মালদা, 20 এপ্রিল : মালদায় পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি মালদা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের দাবি ছিল, অর্ণব ঘোষ থাকলে জেলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। আজ বিকেলে পুলিশ সুপারের অপসারণের পর কংগ্রেসের দাবি, তাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হল।
মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরি বলেন, "পুলিশ সুপারের অপসারণের খবরে আমরা খুব খুশি। তাঁর নেতৃত্বে যেভাবে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে, সেটাকে নির্বাচন বলতে লজ্জা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদার প্রচুর ভালো মানুষের বিরুদ্ধেও পুলিশ মিথ্যে মামলা রুজু করেছে । স্ট্রংরুমে ব্যালট বাক্স রেইড করেছে । বুথের মধ্যে পুলিশ ঢুকেছে । সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ ছিল না । সেজন্য আমাদের দাবি ছিল, লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরাতে হবে । না হলে জেলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কোনওভাবেই সম্ভবপর নয় । নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মানুষের ভরসা থাকবে না । পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে লুট হয়েছে তাতে মানুষের মনে একটা ভয় ছিল । আমাদের ভয় ছিল, এই পুলিশ সুপার থাকলেও লোকসভা নির্বাচনেও পঞ্চায়েত ভোটের ছবি দেখা যাবে। নির্বাচন কমিশন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় আমরা খুব খুশি । "
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা একাধিক অভিযোগ জানিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক পুলিশ সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই নির্দেশ মানা হয়নি। তাই বিবেক দুবে কমিশনকে জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তারই পরিণতি হিসেবে সুপার অপসারিত হয়েছেন।"
অপরদিকে, আজ বিবেক দুবের সঙ্গে দেখা করেন অর্ণব ঘোষ। বৈঠক শেষে মালদার নতুন সার্কিট হাউজ় থেকে বেরিয়ে আসেন অর্ণব ঘোষ। চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ততক্ষণে অপসারণের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। একবার আড়চোখে তাকালেন সংবাদমাধ্যমের দিকে । তারপরে নিজের গাড়িতে বেরিয়ে যান। জেলার পুলিশ মহলের একাংশ অবশ্য তাঁর বিদায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। পুলিশের একটি মহলই অর্ণব ঘোষের কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল বলে খবর। বিশেষত, অধঃস্তন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর খারাপ ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না।