদমই তলানিতে ঠেকেছে । তবু বিকেলবেলায় কয়েকজন পার্কে আসছেন ৷ স্বাস্থ্যবিধিতে নজরদারি রেখে তাদের পার্কে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে । প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে ৷ "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.