ETV Bharat / state

কোরোনা বিদায়ে দেবীর আরাধনা বাঁকুড়ার বদড়া গ্রামে

author img

By

Published : May 5, 2020, 5:26 PM IST

গ্রামের এক গৃহবধূ ববিতা রায় বলেন, " বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস । আমরা যেমন বিজ্ঞানের উপর ভরসা রেখেছি ৷ আমাদের বিশ্বাস খুব শীঘ্রই এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বেরোবে । "

villagers worshipped goddes to prevent corona in bankura
কোরোনা বিদায়ে দেবীর আরাধনা বাঁকুড়ার বদড়া গ্রামে

বাঁকুড়া, 5 মে : কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাঁকুড়ার প্রাচীন দেবীর বিশেষ আরাধনা করলেন স্থানীয়রা । বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন বদড়া গ্রামে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও দেশকে কোরোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত করতে আজ এক বিশেষ পুজোর আয়োজন করেন গ্রামবাসীরা ।

গ্রামের মাঝে রয়েছে মা মহামায়ার স্থান । একটি বহু পুরাতন গাছের নিচে দেবীর অধিষ্ঠান বলে বিশ্বাস এই গ্রামের মানুষের । এখানে নাকি যে কোনও মানুষ তার সমস্যা নিয়ে এসে পুজো দিলে সেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় । মন্দিরের পুরোহিত নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরি বলেন, " আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের থেকে শুনে আসছি যে কোনও মহামারীর সময় এই মন্দিরে পুজো দিলে সেই মহামারি থেকে এলাকার মানুষ পরিত্রাণ পেতেন । কথিত আছে, চারিদিকে যখন কলেরার মড়ক ও মানুষ মারা যাচ্ছিলেন ৷ তখন গ্রামের মানুষরা এই মন্দিরে পুজো দেন ৷ এরপর সেই রোগ দূর হয় । আমাদের বিশ্বাস, দেবীর আশীর্বাদে আমাদের দেশ থেকে বিদায় নেবে কোরোনা । প্রায় 200 পরিবারের বাস এই গ্রামটিতে । তবে আজকের পুজোতে একেবারে সরকারি নির্দেশ মেনে মন্দির চাতালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আচার অনুষ্ঠান করা হয়েছে । "

এবিষয়ে গ্রামের এক গৃহবধূ ববিতা রায় বলেন, " বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস । আমরা যেমন বিজ্ঞানের উপর ভরসা রেখেছি ৷ আমাদের বিশ্বাস খুব শীঘ্রই এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বেরোবে । পাশাপাশি, বিজ্ঞান যেখানে শেষ হয় সেখানে শুরু হয় ঈশ্বর । তাই আমরা আজ বিজ্ঞানের দেখানো পথে হেঁটে একদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেছি ৷ অন্যদিকে ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি নিবেদন করতে এসেছি এই মন্দিরে । আমরা চাই যেভাবে হোক, কোরোনামুক্ত হোক আমাদের দেশ ।

বাঁকুড়া, 5 মে : কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাঁকুড়ার প্রাচীন দেবীর বিশেষ আরাধনা করলেন স্থানীয়রা । বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন বদড়া গ্রামে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও দেশকে কোরোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত করতে আজ এক বিশেষ পুজোর আয়োজন করেন গ্রামবাসীরা ।

গ্রামের মাঝে রয়েছে মা মহামায়ার স্থান । একটি বহু পুরাতন গাছের নিচে দেবীর অধিষ্ঠান বলে বিশ্বাস এই গ্রামের মানুষের । এখানে নাকি যে কোনও মানুষ তার সমস্যা নিয়ে এসে পুজো দিলে সেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় । মন্দিরের পুরোহিত নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরি বলেন, " আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের থেকে শুনে আসছি যে কোনও মহামারীর সময় এই মন্দিরে পুজো দিলে সেই মহামারি থেকে এলাকার মানুষ পরিত্রাণ পেতেন । কথিত আছে, চারিদিকে যখন কলেরার মড়ক ও মানুষ মারা যাচ্ছিলেন ৷ তখন গ্রামের মানুষরা এই মন্দিরে পুজো দেন ৷ এরপর সেই রোগ দূর হয় । আমাদের বিশ্বাস, দেবীর আশীর্বাদে আমাদের দেশ থেকে বিদায় নেবে কোরোনা । প্রায় 200 পরিবারের বাস এই গ্রামটিতে । তবে আজকের পুজোতে একেবারে সরকারি নির্দেশ মেনে মন্দির চাতালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আচার অনুষ্ঠান করা হয়েছে । "

এবিষয়ে গ্রামের এক গৃহবধূ ববিতা রায় বলেন, " বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস । আমরা যেমন বিজ্ঞানের উপর ভরসা রেখেছি ৷ আমাদের বিশ্বাস খুব শীঘ্রই এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বেরোবে । পাশাপাশি, বিজ্ঞান যেখানে শেষ হয় সেখানে শুরু হয় ঈশ্বর । তাই আমরা আজ বিজ্ঞানের দেখানো পথে হেঁটে একদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেছি ৷ অন্যদিকে ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি নিবেদন করতে এসেছি এই মন্দিরে । আমরা চাই যেভাবে হোক, কোরোনামুক্ত হোক আমাদের দেশ ।

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.