পটনা, 30 ডিসেম্বর: পূর্ব ভারতের তিনটি রাজ্য - বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করেছিল বিজেপি ৷ 2024 সালের লোকসভা ভোটেও একই রকম বা তার থেকে ভালো ফল করার লক্ষ্য নিয়ে এখন থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবির ৷ ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রতিপক্ষ বদল হয়নি ৷ কিন্তু বিহারে হয়েছে ৷ পাঁচ বছর আগে বিজেপির বন্ধু নীতীশ কুমার এখন লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ৷ তাই লালু-নীতীশের যুগলবন্দির সঙ্গে কি পেরে উঠবে বিজেপি ? এটাই এখন জাতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷
অনেকে বলছেন এক্ষেত্রে অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন জেডিইউ-এর নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷ সারা দেশের রাজনৈতিক মহল এখন তাঁকে ‘পাল্টিবাজ’ নেতা হিসেবেই চেনে ৷ তাই ভোটের আগে তিনি ঠিক কোন পক্ষে থাকবেন, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ৷ সেই সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে নীতীশের সাম্প্রতিক কয়েকটি পদক্ষেপ ৷ তার মধ্যে অন্যতম লালন সিংকে জেডিইউ-এর সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে নিজেই সেই পদে বসে যাওয়া ৷
রাজনৈতিক মহল বলছে, বিহারে জেডিইউ-এর হাতে দলিত, মহাদলিত, মুসলিম, ওবিসি ও ইবিসি ভোটারদের বড় অংশ রয়েছে ৷ ফলে নীতীশ কুমার যেদিকে থাকবেন, সেদিকে এই ভোটাররা থাকবেন ৷ 2015 সালে আরজেডি বিহার বিধানসভা ভোটে এর সুফল পেয়েছে ৷ 2019 সালে লোকসভা ভোটে ও 2020 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে সেই সুফল পায় বিজেপিও ৷
যদিও 2020 সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ও বিজেপির চেয়ে কম আসন পায় জেডিইউ ৷ তাই এই প্রশ্নও উঠছে যে ওই ভোটব্যাংক নীতীশের সঙ্গে আদৌ আছে তো ? কয়েকমাস পর যখন লোকসভা নির্বাচনের ফল বের হবে, তখন এর উত্তর অবশ্যই মিলবে ৷ তাছাড়া লালন সিংকে ঘিরে জেডিইউ ভাঙার যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তা প্রশ্ন তুলছে যে জেডিইউ-এর নিয়ন্ত্রণ নীতীশের হাতে ঠিক কতটা রয়েছে ? তাই শেষ পর্যন্ত বিহারের রাজনীতি কোন পথে এগোয় সেটাই এখন দেখার ৷
আরও পড়ুন: