আহমেদাবাদ, ৭ মে : মোস্ট ওয়ান্টেড এক গ্যাংস্টারকে গ্রেপ্তার করল গুজরাত অ্যান্টি টেররিজ়ম স্কয়্যাড (ATS) । আর এই ATS টিমের সদস্য ছিলেন পাঁচজন । তাঁদের মধ্যে চারজন মহিলা । ধৃত গ্যাংস্টারের নাম জুসাব আল্লারাখা সান্ধ (৪০) । তাকে রবিবার বোটাডের একটি জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
জুসাবের বিরুদ্ধে আহমেদাবাদ, রাজকোট, জুনাগড় এলাকায় ২৩টি অভিযোগ রয়েছে । তার মধ্যে রয়েছে খুন, তোলাবাজি, চুরির মামলার মতো একাধিক অভিযোগ । গতবছরের জুনে প্যারোলো থাকার সময় সে পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গত সাত মাস জুসাব বোটাডের জঙ্গলে আত্মগোপন করেছিল ।
ATS একটি প্রেস বিবৃতি বলে, "ওই অপরাধী বোটাডের জঙ্গলে আত্মগোপন করেছিল । ওখানকার স্থানীয় পুলিশও ওকে ধরতে ব্যর্থ হয় । এরপরই ওকে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয় ATS-কে । ঘটনাস্থানে পাঠানো হয় ATS-এর একটি টিমকে । ওই টিমের পাঁচ সদস্য ছিলেন । তার মধ্যে ছিলেন সন্তোকবেন ওদেদরা, অরুণাবেন গামেতি, নিতামিকা গোহেল, শকুন্তলা মালচার নামে চার মহিলা সাব ইন্সপেক্টর । এছাড়াও জিগনেশ আগরাভাত নামে এক পুরুষ সাব ইন্সপেক্টর । ওই পাঁচজন অপারেশনটি চালান । গ্রেপ্তার করা হয় জুসাবকে ।"
এই বিষয়ে ওদেদরার বক্তব্য, "ওই গ্যাংস্টারের লুকিয়ে থাকার খবর আমাদের কাছে আসে । কুইক রেসপন্স টিম সঙ্গে সঙ্গে ওকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে । জুসাব এমন একটা জায়গায় আত্মগোপন করেছিল যেখানে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না । আমরা শনিবার রাতে ঘটনাস্থানে হেঁটে পৌঁছাই । এর আগেও জুসাব পুলিশের গাড়ির উপর হামলা চালিয়েছিল । সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা সূর্যোদয় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারিনি । জুসাবকে ঘর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ।"
জুনের শেষের দিকে স্ত্রীর শেষকৃত্যে কাজে যাওয়ার জন্য জুসাব প্যারোলে মুক্তি পায় । সেই সময় সে পালিয়ে যায় । পালানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই সে জীবনভাই সংঘভাই নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে বলে অভিযোগ।
ওদেদরা বলেন, "ATS-এর বিভাগকে পুলিশের জেনেরাল ডিরেক্টর আদেশ দেন জুসাবকে যে কোনওভাবেই গ্রেপ্তার করতে হবে । জুসাব চারটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত । এছাডা়ও তার বিরুদ্ধে অতীতে পুলিশের গাড়ির উপর হামলা সহ একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে । সে অপরাধ করে জঙ্গলে পালিয়ে যায় । কারণ সে জঙ্গলের রাস্তা ভালো চেনে ।" তাঁর মতে, " জুসাব ফোন ও বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকত । পুলিশের কাছে ওকে ধরার এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল । ওর দলের ২-৩ জন ওর জন্য খাবার এনে দিত প্রতিদিন । রবিবার জুসাবকে গ্রেপ্তারের পর CID ক্রাইমের হাতে তুলে দেওয়া হয় । CID ওর মামলাগুলোর পরবর্তী তদন্ত করবে ।"