ভাঙড়, 24 জুন : পারিবারিক বিবাদের জেরে চারজনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা ৷ ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের বড়ালি তাঁতিপাড়ায় ৷
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বড়ালি তাঁতিপাড়া গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে ৷ তাতে ছোটো ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় বড় ভাই সামসের আলি মোল্লার ৷ অভিযোগ, এই সময় হঠাৎই ঘরে ঢুকে হাঁসুয়া নিয়ে আসে সামসের ৷ তারপর সেই হাঁসুয়া দিয়েই ছোটো ভাইয়ের বউ নাজমা বিবিকে কোপাতে শুরু করে সে ৷
আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : কীভাবে খুন-কীভাবেই বা বাঁচল দাদা, ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখাল আসিফ
নাজমার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এবং তাঁকে রক্ষা করতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা ৷ তখন প্রতিবেশীদের উপরেও চড়াও হয় সামসের ৷ হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে যায় তাঁদের দিকে ৷ অভিযোগ, এলাকার তিন বাসিন্দাকেও কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে সামসের ৷ সব মিলিয়ে সামসেরের হিংস্রতার শিকার হন চারজন ৷ এর মধ্যে নাজমা বিবির শরীরের বিভিন্ন অংশ হাঁসুয়ার কোপে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায় ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : আসিফের ফাঁসি চায় গ্রামবাসী
এর পাশাপাশি প্রতিবেশী আলাউদ্দিন মোল্লা, সফিকউদ্দিন মোল্লা, সেরিনা বিবিরাও হাঁসুয়ার কোপে গুরুতর জখম হন ৷ চিৎকার চেঁচামিচিতে ছুটে আসেন আশপাশের সমস্ত বাসিন্দা ৷ বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় সামসের ৷ এদিকে, গুরুতর আহত চারজনকে নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : ডার্ক ওয়েবযোগের প্রমাণ মেলেনি, তবে ডিপ ওয়েবে পারদর্শী খুনি আসিফ
ভাঙড় থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ আইসি শ্যাম প্রসাদের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী অভিযুক্ত যুবককে ধরতে অভিযানে নামে ৷ পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ভাঙড় খালে ঝাঁপ মারে সামসের ৷ এরপর পুলিশ কর্মীরা খালে নেমেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ হঠাৎ রাগের বশেই সামসের এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷