ETV Bharat / state

বসিরহাটে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে ব‍্যাঙ্ককর্মীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ! ধৃতের 6 দিনের পুলিশি হেফাজত - BASIRHAT GANG RAPE AND MURDER

সোমবার সন্ধ্যায় দেহ উদ্ধার ৷ গণধর্ষণের অভিযোগ পরিবারের ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ ৷

Representative Image
বসিরহাটে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে ব‍্যাঙ্ককর্মীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ! (প্রতীকী ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 25, 2025, 9:34 PM IST

বসিরহাট, 25 ফেব্রুয়ারি: বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে ব‍্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের হল বসিরহাট থানায় । ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে থানায় গিয়ে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত ব‍্যাঙ্ককর্মীর স্বামী । সেই অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ । বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের এক কর্মীকেও পাকড়াও করা হয়েছে । ধৃত আসাউদ্দিন মোল্লাকে এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ছ'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।

উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, "অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । তবে, ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয় । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে । সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা ।"

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় বছর 26-এর ওই মহিলা ব‍্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বসিরহাটের দণ্ডিরহাট বাজার এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার থেকে । পরে দরজা ভেঙে তাঁর দেহ সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

নিহত ওই ব‍্যাঙ্ককর্মীর পরিবারের অভিযোগ, "তাঁকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের ওই কর্মীর একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয় । গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করতে দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সিলিংয়ে ।" তাই, তাঁরা এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন । সেই সঙ্গে অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ।

পরিবার সূত্রে খবর, ওই মহিলা দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন । দেগঙ্গা থানা এলাকাতেই তাঁর বাড়ি । বাড়িতে তাঁর স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির অন‍্যান‍্য সদস্যরা রয়েছেন । ফলে, তিনি কীভাবে বসিরহাটের ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছলেন ! কী ভাবেই বা তাঁর মৃত্যু হল । তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । তবে মৃত মহিলার স্বামীর দাবি, ‘‘নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে সঙ্গে যুক্ত এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল তাঁর স্ত্রীর । সেই ভুলিয়ে ভালিয়ে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বসিরহাটের দণ্ডিরহাটে । তাঁকে জেরা করলেই সবটা বেরিয়ে আসবে ।"

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি খোলা হয়েছিল । সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে সেটি তালাবন্ধ ছিল । হঠাৎ করে কেন নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের দরজা বন্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে স্থানীয়দের মধ্যে । খবর যায় বসিরহাট থানায় । পরে, দরজা ভেঙে সেখান থেকেই পুলিশ ওই ব‍্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে । সেই সময় মৃত মহিলার পরিচয় জানা না গেলেও পরবর্তীতে পুলিশ খোঁজ খবর নিয়ে তাঁর পরিচয় জানতে পারে ।

মৃতের স্বামী বলেন, "ঘটনার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী বসিরহাটে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল । বলেছিল, ওখানে নাকি কোনও সেমিনার রয়েছে । এরপর দুপুরে এবং বিকেলে দু'বার কথা হয়েছিল ফোনে । বলেছিল সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসবে । কিন্তু, রাতে কয়েকবার ফোন করা হলেও স্ত্রী আর ফোন ধরেননি । অন‍্য একটি নম্বর থেকে ওর মোবাইলে ফোন করতেই বিষয়টি জানায় পুলিশ ।"

তাঁর দাবি, "ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে আমার স্ত্রীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল । সে-ই পরিকল্পনা করে আমার স্ত্রীকে খুন করেছে । ও আত্মহত্যা করতে পারে না ।"

একই সুর শোনা গিয়েছে মৃতের কাকার গলাতেও । তাঁর কথায়, "এটা গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা । একা কারও পক্ষে ধর্ষণ করে খুন করা সম্ভব নয় । তাছাড়া ওর ওড়নার মাপ ছিল দেড় হাতের মতো । তা দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয় । বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই ওকে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । এটা আমরা এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি ।"

বসিরহাট, 25 ফেব্রুয়ারি: বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে ব‍্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের হল বসিরহাট থানায় । ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে থানায় গিয়ে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত ব‍্যাঙ্ককর্মীর স্বামী । সেই অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ । বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের এক কর্মীকেও পাকড়াও করা হয়েছে । ধৃত আসাউদ্দিন মোল্লাকে এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ছ'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।

উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, "অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । তবে, ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয় । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে । সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা ।"

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় বছর 26-এর ওই মহিলা ব‍্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বসিরহাটের দণ্ডিরহাট বাজার এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার থেকে । পরে দরজা ভেঙে তাঁর দেহ সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

নিহত ওই ব‍্যাঙ্ককর্মীর পরিবারের অভিযোগ, "তাঁকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের ওই কর্মীর একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয় । গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করতে দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সিলিংয়ে ।" তাই, তাঁরা এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন । সেই সঙ্গে অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ।

পরিবার সূত্রে খবর, ওই মহিলা দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন । দেগঙ্গা থানা এলাকাতেই তাঁর বাড়ি । বাড়িতে তাঁর স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির অন‍্যান‍্য সদস্যরা রয়েছেন । ফলে, তিনি কীভাবে বসিরহাটের ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছলেন ! কী ভাবেই বা তাঁর মৃত্যু হল । তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । তবে মৃত মহিলার স্বামীর দাবি, ‘‘নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে সঙ্গে যুক্ত এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল তাঁর স্ত্রীর । সেই ভুলিয়ে ভালিয়ে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বসিরহাটের দণ্ডিরহাটে । তাঁকে জেরা করলেই সবটা বেরিয়ে আসবে ।"

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি খোলা হয়েছিল । সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে সেটি তালাবন্ধ ছিল । হঠাৎ করে কেন নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের দরজা বন্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে স্থানীয়দের মধ্যে । খবর যায় বসিরহাট থানায় । পরে, দরজা ভেঙে সেখান থেকেই পুলিশ ওই ব‍্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে । সেই সময় মৃত মহিলার পরিচয় জানা না গেলেও পরবর্তীতে পুলিশ খোঁজ খবর নিয়ে তাঁর পরিচয় জানতে পারে ।

মৃতের স্বামী বলেন, "ঘটনার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী বসিরহাটে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল । বলেছিল, ওখানে নাকি কোনও সেমিনার রয়েছে । এরপর দুপুরে এবং বিকেলে দু'বার কথা হয়েছিল ফোনে । বলেছিল সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসবে । কিন্তু, রাতে কয়েকবার ফোন করা হলেও স্ত্রী আর ফোন ধরেননি । অন‍্য একটি নম্বর থেকে ওর মোবাইলে ফোন করতেই বিষয়টি জানায় পুলিশ ।"

তাঁর দাবি, "ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে আমার স্ত্রীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল । সে-ই পরিকল্পনা করে আমার স্ত্রীকে খুন করেছে । ও আত্মহত্যা করতে পারে না ।"

একই সুর শোনা গিয়েছে মৃতের কাকার গলাতেও । তাঁর কথায়, "এটা গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা । একা কারও পক্ষে ধর্ষণ করে খুন করা সম্ভব নয় । তাছাড়া ওর ওড়নার মাপ ছিল দেড় হাতের মতো । তা দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয় । বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই ওকে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । এটা আমরা এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.