কলকাতা, 1 মে : হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তদের ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগী হল রাজ্য়ের স্বাস্থ্য দফতর ৷ জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা ৷ এবার থেকে কারও শরীরে করোনার উপসর্গ থাকলে, তাঁর সঙ্গে যদি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নাও থাকে, তাহলেও তাঁকে ভর্তি নিতে হাসপাতালে ৷ সেক্ষেত্রে যদি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে শয্যা না থাকে, তাহলে অন্য হাসপাতালে রেফার করার আগে ওই রোগীর জন্য শয্যার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে সেই হাসপাতালকেই, যারা রোগীকে রেফার করছে ৷
প্রসঙ্গত, এতদিন করোনা রোগীকে ভর্তির ক্ষেত্রে সঙ্গে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক ছিল ৷ এবার থেকে সেই ঝঞ্ঝাট আর পোহাতে হবে না রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের ৷
উল্লেখ্য, যত সময় যাচ্ছে, রাজ্যে ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনার সংক্রমণ ৷ শেষ তিনদিন গড়ে 17 হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড ভাইরাসে ৷ রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলির উপর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য চাপ ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফলে পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার আগেই অনেক রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ৷ শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি বাড়ছে ৷ কিন্তু তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ সঙ্গে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট না থাকায় হাসপাতাল ভর্তি নিচ্ছে না ৷ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, একাধিক হাসপাতাল ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু হচ্ছে রোগীর ৷ এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা নজরে আসার পরই এই বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর ৷
স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী হাসপাতালে এলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হবে ৷ র্যাপিড অ্যান্টিজ়েন পরীক্ষা করিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে ৷
রাজ্যের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুই এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘করোনা রোগী আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে বাড়ি ফিরে যান ৷ তাঁর থেকে আরও পাঁচজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় ৷ তার উপর রিপোর্ট আসার আগে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যা আরও জটিল হয় ৷ এক্ষেত্রে অ্যান্টিজ়েন পরীক্ষাই হয়ে উঠতে পারে মুশকিল আসান ৷’’
আরও পড়ুন : করোনা কাড়ল রাজ্যের আরও দুই চিকিৎসকের প্রাণ
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালে যাওয়ার পর যদি কোনও করোনা রোগীকে সেই হাসপাতাল ভর্তি নিতে না পারে, তাহলে অন্য হাসপাতালে রেফার করার আগে তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা করে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই ৷ সেক্ষেত্রে অন্য হাসপাতালে শয্যা পেতে আর অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ৷