হায়দরাবাদ, 25 ফেব্রুয়ারি: মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণী কাগজ কুড়োতে ব্যস্ত ছিলেন ৷ তখন ওই অভিযুক্ত দু'জন তাঁকে তুলে নিয়ে যায় নির্জন জায়গায় ৷ সেইসময় এক অটো চালকের এই দৃশ্য চোখে পড়ে ৷ তারপরই তিনি পুলিশে ফোন করেন ৷ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘণ্টা তিনেক ধরে অভিযুক্তদের হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে পুলিশ ৷
হায়দরাবাদের রাঙ্গারেড্ডি জেলার মিয়াপুরের পুলিশ ওই তরুণীকে যেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা, সেই এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখে ৷ প্রায় তিন ঘণ্টা পর, মিয়াপুর পুলিশের তিনটি দল হন্যে হয়ে খুঁজত খুঁজতে আইডিএ বোল্লারাম রোডে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেকেন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ৷ সেখানে আর অন্য কেউ ছিলেন না ৷ তখনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, শারীরিক পরীক্ষার জন্য ৷ চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে ৷
পুলিশ ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ তবে মানসিক ভারসাম্যহীনের জন্য অভিযুক্তদের যথাযথ বিবরণ দিতে পারেননি ৷ তবে অটোচালকের বিবরণ, অন্যান্য এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিশ ৷ পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটে। অভযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল, তারা মহিলাকে অপহরণ করে এবং একটি নির্জন ও বন জঙ্গল ঘেরা এলাকায় নিয়ে যায় ৷ সেখানেই তারা ওই মহিলার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় ৷
সিসিটিভির যাচাই করে দেখার পর, পুলিশের তল্লাশিতে হায়দরাবাদের চান্দা নগর এলাকা থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করে। তারা রাঙ্গারেড্ডি জেলার সেরিলিঙ্গমপল্লি মণ্ডলের শান্তিনগরের বাসিন্দা ৷ এক অভিযুক্ত ইরাগাদিন্দলা বালকুমার ওরফে শিবকুমার শহরের বিভিন্ন গাড়ি চালায় ৷ তার বিরুদ্ধে আটটি চুরির মামলা রয়েছে ৷ অন্যদিকে, অপর অভিযুক্ত গৌরাগল্লা মহেশ মেদক জেলার আল্লাদুর্গামের গুড়িপেদ্দাপুরের বাসিন্দা ৷ তার বিরুদ্ধে খুন ও একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে।