বেঙ্গালুরু, 9 নভেম্বর: বৃষ্টির চোখ রাঙানি ছিলই ৷ আবার বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ভেস্তে গেলে তা খুশির খবর হতেই পারত পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের জন্য ৷ কিন্তু বাবর আজমদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল ৷ প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং চলাকালীন ইন্দ্রদেবের খামখেয়ালি কোনও বাধার সৃষ্টি করেনি ৷ বৃহস্পতিবার অন্য এক তুফানের সাক্ষী বেঙ্গালুরু ৷ আর সেই তুফানের নেপথ্য নায়ক ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন, মিচেল স্যান্টেনাররা ৷ 171 রানেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস ৷
শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারকে রীতিমতো ধ্বংস করে দেন বোল্ট ৷ যদিও কুশল পেরেরা একা হাতে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি ৷ মাত্র 28 বলে তৈরি তাঁর 51 রানের ইনিংস দেখে সন্দেহ হতেই পারে ৷ সন্দিরা সামারাবিক্রমা, কুশল মেন্ডিস বা চরিথ আশালঙ্কারা যে পিচে ব্যাটিং করেছেন তিনিও কি সেই মাঠেই হাঁকিয়েছেন 9টি চার এবং 2টি ছয়? কারণ পেরেরা ছাড়া দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দিতে রীতিমতো ব্যর্থ বাকি ব্যাটাররা ৷
টুর্নামেন্টটা দুরন্ত শুরু করেছিল কিউয়িবাহিনী ৷ কিন্তু প্রথম চার ম্যাচে অজেয় থাকার পর পরবর্তী চার ম্যাচে টানা হার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের জন্য ৷ ফলে একসময়ের ট্রফির দাবিদাররা এখন সেমি-ফাইনালে পৌঁছবে কি না তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা ৷ কিউয়ি বোলারদের এদিনের পারফরম্যান্স অবশ্য বিন্দুমাত্র প্রশ্ন তোলার সুযোগ রাখেনি ৷ প্রথম 10 ওভারের মধ্যেই পাঁচ ব্যাটারকে ঘরে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার কোমর ভেঙে দেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: তিলোত্তমায় দিল্লি ক্যাপিটালসের অনুশীলন শিবিরে হাজির ঋষভ পন্থ, প্রশংসায় সৌরভ
লঙ্কাবাহিনীর দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন টিম সাউদি ৷ এরপর বাঁ-হাতি স্টার পেসার ট্রেন্ট বোল্টের হাত ধরে একের পর ঘরে ফেরেন কুশল মেন্ডিস, সামারাবিক্রমা ও আশালঙ্কা ৷ কুশল মেন্ডিসকে আউট করার পরেই এদিন একটি মাইলস্টোনও স্পর্শ করেন তিনি ৷ প্রথম কিউয়ি পেসার হিসাবে বিশ্বকাপে তাঁর ঝুলিতে এল 50টির বেশি উইকেট ৷ এক্ষেত্রে তাঁর ঠিক পরেই রয়েছেন টিম সাউদি ৷ তাঁর ঝুলিতে রয়েছে 38টি উইকেট ৷ বোলিংয়ে যোগ্য সঙ্গত করেন ফার্গুসন, স্যান্টেনার এবং রবীন্দ্রও ৷ তাঁদের মিলিত আক্রমণে মাত্র 171 রানেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস ৷