সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) 9 জুলাই: ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পথে হেঁটে এবার টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রেলিয়াও । টিকটকের মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চিন । এই অভিযোগ তুলেই গ্রাহক স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সরকার নিষিদ্ধ করে এই অ্যাপ । একই ইশুতে টিকটক বন্ধ করার প্রস্তাব রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিধানসভার সদস্যমণ্ডলী ।
সম্প্রতি লিবেরাল সেনেটার জিম মোলান বলেন, "টিকটকের ব্যবহার-অপব্যবহার দু'টোই হয়েছে চিনের সরকারের দ্বারা ।" অপরদিকে লেবার সেনেটর জেনি মেকালিস্টার বিভিন্ন দেশের সুরক্ষার স্বার্থে টিকটক কর্তৃপক্ষকে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনগুলির মুখোমুখি হওয়ার দাবি তুলেছেন । যদিও এখনও পর্যন্ত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক কর্তৃপক্ষ । সত্যি কি চিন গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ? জল্পনা উসকে দিয়েছে চিনের একটি বিবৃতি ।
সম্প্রতি চিনের একটি দৈনিক সংবাদপত্রে একটি খবর প্রকাশিত হয় । সেখানে টিকটকের মূল সংস্থা বাইটডান্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে গ্রাহকদের তথ্য সঞ্চিত থাকে । চাইলেই এই তথ্যগুলি চিন সহজেই ব্যবহার করতে পারবে । চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংস্থার তরফে জানানো হয়, "আপনাদের বুঝতে হবে কোনও তথ্য সঞ্চয় সিস্টেম কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা কোনও ব্যক্তির মাধ্যমে তথ্য পরিবহনকে 100% সুরক্ষিত বলে প্রতিশ্রতি দেওয়া সম্ভব নয় ।" তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় জানা প্রয়োজন । একজন টিকটক ব্যবহারকারী যদি পরে তাঁর ডিভাইস থেকে কোনও টিকটক কনটেন্ট মুছে ফেলেন অথবা কোনও দেশের সরকার যদি সেই অ্যাপ নিষিদ্ধও করে তাহলে গ্রাহকের তথ্য একেবারে মুছে যায় না । সেটি সার্ভারে থেকেই যায় । কারণ একবার তথ্য স্থানান্তরিতকরণের পর মূল সংস্থার সাহায্য ছাড়া সেই তথ্যটি পুরোপুরি মুছে ফেলা অসম্ভব ।