ক্রমবর্ধমান দূষণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে । দেশের বিভিন্ন স্থানে বাতাসের মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে । এমন পরিস্থিতিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হচ্ছে । গ্যাস চেম্বারে পরিণত হওয়া দিল্লি-এনসিআর-এ শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে । বায়ুর মান খারাপের কারণে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে । বায়ু দূষণের শিকার হতে পারে বহু মারাত্মক রোগ । শুধু তাই নয়, এই দূষণ আপনার ত্বক এবং চুলেরও ক্ষতি করতে পারে ।
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বায়ু দূষণের কারণে ত্বক ও চুল সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে । এতেও চুলের অনেক ক্ষতি হয় ৷ যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন ।
চুলের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব নিয়ে এন আই এইচ দ্বারা একটি গবেষণা পরিচালিত হয় ৷ যেখানে বলা হয়েছে, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, যা বায়ু দূষণকারী পিএম-এর সঙ্গে সম্পর্ক ৷ যারফলে চুলের গুণমানকে নষ্ট করে ৷
বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেছেন, দূষণের সময় বাতাসে উপস্থিত ধূলিকণা এবং দূষকগুলি চুলের ফলিকলগুলিকে নষ্ট করে দেয় ৷ যা কখনও কখনও ফলিকুলাইটিসের দিকে পরিচালিত করে । এছাড়াও এই দূষকগুলির সংস্পর্শে আসার ফলে খুশকি বা মাথার ত্বকে জ্বালা এবং চুলকানি হতে পারে । কখনও কখনও অতিরিক্ত দূষণের সংস্পর্শে আসার কারণে ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে । এটির সংস্পর্শে আসার ফলে অতিরিক্ত খুশকি হয় এবং এগুলি মাথার ত্বককে প্রভাবিত করে ৷
এছাড়াও দূষণের ফলে চুল শুষ্ক ও গোড়া ফেটে যায় ৷ এরউপর এই দূষণকারী মাথার ত্বকে অত্যধিক ঘাম হতে পারে । এই খারাপ বাতাসে বাইরে যাওয়ার সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখা খুব জরুরি ।
এভাবে চুলের যত্ন নিন ! দূষিত বাতাসের জন্য চুলের যত্নের রুটিন, (Hair care routine for polluted air):
বাড়ি থেকে বার হওয়ার সময় চুল ঢেকে রাখা প্রয়োজন ৷
সপ্তাহে 2 থেকে 3 দিন শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করা প্রয়োজন ৷ তবে খেয়াল রাখা দরকার শ্যাম্পু পিএইচ ব্যালেন্স মাইল্ড যেনো হয় ৷
চুলের কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ভালো মানের হওয়া প্রয়োজন ৷ চুলের গোড়ার কিউটিকেলে একটি স্তর তৈরি করতে পারে, এটি চুলের দৈর্ঘ্য রক্ষা করতে পারে ।
হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না, যা চুলের গোড়ায় আর্দ্রতা দিতে সাহায্য করে ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)