পানিপথ, 25 ফেব্রুয়ারি: বরের আনা লেহেঙ্গা মনে ধরল না কনের। বচসা শেষমেশ এমন পর্যায়ে গেল যে বিয়েই বন্ধ হয়ে গেল। কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরল বরযাত্রী। রবিবার এমনই অবাক করে দেওয়া ঘটনার সাক্ষী রইল হরিয়ানার পানিপথ।
লেহেঙ্গা পছন্দ হল না কনের:
পণ দিতে না পারায় বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সম্পূর্ণ বেআইনি হলেও আইনের নজর এড়িয়ে আজও দেশের বিভিন্ন জায়গা বিয়েকে কেন্দ্র করে পণ দেওয়া-নেওয়া হয় বলে শোনা যায়। সে সব সংবাদ শিরোনামেও আসে প্রায় নিয়ম করেই। কিন্তু হরিয়ানার পানিপথের মডেল টাউন এলাকার ভাটিয়া কলোনিতে বিয়ে বন্ধ হল লেহেঙ্গার জন্য।
বরের আনা লেহেঙ্গা পরেই বিয়ের আসরে বসতে চেয়েছিলেন কনে। সেই মতো লেহেঙ্গা আর গয়না নিয়ে বিয়ের আসরে হাজির হন বরের পরিবারের সদস্যরা। অল্পক্ষণ বাদেই শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। তার আগেই তাল কাটল। লেহেঙ্গা হাতে পেয়েই কনে দাবি করলেন সেটি পুরনো। লেহেঙ্গার মতো গয়না নিয়েও খুশি হতে পারেননি কনে। তাঁর দাবি, সোনার গয়নার নাম করে ইমিটেশনের গয়না নিয়ে আসা হয়েছে । এরপরই দু'পক্ষের মধ্যে প্রবল তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। ক্রমে তা হাতিহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বরের পরিবার কী বলছে?
বরের ভাই বলেন, "আমার বিয়ের জন্য দু'বছর সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু কনে পক্ষ মাত্র দশদিনের মধ্যে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে । সম্প্রতি আমরা নিজেদের বাড়ি তৈরি করেছি। তাই হাতে বিশেষ টাকা নেই। এরই মধ্য়ে যেভাবে পারি বিয়ের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু ওদের পছন্দ হল না।"
কনের মা কী বলছেন?
বরের বাড়ির দাবি খারিজ করে কনের মা বলেন, "বরপক্ষই চেয়েছিল বিয়ে হবে 23 ফেব্রুয়ারি। সেই মতো আমরা আয়োজন করি । ওরা পুরনো লেহেঙ্গা নিয়ে এসেছিল। গয়না যা এনেছিল তাও নকল। আমরা প্রতিবাদ করায় মারধর করতে শুরু করে।"