নয়াদিল্লি, 5 ফেব্রুয়ারি: ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কর্তব্যরত কমান্ডারদের বিশেষ নির্দেশ দিল বিএসএফ। বলা হল, বাংলাদেশের নাগরিক বা সে দেশের সীমান্ত বাহিনীর অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ 4096 কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকার জন্য এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক সরকারি সূত্র মারফৎ বুধবার জানা গিয়েছে, 2024 সালে এই সীমান্তে প্রায় 80টি সংঘর্ষের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রায় 932 কিলোমিটার এলাকার নিরাপত্তা দায়িত্ব বাহিনীর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার ৷ গত 31 জানুয়ারি এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে ৷
এদিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী এক নতুন বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মল্লিকপুর সীমান্তবর্তী গ্রামে অস্ত্র নিয়ে একদল বাংলাদেশি দুষ্কৃতী অবৈধভাবে প্রবেশ করে ৷ বিএসএফের উপর আক্রমণও করে তারা ৷ যার জেরে একজন জওয়ান আহত হয়েছেন। আঘাত লেগেছে ওই বাংলাদেশিরও ৷ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "দুষ্কৃতীরা চোরাচালান ও ডাকাতির উদ্দেশে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদের কাছে অস্ত্র, লাঠি এমনকী তার কাটার সরঞ্জামও ছিল। বিএসএফ তাদের আটকালে তারা পাল্টা আক্রমণ করে ৷"
এমতাবস্থায় আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সীমান্ত ইউনিটের সকল বিএসএফ কমান্ডারদের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি আইবি'র 150 গজজুড়ে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার এর আগে বলেছিল, বাংলাদেশি নাগরিক এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় অবৈধ উপায়ে নির্মাণ কাজ চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ বিএসএফের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে সেই অবৈধ কার্যকলাপের উপর ৷
বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিজিবি'র সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভালো এবং অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে ৷ এবার প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পাঁচটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ (2217 কিমি), ত্রিপুরা (856 কিমি), মেঘালয় (443 কিমি), অসম (262 কিমি) এবং মিজোরামে (318 কিমি) এই আন্তর্জাতিক সীমান্তের অবস্থান। এই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএসএফের।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় সংসদে এক লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, সীমান্তের বেড়াবিহীন অংশ ছিল 864.482 কিলোমিটার, যার মধ্যে 174.51 কিলোমিটার ফাঁকা রয়েছে। তিনি বলেন, "সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য বেড়া নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বেড়া নির্মাণ আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ, চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল এবং পাচারের চ্যালেঞ্জগুলি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে সহায়তা করে ৷"