ভুবনেশ্বর, 7 জানুয়ারি: প্রথম ছ'য়ে থাকব কি না, ঠিক করে দেবে এই ম্য়াচ ৷ ওড়িশার বিরুদ্ধে ফিরতি লেগে নামার আগে বলেছিলেন লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন ৷ 'নির্ণায়ক' সেই ম্যাচে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল ৷ প্রতিপক্ষ সেই ওড়িশা এফসি ৷ সাম্প্রতিক সময়ে লাল-হলুদের জন্য বধ্যভূমি হয়ে উঠছে যারা। শনিবারও তার অন্যথা হল না। কলকাতা জায়ান্টদের 3-1 গোলে হারাল কলিঙ্গ ওয়ারিয়র্সে ম্যাচের ফল (OFC beat East Bengal by 3-1) ৷ প্রথম লেগের মতোই এগিয়ে গিয়েও ম্য়াচ হারল কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরা ৷ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দিয়েগো মৌরিসিওর জোড়া গোলই পার্থক্য গড়ে দিল ম্যাচে (Diego Mauricio scored twice for OFC) ৷ বৃথা গেল ক্লেইটন সিলভার বিশ্বমানের গোল ৷
10 মিনিটে অ্যালেক্স লিমার লম্বা বল ধরে ক্লেইটন সিলভার বুদ্ধিদীপ্ত গোল ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেয় ম্য়াচে ৷ সে সময় মনে হচ্ছিল বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের পরে বোধহয় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে লাল-হলুদ। প্রথমে গোল পেয়ে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ানোর বদলে সেই রক্ষণের খোলসে ঢুকে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। সেটাকেই দারুণভাবে কাজে লাগাল ওড়িশা। 22 মিনিটে রেনিয়ার ফার্নান্দেজের কর্নারে মার্কারকে এড়িয়ে দুরন্ত টোকায় দলকে সমতায় ফেরান মৌরিসিও ৷ মৌরিসিওর গোলের ধাক্কায় ইস্টবেঙ্গল মিডফিল্ডার এবং ডিফেন্ডাররা যখন দিগভ্রষ্ট, তখন আরও হতাশ করেন গোলরক্ষক শুভম সেন ৷ পারফরম্যান্সে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে নন্দ কুমারের সেন্টার শুভমের হাত এড়িয়ে গোলে ঢুকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের রাশ ছিল ওড়িশার পায়ে। 53 মিনিটে ফের মৌরিসিও ম্যাজিক। ইভান গঞ্জালেসকে আড়াল করে প্রথম পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান। এক্ষেত্রেও লাল-হলুদ দুর্গের শেষ প্রহরী শুভম প্রথম পোস্টে দাড়িয়ে বলের নাগাল পাননি। ক্লেইটন সিলভাকে বাদ দিয়ে দলের বাকি দশজনের খারাপ ফুটবলের ওষুধ হতে পারত শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চ। সেখান থেকে সুমিত পাসি, অঙ্কিত যাদব,কিরিয়াকুদের নামিয়ে এই বিপর্যয় সামলানো সম্ভব ছিল না। আক তা হয়ওনি।
আরও পড়ুন: তিন গোলে জয় দিয়ে সন্তোষ অভিযান শুরু বাংলার
সঠিক বিকল্পের অভাবের সঙ্গে চোট সমস্যা স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের বড় চিন্তা। শনিবার চোটের কারণে পুরো সময় মাঠে থাকতে পারলেন না ক্লেইটন । যা দুশ্চিন্তা বাড়াবে লাল-হলুদ কোচের। সবমিলিয়ে প্রথম ছ'য়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টায় শনিবারের পরাজয় বড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে।