ETV Bharat / briefs

অর্ণবের অপসারণে খুশি মালদা জেলা কংগ্রেস

author img

By

Published : Apr 20, 2019, 11:53 PM IST

Updated : Apr 21, 2019, 12:06 AM IST

মালদার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব

ইশা খান চৌধুরি

মালদা, 20 এপ্রিল : মালদায় পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি মালদা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের দাবি ছিল, অর্ণব ঘোষ থাকলে জেলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। আজ বিকেলে পুলিশ সুপারের অপসারণের পর কংগ্রেসের দাবি, তাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হল।

মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরি বলেন, "পুলিশ সুপারের অপসারণের খবরে আমরা খুব খুশি। তাঁর নেতৃত্বে যেভাবে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে, সেটাকে নির্বাচন বলতে লজ্জা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদার প্রচুর ভালো মানুষের বিরুদ্ধেও পুলিশ মিথ্যে মামলা রুজু করেছে । স্ট্রংরুমে ব্যালট বাক্স রেইড করেছে । বুথের মধ্যে পুলিশ ঢুকেছে । সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ ছিল না । সেজন্য আমাদের দাবি ছিল, লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরাতে হবে । না হলে জেলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কোনওভাবেই সম্ভবপর নয় । নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মানুষের ভরসা থাকবে না । পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে লুট হয়েছে তাতে মানুষের মনে একটা ভয় ছিল । আমাদের ভয় ছিল, এই পুলিশ সুপার থাকলেও লোকসভা নির্বাচনেও পঞ্চায়েত ভোটের ছবি দেখা যাবে। নির্বাচন কমিশন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় আমরা খুব খুশি । "

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা একাধিক অভিযোগ জানিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক পুলিশ সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই নির্দেশ মানা হয়নি। তাই বিবেক দুবে কমিশনকে জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তারই পরিণতি হিসেবে সুপার অপসারিত হয়েছেন।"

অপরদিকে, আজ বিবেক দুবের সঙ্গে দেখা করেন অর্ণব ঘোষ। বৈঠক শেষে মালদার নতুন সার্কিট হাউজ় থেকে বেরিয়ে আসেন অর্ণব ঘোষ। চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ততক্ষণে অপসারণের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। একবার আড়চোখে তাকালেন সংবাদমাধ্যমের দিকে । তারপরে নিজের গাড়িতে বেরিয়ে যান। জেলার পুলিশ মহলের একাংশ অবশ্য তাঁর বিদায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। পুলিশের একটি মহলই অর্ণব ঘোষের কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল বলে খবর। বিশেষত, অধঃস্তন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর খারাপ ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

মালদা, 20 এপ্রিল : মালদায় পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি মালদা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের দাবি ছিল, অর্ণব ঘোষ থাকলে জেলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। আজ বিকেলে পুলিশ সুপারের অপসারণের পর কংগ্রেসের দাবি, তাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হল।

মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরি বলেন, "পুলিশ সুপারের অপসারণের খবরে আমরা খুব খুশি। তাঁর নেতৃত্বে যেভাবে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে, সেটাকে নির্বাচন বলতে লজ্জা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদার প্রচুর ভালো মানুষের বিরুদ্ধেও পুলিশ মিথ্যে মামলা রুজু করেছে । স্ট্রংরুমে ব্যালট বাক্স রেইড করেছে । বুথের মধ্যে পুলিশ ঢুকেছে । সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ ছিল না । সেজন্য আমাদের দাবি ছিল, লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরাতে হবে । না হলে জেলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কোনওভাবেই সম্ভবপর নয় । নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মানুষের ভরসা থাকবে না । পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে লুট হয়েছে তাতে মানুষের মনে একটা ভয় ছিল । আমাদের ভয় ছিল, এই পুলিশ সুপার থাকলেও লোকসভা নির্বাচনেও পঞ্চায়েত ভোটের ছবি দেখা যাবে। নির্বাচন কমিশন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় আমরা খুব খুশি । "

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা একাধিক অভিযোগ জানিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক পুলিশ সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই নির্দেশ মানা হয়নি। তাই বিবেক দুবে কমিশনকে জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তারই পরিণতি হিসেবে সুপার অপসারিত হয়েছেন।"

অপরদিকে, আজ বিবেক দুবের সঙ্গে দেখা করেন অর্ণব ঘোষ। বৈঠক শেষে মালদার নতুন সার্কিট হাউজ় থেকে বেরিয়ে আসেন অর্ণব ঘোষ। চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ততক্ষণে অপসারণের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। একবার আড়চোখে তাকালেন সংবাদমাধ্যমের দিকে । তারপরে নিজের গাড়িতে বেরিয়ে যান। জেলার পুলিশ মহলের একাংশ অবশ্য তাঁর বিদায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। পুলিশের একটি মহলই অর্ণব ঘোষের কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল বলে খবর। বিশেষত, অধঃস্তন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর খারাপ ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

Intro:মালদা, ৩১ মার্চঃ এক যুবতি সহ দুই শিশুর গলা কেটে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইংরেজবাজারে৷ গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গৌড় মালদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়৷ গুরুতর আহত তিনজনই মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন৷Body:আহত মহিলার নাম সেলেনুর বিবি৷ বয়স ৩২৷ বাড়ি কালিয়াচক থানার আলিনগরের চামাগ্রামে৷ শওহর সাজাহান শেখ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন৷ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেলেনুর বিবির বড়ো মেয়ে তুহিনা পারভিনের মুখে একটি ক্ষত দেখা দিয়েছিল৷ তার চিকিৎসার জন্য সেলেনুর বিবি দুই মেয়ে ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কলকাতায় মেয়ের চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন৷ একটি লোকাল ট্রেনে তাঁরা ফরাক্কা পৌঁছন৷ ফরাক্কা থেকে তাঁদের কলকাতার জন্য ট্রেন ধরার কথা ছিল৷ পরিবারের লোকজন ট্রেনে উঠে পড়লেও সেলেনুর বিবি ও তাঁর মেয়েরা ট্রেনে উঠতে পারেনি৷ দুই মেয়েকে নিয়ে ফরাক্কা স্টেশনের এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকেন সেলেনুর বিবি৷ সেখানে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়৷ ওই যুবককে সেলেনুর বিবি নিজের এলাকায় দেখেছে৷ সে নিজে কালিয়াচক যাচ্ছে, তাঁদের কালিয়াচকে পৌঁছে দেবে বলে জানায়৷ ওই যুবকটি তাঁদের একটি ট্রেনে তুলে কালিয়াচকের বদলে গৌড় মালদা স্টেশনে নিয়ে আসে৷ সেখানে একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে সেলেনুর বিবির কাছে টাকা দাবি করে৷ সেলেনুর বিবির সঙ্গে থাকা সাড়ে সাত হাজার টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয় সে৷ সেলেনুর বিবির কানের দুল চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন৷ সেই সময় ওই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেয়৷ আম্মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে কাঁদতে শুরু করে দুই মেয়ে৷ দুই শিশুর কান্না থামাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলাও কেটে দেয় ওই যুবক৷ সেলেনুর বিবিই কোনোরকমে স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে দুই সন্তানকে নিয়ে মালদা মেডিকেলে পৌঁছোন৷ বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা৷
সেলেনুর বিবি জানান, "মেয়ের চিকিৎসার জন্য কলকাতা যাচ্ছিলাম৷ ফরাক্কায় ট্রেন মিস হয়ে যায় আমার৷ সেখানে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয়৷ ওই যুবককে আমি চিনি, কিন্তু নাম জানি না৷ সে জানায়, সে'ও কালিয়াচকে যাবে৷ আমাদের খালতিপুর স্টেশনে নামিয়ে দেবে৷ কিন্তু খালতিপুর স্টেশন পেরিয়ে গেলেও ওই যুবক কিছু জানায়নি৷ আমাদের গৌড় মালদা স্টেশনে নামিয়ে বাস ধরিয়ে দেওয়ার নাম করে একটি আমবাগানে নিয়ে যায়৷ বাগানে গিয়েই আমার সমস্ত টাকা নিয়ে নেয় সে৷ হাতের আংটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরে কানের দুল নেওয়ার চেষ্টা করে৷ আমি বাধা দিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দেয়৷ মেয়েরা কাঁদতে শুরু করলে তাদের কান্না থামাতে তাদের গলা কেটে দেয় ওই যুবক৷" খবর পেয়ে আজ বোন ও দুই ভাগ্নিকে দেখতে মালদা মেডিকেলে আসেন দাদা তাহিদুর শেখ৷ তিনি বলেন, বোনের মুখ থেকে সব ঘটনা তিনি শুনেছেন৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হতে চলেছেন৷
Conclusion:ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ অভিযোগ দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ একই কথা জানিয়েছে মালদা রেল পুলিশও৷
Last Updated : Apr 21, 2019, 12:06 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.