ETV Bharat / lifestyle

চিনি খেলেই কি শুগার ?

সাধারণ মানুষের অধিকাংশের ধারণা, চিনি খেলেই ব্লাড শুগার হয় । অর্থাৎ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । চিকিৎসা পরিভাষায় যা ডায়াবেটিস অথবা, ডায়াবেটিস মেলিটাস নামে পরিচিত । বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এটা ভ্রান্ত ধারণা । বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাশিস বসু ।

ডায়াবিটিসের
author img

By

Published : Apr 24, 2019, 7:42 PM IST

Updated : Apr 24, 2019, 8:33 PM IST

কলকাতা, 24 এপ্রিল : সাধারণ মানুষের অধিকাংশের ধারণা, চিনি খেলেই ব্লাড শুগার হয় । অর্থাৎ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । চিকিৎসা পরিভাষায় যা ডায়াবেটিস অথবা, ডায়াবেটিস মেলিটাস নামে পরিচিত । বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এটা ভ্রান্ত ধারণা । চিনি খেলেই শুগার হয় না । ডায়াবেটিসের জন্য রয়েছে অন্য কারণ । কী সেই কারণ, চিকিৎসা কী, প্রতিরোধের উপায়-ই-বা কী, এসব বিষয়ে বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাশিস বসু ।

সাধারণ মানুষের অধিকাংশের ধারণা চিনি খেলেই শুগার হয় । সত্যিই কি তাই?

ডায়াবেটিসের কারণ নয় চিনি । ডায়াবেটিসের সঙ্গে চিনির কোনও সম্পর্ক নেই । চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয় না । বিভিন্ন অর্গানাইজ়েশনও এটা বলেছে । যেমন, জস্টিন ডায়াবেটিস সেন্টার বলেছে, ডায়াবেটিসের কারণ চিনি, এটা একটি মিথ । একই কথা বলেছে ব্রিটিশ ডায়াবেটিস অর্গানাইজ়েশন । অ্যামেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, আসলে জিনগত এবং লাইফস্টাইলের কারণে ডায়াবেটিস হয় । সব থেকে বড় কারণ শরীরের ওজন অতিরিক্ত হয়ে যাওয়া । অনেক আগে এমন দেখা গেছে, যে সব খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে, সে সব খাবার, চিনিযুক্ত খাবারের তুলনায় ব্লাড শুগার বেশি বাড়িয়ে দেয় ।

চিনি আদতে বডির ফুয়েল । যেমন, গাড়ি চালানোর জন্য পেট্রল প্রয়োজন । ওই পেট্রলের মতো আমাদের শরীরে গ্লুকোজ়ের প্রয়োজন । এই গ্লুকোজ় মাসলে, ব্রেনে, গোটা শরীরে এনার্জি এনে দেয় । এখন দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে মাথাপিছু চিনির ব্যবহার কমছে । কিন্তু, ডায়াবেটিসের হার বাড়ছে । কারণ, জিনগত বিষয়টি তো ছিলই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাইফস্টাইল । পরিশ্রম কম করা, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান, এ সবের জন্যই সমস্যা দেখা দিচ্ছে । 2017-এ বিশ্লেষণ করা হয়েছিল, চিনি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনও সম্পর্ক নেই । এমনও দেখানো হয়েছে এই বিশ্লেষণে, যাঁরা বেশি চিনি খান, ডায়াবেটিস হওয়ার বিষয়ে তাঁদের 9 শতাংশ কম ঝুঁকি রয়েছে ।


ডায়াবেটিস কেন হয়?

মানুষ অলস হয়ে পড়েছেন‌ । খাদ্য প্রণালী বদলে গেছে । যেমন, কলকাতায় থেকে ইটালিয়ান, মেক্সিকান, স্প্যানিশ, থাই খাবার খাচ্ছেন অনেকেই । বাঙালি খাবার প্রায় খান না । আমাদের জিন যেভাবে সাজানো, এই ধরনের খাবারের সঙ্গে সেটা এত দ্রুত অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারেনি । পরিশ্রম কমে গেছে ।


তা হলে জিনগত কারণে ডায়াবেটিস হয় ?

জিনগত বিষয়টি বড় কারণ । এশিয়ার অধিবাসীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনের নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কাঠামোর বিভিন্ন বয়সি মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস হচ্ছে । কোনও একটা জিনের ওভার এক্সপ্রেশন অথবা আন্ডার এক্সপ্রেশন থেকে হচ্ছে । দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে লাইফস্টাইল । যে কোনও বয়সে ডায়াবেটিস হতে পারে । যত বয়স বাড়ে, প্যানক্রিয়াসের বয়সও তত বাড়ে । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলগুলির মৃত্যু হতে থাকে । এই কারণে, খুব ভালো জীবনযাপন করলেও বয়স বাড়লে ডায়াবেটিস দেখা যাচ্ছে ।


উপসর্গ কিছু আছে কী?

বয়স 30 হলেই নিয়মিত ব্লাড শুগার টেস্ট করান । দৈনন্দিন সামগ্রী হিসাবে গ্লুকোমিটার রাখা উচিত প্রতিটি বাড়িতে । যিনি রক্ত পরীক্ষা করান না, তিনি কিছু বুঝতে পারবেন না । কারণ, ডায়াবেটিস নিঃশব্দ ঘাতক । কোনও ক্ষত তৈরি হয়েছে, সারছে না । অথবা, অন্য কোনও রোগের ব্লাড টেস্টের সময় ধরা পড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি । এর জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত ।

ডায়াবেটিসে রক্ত আঠার মতো হয়ে যায় । কোশগুলির মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে পারে না এই রক্ত । চারিদিকে শুগার অথচ, কোশের মধ্যে যে শুগার পৌঁছনোর দরকার এনার্জির জন্য, সেখানে শুগার নেই । এর ফলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত কোনও কোশই ভালো থাকে না । ডায়াবেটিসের কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে । চোখ, দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে । যৌন ক্ষমতা চলে যায় । খাবার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে । কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে । পায়ের আঙুল খসে পড়ে যেতে পারে ।


চিকিৎসা কী রয়েছে?

প্রথম কাজ হবে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল এবং ডায়েট মেনটেইন করা । যিনি যেমন পরিশ্রম করছেন, তাঁর শরীরের ওজনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয় । যিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাঁর ক্ষেত্রে খাবারের পরিমাণ কমে যাবে । বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয় । তা হলে শরীরে বেশি ক্যালোরি জমা হবে । এক্ষেত্রে যদি পরিশ্রম করা না হয়, তা হলে ওজন বেড়ে যাবে । চিনিযুক্ত খাবারের জন্য নয়, ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র গাইডলাইন বলছে, দিনে ২৫ গ্রাম অর্থাৎ, ৫ চা চামচ পরিমাণের বেশি চিনি যেন না খাওয়া হয় । ছোটোদের ক্ষেত্রে 4 চা চামচ। কারণ, চিনি বেশি খেলে দাঁত নষ্ট হবে । নিয়মিত যদি সুগার, সুইট অ্যান্ড বেভারেজ জাতীয় খাবার যেমন, 250 ml-র বেশি কোল্ড ড্রিংকস খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি 13 শতাংশ বেড়ে যায় ।

খাবারের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়ার তুলনায় এই ধরনের পানীয় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি বাড়িয়ে দেয় । এই ধরনের পানীয়র কারণে ওজন বাড়ে । চিনি খাওয়ার কারণে সরাসরি ডায়াবেটিস হবে না । কিন্তু, ওজন অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়ে । তবে, যিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তিনি চিনি বেশি খেলে তাঁর শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যাবে । ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, প্যারালাইসিস, পায়ের আঙুল খসে যাওয়া সহ অন্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অতিরিক্ত চিনি খেলে এই সব সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায় ।

কলকাতা, 24 এপ্রিল : সাধারণ মানুষের অধিকাংশের ধারণা, চিনি খেলেই ব্লাড শুগার হয় । অর্থাৎ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । চিকিৎসা পরিভাষায় যা ডায়াবেটিস অথবা, ডায়াবেটিস মেলিটাস নামে পরিচিত । বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এটা ভ্রান্ত ধারণা । চিনি খেলেই শুগার হয় না । ডায়াবেটিসের জন্য রয়েছে অন্য কারণ । কী সেই কারণ, চিকিৎসা কী, প্রতিরোধের উপায়-ই-বা কী, এসব বিষয়ে বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাশিস বসু ।

সাধারণ মানুষের অধিকাংশের ধারণা চিনি খেলেই শুগার হয় । সত্যিই কি তাই?

ডায়াবেটিসের কারণ নয় চিনি । ডায়াবেটিসের সঙ্গে চিনির কোনও সম্পর্ক নেই । চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয় না । বিভিন্ন অর্গানাইজ়েশনও এটা বলেছে । যেমন, জস্টিন ডায়াবেটিস সেন্টার বলেছে, ডায়াবেটিসের কারণ চিনি, এটা একটি মিথ । একই কথা বলেছে ব্রিটিশ ডায়াবেটিস অর্গানাইজ়েশন । অ্যামেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, আসলে জিনগত এবং লাইফস্টাইলের কারণে ডায়াবেটিস হয় । সব থেকে বড় কারণ শরীরের ওজন অতিরিক্ত হয়ে যাওয়া । অনেক আগে এমন দেখা গেছে, যে সব খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে, সে সব খাবার, চিনিযুক্ত খাবারের তুলনায় ব্লাড শুগার বেশি বাড়িয়ে দেয় ।

চিনি আদতে বডির ফুয়েল । যেমন, গাড়ি চালানোর জন্য পেট্রল প্রয়োজন । ওই পেট্রলের মতো আমাদের শরীরে গ্লুকোজ়ের প্রয়োজন । এই গ্লুকোজ় মাসলে, ব্রেনে, গোটা শরীরে এনার্জি এনে দেয় । এখন দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে মাথাপিছু চিনির ব্যবহার কমছে । কিন্তু, ডায়াবেটিসের হার বাড়ছে । কারণ, জিনগত বিষয়টি তো ছিলই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাইফস্টাইল । পরিশ্রম কম করা, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান, এ সবের জন্যই সমস্যা দেখা দিচ্ছে । 2017-এ বিশ্লেষণ করা হয়েছিল, চিনি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনও সম্পর্ক নেই । এমনও দেখানো হয়েছে এই বিশ্লেষণে, যাঁরা বেশি চিনি খান, ডায়াবেটিস হওয়ার বিষয়ে তাঁদের 9 শতাংশ কম ঝুঁকি রয়েছে ।


ডায়াবেটিস কেন হয়?

মানুষ অলস হয়ে পড়েছেন‌ । খাদ্য প্রণালী বদলে গেছে । যেমন, কলকাতায় থেকে ইটালিয়ান, মেক্সিকান, স্প্যানিশ, থাই খাবার খাচ্ছেন অনেকেই । বাঙালি খাবার প্রায় খান না । আমাদের জিন যেভাবে সাজানো, এই ধরনের খাবারের সঙ্গে সেটা এত দ্রুত অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারেনি । পরিশ্রম কমে গেছে ।


তা হলে জিনগত কারণে ডায়াবেটিস হয় ?

জিনগত বিষয়টি বড় কারণ । এশিয়ার অধিবাসীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনের নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কাঠামোর বিভিন্ন বয়সি মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস হচ্ছে । কোনও একটা জিনের ওভার এক্সপ্রেশন অথবা আন্ডার এক্সপ্রেশন থেকে হচ্ছে । দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে লাইফস্টাইল । যে কোনও বয়সে ডায়াবেটিস হতে পারে । যত বয়স বাড়ে, প্যানক্রিয়াসের বয়সও তত বাড়ে । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলগুলির মৃত্যু হতে থাকে । এই কারণে, খুব ভালো জীবনযাপন করলেও বয়স বাড়লে ডায়াবেটিস দেখা যাচ্ছে ।


উপসর্গ কিছু আছে কী?

বয়স 30 হলেই নিয়মিত ব্লাড শুগার টেস্ট করান । দৈনন্দিন সামগ্রী হিসাবে গ্লুকোমিটার রাখা উচিত প্রতিটি বাড়িতে । যিনি রক্ত পরীক্ষা করান না, তিনি কিছু বুঝতে পারবেন না । কারণ, ডায়াবেটিস নিঃশব্দ ঘাতক । কোনও ক্ষত তৈরি হয়েছে, সারছে না । অথবা, অন্য কোনও রোগের ব্লাড টেস্টের সময় ধরা পড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি । এর জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত ।

ডায়াবেটিসে রক্ত আঠার মতো হয়ে যায় । কোশগুলির মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে পারে না এই রক্ত । চারিদিকে শুগার অথচ, কোশের মধ্যে যে শুগার পৌঁছনোর দরকার এনার্জির জন্য, সেখানে শুগার নেই । এর ফলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত কোনও কোশই ভালো থাকে না । ডায়াবেটিসের কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে । চোখ, দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে । যৌন ক্ষমতা চলে যায় । খাবার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে । কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে । পায়ের আঙুল খসে পড়ে যেতে পারে ।


চিকিৎসা কী রয়েছে?

প্রথম কাজ হবে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল এবং ডায়েট মেনটেইন করা । যিনি যেমন পরিশ্রম করছেন, তাঁর শরীরের ওজনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয় । যিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাঁর ক্ষেত্রে খাবারের পরিমাণ কমে যাবে । বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয় । তা হলে শরীরে বেশি ক্যালোরি জমা হবে । এক্ষেত্রে যদি পরিশ্রম করা না হয়, তা হলে ওজন বেড়ে যাবে । চিনিযুক্ত খাবারের জন্য নয়, ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র গাইডলাইন বলছে, দিনে ২৫ গ্রাম অর্থাৎ, ৫ চা চামচ পরিমাণের বেশি চিনি যেন না খাওয়া হয় । ছোটোদের ক্ষেত্রে 4 চা চামচ। কারণ, চিনি বেশি খেলে দাঁত নষ্ট হবে । নিয়মিত যদি সুগার, সুইট অ্যান্ড বেভারেজ জাতীয় খাবার যেমন, 250 ml-র বেশি কোল্ড ড্রিংকস খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি 13 শতাংশ বেড়ে যায় ।

খাবারের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়ার তুলনায় এই ধরনের পানীয় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি বাড়িয়ে দেয় । এই ধরনের পানীয়র কারণে ওজন বাড়ে । চিনি খাওয়ার কারণে সরাসরি ডায়াবেটিস হবে না । কিন্তু, ওজন অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়ে । তবে, যিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তিনি চিনি বেশি খেলে তাঁর শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যাবে । ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, প্যারালাইসিস, পায়ের আঙুল খসে যাওয়া সহ অন্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অতিরিক্ত চিনি খেলে এই সব সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায় ।

রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-হিংসা কথাবার্তায় আমি কান দিই না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ কেন্দ্রীয় বাহিনী করবে।নাম না করে তাঁর বিরোধী বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে কটাক্ষ করলেন বসিরহাটের তারকা তৃনমূল প্রার্থী নুসরত জাহান।আজ দুপুরে জেলা পরিষদ ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সায়ন্তন বসুর বক্তব্য নিয়ে নুসরতকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কাজ করবে।আমি হিংসা কথাবার্তায় কান দিই না। অপোজিশন নিয়ে তৃনমূলের তারকা প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অপোজিশন নিয়ে ভাবছি না।আমার ফোকাস পুরোপুরি আমার নিজের ওপর।আমি নিজে পজিটিভ চিন্তা ভাবনায় থাকি। তাই,কোন‌ও কথায় কান দিচ্ছি না।দরগার চেয়ে মন্দিরে বেশি যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে! এনিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে নুসরত তা অস্বীকার করে বলেন, আজকে আমি না মন্দিরে,না মসজিদে গিয়েছি।আমার ভগবান আমার বাবা ও মা আমার পাশে আছে। এইজন্য ভগবানকে খুঁজতে আমি অন্য কোথাও যাব কেন! ভগবানকে সাথে নিয়ে এসেছি। সম্প্রতি লকেট চট্টোপাধ্যায় বারাসত আদালতে হাজিরা দিতে এসে বলেছিলেন সেলিব্রেটিদের ভোট ক্যাচার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরে তারা জিতলে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হচ্ছে! এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃনমূলের তারকা প্রার্থী কোন‌ও মন্তব্যই করতে রাজি হননি।গতবার বসিরহাটে তৃনমূলের ৭ শতাংশ ভোট কমেছে। তৃনমূলের ভোট ব‍্যঙ্ক কি নিন্মগামী হচ্ছে! এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে নুসরত বলেন, আপনারা রেজাল্ট দেখে নেবেন।তারপর, আপনারাই বিচার করবেন।আমি যেখানেই প্রচারে যাচ্ছি, সেখানে সাধারন মানুষের এত ভালোবাসা,এত সাড়া পাচ্ছি তাতে আমি আমার জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী।তারপর তো বাকিটা রেজাল্ট বেরনোর পর‌ই সামনে আসবে।
Last Updated : Apr 24, 2019, 8:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.