সোনারপুর, 2 জুলাই : দেড়শো বছরের পুরনো পুরসভা, তবু এখনও পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাসিন্দা । পুরসভার পক্ষ অবশ্য জানানো হয়েছে 2016 থেকে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু এখনও এলাকাবাসীর অনেকে জল কিনে খাচ্ছেন, কোথাও বা টিউবওয়েল ভরসা ৷ এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের পর সামনে পুরভোট ৷ তার আগে পুরবাসীর মন জয়ে আজ ওভারহেড রিজার্ভারের শিলান্যাস করলেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র ৷ উপস্থিত ছিলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল আলি মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা ৷
আরও পড়ুন : আসানসোল জেলা হাসপাতালে শুরু হল বিনামূল্যে ক্যানসার চিকিৎসা
এই এলাকার সব জায়গায় এখনও পানীয় জল পৌঁছায়নি । স্থানীয় বাসিন্দা অনিতা নস্কর বলেন, "পানীয় জল একদিন রাখলে হলুদ হয়ে যায় ৷ সব ঘরে ঘরেই ফিল্টার কেনা আছে ৷ আর জল কিনে খেতে হয় ৷" তাঁর মতে, 90 শতাংশ এলাকাবাসী জল কিনে খাচ্ছেন ৷
এই ওভারহেড রিজার্ভারের শিলান্যাস করে নবনির্বাচিত বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেন, "11টি জায়গায় শিলান্যাস হয়ে গিয়েছে ৷ আজ 3টি জায়গায় শিলান্যাস হবে ৷ লকডাউনের জন্য কাজ পিছিয়ে গিয়েছিল, আজ থেকে কাজ শুরু হবে ৷" তিনি আশ্বস্ত করেছেন এবার অঞ্চলের পানীয় জলের সমস্য়ার সমাধান হবে ৷ এখান থেকে 1870 গ্যালন জল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন লাভলি ৷ এক বছরের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বাসিন্দারা জল পাবেন ৷
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য নজরুল আলি মণ্ডল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে 2016 সাল থেকে পুরঅঞ্চলে কাজ শুরু হয়েছিল ৷ ইতিমধ্যে 11টি ওভারহেড রিজার্ভার তৈরি করে ফেলেছি ৷ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্য়ান্টও সম্পূর্ণ হওয়ার পথে ৷ 3টি আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ কুঁদঘাটে ইনটেক জেটি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ শুধু জল দেওয়ার কাজ বাকি রয়েছে ৷" লকডাউনের জন্য থমকে গিয়েছিল এই কাজ ৷ স্থানীয় ওয়ার্ডগুলিতে 19টি রিজার্ভার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করবেন তাঁরা ৷ তিনি আশা করছেন যে, আগামী 1 বছরের মধ্যে কাজগুলো শেষ করে 35টা ওয়ার্ডে জলের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ৷ এই কাজে সহযোগিতা করছে কেএমডিএ ৷