ETV Bharat / city

কোরোনা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক মুখ্যমন্ত্রী, দাবি BJP সাংসদের

BJP সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "এই রাজ্যে অনেক মানুষ কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৷ অনেকে মারাও গিয়েছে ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার আমাদের বক্তব্যকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না ৷ তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোরোনা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি ৷"

mp
শ্বেতপত্র
author img

By

Published : Apr 27, 2020, 11:28 PM IST

মালদা, 27 এপ্রিল : কোরোনা নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন উত্তর মালদার BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ আজ মানিকচকে এক শ্রমিক কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই এই দাবি তোলেন তিনি ৷ এর আগে তিনিই প্রথম অভিযোগ তুলেছিলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের কোরোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মালদা মেডিকেলে মৃত্যু হয়েছে ৷ সেই মৃত্যুর ঘটনাও রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷


আজ ETV ভারতকে তিনি বলেন, “সারা দেশেই এখন কোরোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গেও তা ছড়াচ্ছে ব্যাপক হারে । অনেকে মারাও যাচ্ছেন ৷ তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোরোনা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি ৷" তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানান, কোন জেলায় কোন হাসপাতালে কতজন কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ৷ এখন কতজন কোরোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভরতি রয়েছে৷”

তিনি বলেন, “এখনও এখানে কোনও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না ৷ বহু জায়গায় ভিড় করছেন অনেকে । দোকানপাট খুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ সেখানে সামাজিক দূরত্বর কোনও বালাই নেই ৷ এসব নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ৷ আজ মানিকচকে একজন কোরোনা পজ়িটিভের সন্ধান মিলেছে ৷ সেটাও সরকারিভাবে এখনও স্বীকার করা হয়নি ৷ অথচ সেই রোগীকে শিলিগুড়ির কোরোনা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হল৷"

তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, "আমার ধারণা কোরোনা পজ়িটিভ অনেক রোগী এখানে আগে ভরতি হয়েছে ৷ মারাও গিয়েছে ৷ কিন্তু সেই তথ্য চেপে দেওয়া হয়েছে ৷ এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক কোরোনা আক্রান্তকে মালদা মেডিকেলের সাধারণ ওয়ার্ডে ভরতি রেখে চিকিৎসা করা হয়েছিল ৷ সেই রোগীর মৃত্যুও হয় ৷ আমার কাছে খবর রয়েছে, মানিকচকের কোরোনা আক্রান্ত ওই পরিযায়ী শ্রমিক সরকারি কোয়ারানটিনে যাওয়ার তিনদিন আগেই বাড়ি ফিরে এসেছিল৷ সে এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে ৷ তার মাধ্যমে কতজন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছে তা এখন প্রশাসনকেই বের করতে হবে ৷”


এদিকে আজ বিকেলেই কোরোনা পজ়িটিভ ওই পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে মানিকচক কলেজের সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তাদের তিনজনেরই সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ গোটা গ্রামকে নজরবন্দী করে রেখেছে প্রশাসন ৷ কাউকে গ্রামে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্পও ৷

মালদা, 27 এপ্রিল : কোরোনা নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন উত্তর মালদার BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ আজ মানিকচকে এক শ্রমিক কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই এই দাবি তোলেন তিনি ৷ এর আগে তিনিই প্রথম অভিযোগ তুলেছিলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের কোরোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মালদা মেডিকেলে মৃত্যু হয়েছে ৷ সেই মৃত্যুর ঘটনাও রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷


আজ ETV ভারতকে তিনি বলেন, “সারা দেশেই এখন কোরোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গেও তা ছড়াচ্ছে ব্যাপক হারে । অনেকে মারাও যাচ্ছেন ৷ তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোরোনা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি ৷" তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানান, কোন জেলায় কোন হাসপাতালে কতজন কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ৷ এখন কতজন কোরোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভরতি রয়েছে৷”

তিনি বলেন, “এখনও এখানে কোনও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না ৷ বহু জায়গায় ভিড় করছেন অনেকে । দোকানপাট খুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ সেখানে সামাজিক দূরত্বর কোনও বালাই নেই ৷ এসব নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ৷ আজ মানিকচকে একজন কোরোনা পজ়িটিভের সন্ধান মিলেছে ৷ সেটাও সরকারিভাবে এখনও স্বীকার করা হয়নি ৷ অথচ সেই রোগীকে শিলিগুড়ির কোরোনা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হল৷"

তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, "আমার ধারণা কোরোনা পজ়িটিভ অনেক রোগী এখানে আগে ভরতি হয়েছে ৷ মারাও গিয়েছে ৷ কিন্তু সেই তথ্য চেপে দেওয়া হয়েছে ৷ এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক কোরোনা আক্রান্তকে মালদা মেডিকেলের সাধারণ ওয়ার্ডে ভরতি রেখে চিকিৎসা করা হয়েছিল ৷ সেই রোগীর মৃত্যুও হয় ৷ আমার কাছে খবর রয়েছে, মানিকচকের কোরোনা আক্রান্ত ওই পরিযায়ী শ্রমিক সরকারি কোয়ারানটিনে যাওয়ার তিনদিন আগেই বাড়ি ফিরে এসেছিল৷ সে এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে ৷ তার মাধ্যমে কতজন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছে তা এখন প্রশাসনকেই বের করতে হবে ৷”


এদিকে আজ বিকেলেই কোরোনা পজ়িটিভ ওই পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে মানিকচক কলেজের সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তাদের তিনজনেরই সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ গোটা গ্রামকে নজরবন্দী করে রেখেছে প্রশাসন ৷ কাউকে গ্রামে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্পও ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.