ETV Bharat / sitara

সমকামী জীবনের দোটানার কথা বলবে 'মিস ম্যান'

সমকামিতা বা হোমোসেক্সুয়ালিজম যে স্বাভাবিক একটা ওরিয়েন্টেশন, তা স্বীকার করতে অস্বীকার করে সমাজ। এটিকে ব্যাধি বলে গণ্য করা হয় এখনও। তাই একজন সমকামী ব্যক্তির লড়াই খুব কঠিন হয়ে ওঠে। সেরকমই একজন সমকামী ব্যক্তির জীবন নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন পরিচালক তথাগত ঘোষ।

'মিস ম্যান'
author img

By

Published : May 14, 2019, 1:24 PM IST

Updated : May 14, 2019, 11:29 PM IST

কলকাতা : সমকামিতা নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করছেন তথাগত। নাম 'মিস ম্যান'।

তথাগত বলেন, "এটা একটা পার্সোনাল গল্প। অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায়, একটি সমকামী পুরুষ অন্য কোনও পুরুষকে ভালোবাসে। তার জীবনের সাংঘাতিক কিছু ঘটে গেল, যেটা সমাজের কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও সেই ব্যক্তির কাছে অসম্ভব অস্বাভাবিক। আমারই একজন বন্ধুর সঙ্গে তেমনটা হয়েছিল। একদিন শুনি যে তার এনগেজমেন্ট হয়ে যাচ্ছে। সেটা শুনে খুব অবাক হয়ে গেছিলাম। যেই ছেলে জীবনের সব আনন্দ আমাদের সঙ্গে ভাগ করত, সে তার এনগেজমেন্ট আমাদের ডাকল না। পরে জানতে পারি, তাঁর পরিবার থেকে কোনওরকমে জোর করে একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ একটাই, সে তাঁর সেক্সুয়ালিটি সরাসরি বাড়ির লোককে জানিয়েছিল। স্বীকার করেছিল সে সমকামী।"

এই ঘটনা থেকেই 'মিস ম্যান'-এর গল্প শুরু হয়। তথাগত ঠিক করেন তিনি কিছু একটা করবেন। অন্তত বার্তা দিতে পারেন সমাজকে, সচেতন করতে পারেন। তিনি বলেন, " একজন সমকামীর তাঁর সেক্সুয়ালিটি নিয়ে যে লড়াই করতে হয়। শীর্ষ আদালত সমকামিতাকে মান্যতা দিলেও এখনও সমাজ তা মেনে নিতে পারে না। কারণ একটাই, লোকে কী বলবে!"

ছবির গল্প সম্পর্কে তথাগত বলেন, "এটি একটি শহরতলীর গল্প। শহরের গল্প নয়। শহরে সে আসে তার লিঙ্গ পরিবর্তন করার জন্য। আমার গল্পের মুখ্য চরিত্র মানব একটা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যায়। মানবে চরিত্রটি করেছেন অর্ঘ্য অধিকারী। অর্ঘ্য কিন্তু অভিনেতা নয়। একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। কিন্তু নিজের জীবনে সে একজন সমকামী পুরুষ।"

অর্ঘ্য সম্পর্কে তথাগত আরও বলেন, "আমি যখন ছবিটার কাস্টিং করছিলাম আমার ছবির অন্য একজন অভিনেত্রী পায়েল বলল, তার একজন বন্ধু আছে যে মানবের চরিত্র খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলতে পারবে। অর্ঘ্যর সঙ্গে কথা বলে এবং স্ক্রিপ্টটা পড়ানোর পর অর্ঘ্য বলল ৫ বছর আগে ওর জীবন এরকমই ছিল। অর্থাৎ, লড়াইটার সঙ্গে ও নিজেকে একাত্ম করতে পেরেছে। সেটা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তারপরে ওর সঙ্গে বসে ওয়ার্কশপ করলাম, কাজ করলাম। সে অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর, খুব মধুর।"


কাজ হবে শেষ করেছেন তথাগত। তাঁর ইচ্ছে, বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেটি প্রদর্শন করার। ছবির শুটিং হয়েছে হাওড়ায়।

কলকাতা : সমকামিতা নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করছেন তথাগত। নাম 'মিস ম্যান'।

তথাগত বলেন, "এটা একটা পার্সোনাল গল্প। অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায়, একটি সমকামী পুরুষ অন্য কোনও পুরুষকে ভালোবাসে। তার জীবনের সাংঘাতিক কিছু ঘটে গেল, যেটা সমাজের কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও সেই ব্যক্তির কাছে অসম্ভব অস্বাভাবিক। আমারই একজন বন্ধুর সঙ্গে তেমনটা হয়েছিল। একদিন শুনি যে তার এনগেজমেন্ট হয়ে যাচ্ছে। সেটা শুনে খুব অবাক হয়ে গেছিলাম। যেই ছেলে জীবনের সব আনন্দ আমাদের সঙ্গে ভাগ করত, সে তার এনগেজমেন্ট আমাদের ডাকল না। পরে জানতে পারি, তাঁর পরিবার থেকে কোনওরকমে জোর করে একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ একটাই, সে তাঁর সেক্সুয়ালিটি সরাসরি বাড়ির লোককে জানিয়েছিল। স্বীকার করেছিল সে সমকামী।"

এই ঘটনা থেকেই 'মিস ম্যান'-এর গল্প শুরু হয়। তথাগত ঠিক করেন তিনি কিছু একটা করবেন। অন্তত বার্তা দিতে পারেন সমাজকে, সচেতন করতে পারেন। তিনি বলেন, " একজন সমকামীর তাঁর সেক্সুয়ালিটি নিয়ে যে লড়াই করতে হয়। শীর্ষ আদালত সমকামিতাকে মান্যতা দিলেও এখনও সমাজ তা মেনে নিতে পারে না। কারণ একটাই, লোকে কী বলবে!"

ছবির গল্প সম্পর্কে তথাগত বলেন, "এটি একটি শহরতলীর গল্প। শহরের গল্প নয়। শহরে সে আসে তার লিঙ্গ পরিবর্তন করার জন্য। আমার গল্পের মুখ্য চরিত্র মানব একটা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যায়। মানবে চরিত্রটি করেছেন অর্ঘ্য অধিকারী। অর্ঘ্য কিন্তু অভিনেতা নয়। একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। কিন্তু নিজের জীবনে সে একজন সমকামী পুরুষ।"

অর্ঘ্য সম্পর্কে তথাগত আরও বলেন, "আমি যখন ছবিটার কাস্টিং করছিলাম আমার ছবির অন্য একজন অভিনেত্রী পায়েল বলল, তার একজন বন্ধু আছে যে মানবের চরিত্র খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলতে পারবে। অর্ঘ্যর সঙ্গে কথা বলে এবং স্ক্রিপ্টটা পড়ানোর পর অর্ঘ্য বলল ৫ বছর আগে ওর জীবন এরকমই ছিল। অর্থাৎ, লড়াইটার সঙ্গে ও নিজেকে একাত্ম করতে পেরেছে। সেটা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তারপরে ওর সঙ্গে বসে ওয়ার্কশপ করলাম, কাজ করলাম। সে অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর, খুব মধুর।"


কাজ হবে শেষ করেছেন তথাগত। তাঁর ইচ্ছে, বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেটি প্রদর্শন করার। ছবির শুটিং হয়েছে হাওড়ায়।

Intro:সমকামিতা। বা হোমোসেক্সুয়ালিজম যে স্বাভাবিক একটা ওরিয়েন্টেশন, তা স্বীকার করতে অস্বীকার করে সমাজ। এটিকে ব্যাধি বলে গণ্য করা হয় এখনও। তাই একজন সমকামী ব্যক্তি লড়াই খুব কঠিন হয়ে ওঠে। সেরকমই একজন সমকামী ব্যক্তির জীবন নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন পরিচালক তথাগত ঘোষ। ETV Bharatকে জানালেন সেই কথাই।




Body:তথাগত বললেন, "এটা একটা পার্সোনাল গল্প। অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায়, একটি সমকামী পুরুষ অন্য কোনও পুরুষকে ভালোবাসে। তার জীবনের সাংঘাতিক কিছু ঘটে গেল, যেটা সমাজের কাছে স্বাভাবিক মনে হলেও সেই ব্যক্তির কাছে অসম্ভব অস্বাভাবিক। আমারি একজন বন্ধুর সঙ্গে তেমনটা হয়েছিল। একদিন শুনি যে তার এনগেজমেন্ট হয়ে যাচ্ছে। সেটা শুনে খুব অবাক হয়ে গেছিলাম। যেই ছেলে জীবনের সব আনন্দ আমাদের সঙ্গে ভাব করত, সে তার এনগেজমেন্ট আমাদের ডাকল না। পরে জানতে পারি, তাঁর পরিবার থেকে কোনওরকমে জোর করে একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ একটাই, সে তার সেক্সুয়ালিটি সরাসরি বাড়ির লোককে জানিয়েছিল। স্বীকার করেছিল সে সমকামী।"

এই ঘটনা থেকেই মিসম্যানের গল্প শুরু হয়। তথাগত ঠিক করেন তিনি কিছু একটা করবেন। অন্তত বার্তা দিতে পারেন সমাজকে, সচেতন করতে পারেন। তিনি বলেন, " একজন সমকামীর তাঁর সেক্সুয়ালিটি নিয়ে যে লড়াই করতে হয়। শীর্ষ আদালত সমকামিতাকে মান্যতা দিলেও এখনও সমাজ তা মেনে নিতে পারে না। কারণ একটাই, লোকে কী বলবে।"

ছবির গল্প সম্পর্কে তথাগত বললেন, "এটি একটি শহরতলীর গল্প। শহরের গল্প নয়। শহরে সে আসে তার লিঙ্গ পরিবর্তন করার জন্য। আমার গল্পের মুখ্য চরিত্র মানব একটা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যায়। মানবে চরিত্রটি করেছেন অর্ঘ্য অধিকারী। অর্ঘ্য কিন্তু অভিনেতা নয়। একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। কিন্তু নিজের জীবনে সে একজন সমকামী পুরুষ।"

অর্ঘ্য সম্পর্কে তথাগত আরও বলেন, "আমি যখন ছবিটার কাস্টিং করছিলাম, কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়েছিল। কৌশিক গাঙ্গুলির নগরকীর্তন ছবিতে ঋদ্ধি কিন্তু স্ট্রেট। আমিও সেরকমই একজন অভিনেতাকে চেয়েছিলাম। আমার ছবির অন্য একজন অভিনেত্রী পায়েল বলল, তার একজন বন্ধু আছে যে মানবের চরিত্র খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলতে পারবে। অর্ঘ্যর সঙ্গে কথা বলে এবং স্ক্রিপ্টটা পরানোর পর অর্ঘ্য বলল ৫ বছর আগে ওর জীবন এরকমই ছিল। অর্থাৎ, লড়াইটা সঙ্গে ও নিজেকে একাত্ম করতে পেরেছে। সেটা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তারপরে ওর সঙ্গে বসে ওয়ার্কশপ করলাম কাজ করলাম। সে অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর, খুব মধুর।"


Conclusion:ছবির পরিচালনার কাজ হবে শেষ করেছেন তথাগত। তাঁর ইচ্ছে, বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেটি প্রদর্শন করার। ছবির শুটিং হয়েছে হাওড়ায়।
Last Updated : May 14, 2019, 11:29 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.