কলকাতা ও আসানলোন, 7 অক্টোবর: গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতারের পর এই প্রথম এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের জেরার সম্মুখীন হতে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain is Questioning by ED) ৷ ইতিমধ্যে, দিল্লি থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বেশ কয়েকজনের প্রতিনিধি দল কলকাতায় এসে পৌঁছেছে ৷ কলকাতা থেকে তাঁরা সড়কপথে আসানসোল যাবেন ৷ সেখানে আসানসোল সংশোধনাগারে সায়গল হোসেনকে জেরা করছেন ইডি’র গোয়েন্দারা ৷
গত 28 সেপ্টেম্বর আসানসোল সিবিআই আদালতে সায়গল’কে জেরা করতে চেয়ে আবেদন করেছিল ইডি ৷ সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আসানসোল সিবিআই আদালত ৷ সেই মতো শুক্রবার সকালে আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছায় ইডি’র 6 সদস্যের দল ৷ জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য 4 জন আধিকারিক ভিতরে গিয়েছেন ৷
ইডি সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন এই দেহরক্ষীর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ৷ এমনকী তাঁর বাড়ির পরিচারক এবং পরিচারিকার নামেও সম্পত্তি কেনা রয়েছে ৷ আর সেই সম্পত্তির পরিমাণ নিছক কম নয় ৷ রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশকর্মী কীভাবে এতো বিপুল অংকের সম্পত্তি হল ? কনস্টেবল হয়েও কীভাবে 100 কোটির বেশি টাকার মালিক হলেন সায়গল ? এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী ? তা জানতেই ইডির গোয়েন্দারা আজ প্রথমবার অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে জেরা করছেন ৷
আরও পড়ুন: 5 নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত সায়গলের, জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি
শুধু সায়গল হোসেনের নামে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি আছে তেমনটা নয় ৷ অভিযোগ তাঁর মামার বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও এই সম্পত্তির বাটোয়ারা করা হয়েছে ৷ সায়গল হোসেনের প্রত্যেক আত্মীয়ের সম্পত্তির একটি তালিকা তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ 2015 সালের পর সায়গল হোসেনের সম্পত্তি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে ৷ যা কয়েকশো কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছয় ৷ কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাড়ল, তা জানতে চাইবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের 14 দিনের জেল হেফাজতে সায়গল
ইডি মূলত জানতে চাইছে, কীভাবে একজন কনস্টেবল থেকে 100 কোটির মালিক হলেন সায়গল হোসেন ? কীভাবে সরকারি চাকরির করা কালীন ব্যবসা শুরু করলেন ? একাধিক ডাম্পার ও পরিবহণ ব্যবসায় যুক্ত হতে তাঁর কাছে পুঁজি কথা থেকে এল ? এমন একাধিক প্রশ্ন করা হচ্ছে সায়গল হোসেনকে ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, গরুপাচার কাণ্ডে যে ‘প্রটেকশন মানি’ অনুব্রত মণ্ডলের কাছে আসতো ৷ তা সায়গল হোসেন মারফত বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে যেত ৷ সেই সব প্রভাবশালীদের নামও সায়গল হোসেনের থেকে জানার চেষ্টা করছে ইডি ৷