ETV Bharat / state

ট্রলিতে দেহ নিয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে, ধৃত মা-মেয়ের উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রায় অতিষ্ঠ পড়শিরা - BODY IN TROLLEY BAG

কুমারটুলি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, ধৃত মা-মেয়ের উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন প্রতিবেশীরা ৷

ETV BHARAT
এই ট্রলিতেই নিয়ে যাওয়া হয় দেহ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 25, 2025, 5:55 PM IST

মধ‍্যমগ্রাম, 25 ফেব্রুয়ারি: কুমারটুলিতে ট্রলি ব্যাগে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে । খুনের পর সুমিতা ঘোষের দেহ ট্রলি ব‍্যাগে ভরে মধ‍্যমগ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে ভ‍্যানে করে সেটি প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দোলতলায় । এরপর একটি গাড়িতে চাপিয়ে ব‍্যাগবন্দি সেই দেহ সোজা নিয়ে যাওয়া হয় কাজিপাড়া রেল স্টেশনে । তারপর ট্রেনে করে পার্কসার্কাস স্টেশনে নেমে একটি হলুদ ট‍্যাক্সিতে সেটি নিয়ে আসার পর কুমারটুলির ঘাটে ট্রলিবন্দি দেহ গঙ্গায় ফেলে, তা গায়েব করার পরিকল্পনা করেছিলেন ধৃত আরতি ঘোষ ও ফাল্গুনী ঘোষ ।

স্থানীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা । ট্রলিতে দেহ নিয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এদিকে, মা ও মেয়ের উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তাঁদের পড়শিরা । এই হত‍্যার ঘটনা জানাজানি হতেই মা ও মেয়ের বেপরোয়া জীবনযাত্রা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন প্রতিবেশীরা ।

ETV BHARAT
ধৃত মা-মেয়ের মধ্যমগ্রামের বাড়িতে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)

উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন মা আরতি ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী । সেই বাড়ি ঘিরেই এখন যাবতীয় রহস্য ! যদিও খুনের ঘটনার পর সেই ভাড়া বাড়িটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ । তবে, বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে না পারায় খুনের ঘটনাস্থল, সেই বাড়ির ভিতরে এখনও প্রবেশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা ।

সূত্রের খবর, বাড়ির মালিকের এক নিকট আত্মীয়কে পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছে মধ্যমগ্রাম থানায় । তাই যতক্ষণ না তাঁকে নিয়ে পুলিশের পদস্থ কর্তারা ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পারছেন, ততক্ষণ এই রহস্য উদঘাটিত হবে না বলেই ধারণা তদন্তকারীদের । আপাতত যাবতীয় রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে মধ‍্যমগ্রামের সেই ভাড়া বাড়ি ।

এদিকে, কুমারটুলি-কাণ্ডে ধৃত আরতি ঘোষ ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ গত আড়াই বছর ধরে ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় । এলাকাটি মধ্যমগ্রাম পুরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত । তবে মা ও মেয়ে মেলামেশা করতেন না প্রতিবেশীদের সঙ্গে । স্থানীয়রা এর কারণ হিসেবে বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে তাঁদের উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রা ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মা ও মেয়ে সেভাবে কোনও কাজ করতেন না । বরং তাঁরা উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রা বেছে নিয়েছিলেন । রাত-বিরেতে নাকি বহিরাগত ছেলেদের ভিড় লেগেই লাগত ভাড়া বাড়িতে । সেখানেই আরতি ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনীর দুষ্কর্ম চলত বলে অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, তাঁদের দু'জনের চালচলনও ঠিক ছিল না বলে অভিযোগ । এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মধ‍্যমগ্রাম পুরসভা এবং থানাতে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিলেন । বাড়ির মালিককেও ভাড়াটে তুলে দিতে বলা হয়েছিল । কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আগেই ঘটে গেল এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড । যা নিয়েও আক্ষেপ ঝরে পড়েছে পড়শিদের গলায় ।

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ঋতুপর্ণা ঘোষ বলেন, "বছর দুয়েক আগে এখানে ভাড়াটে হিসেবে এসেছিলেন ওই দুই মহিলা । প্রথম দিন থেকেই ওঁরা কারও সঙ্গে সেভাবে মিশতেন না । আমরাও খুব একটা আগ্রহ দেখাতাম না ওঁদের নিয়ে । 2023 সালে একবার পুজোর সময় বাড়িতে বহিরাগত ছেলেদের প্রবেশ নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি হয়েছিল । এ নিয়ে একবার বাকবিতণ্ডাও বেঁধেছিল আমার সঙ্গে । তখন বাড়ির মালিককে বলা হয়েছিল ভাড়াটিয়া তুলে দিতে । তিনি সেই সময় বলেছিলেন, এগ্রিমেন্ট শেষ হলেই মার্চ মাসের মধ্যে তুলে দেওয়া হবে । রাত-বিরেতে বহিরাগত যুবকদের তো আনাগোনা ছিলই । সপ্তাহ খানেক আগে এক মহিলাকে ভাড়া বাড়িতে আসতে দেখেছিলাম । তিনিই খুন হওয়া মহিলা কি না তা বলতে পারব না ।"

একই সুর শোনা গিয়েছে আরেক বাসিন্দা শঙ্করী সরকারের গলাতেও । তাঁর কথায়,"ভাড়াটে হিসেবেই চিনতাম । সেভাবে কারও সঙ্গে ওঁরা কথা বলতেন না । মাঝে মধ্যেই দেখতাম বাইরের ছেলেরা ঘরে ঢুকছে । বারণও করেছিলাম আমরা । কিন্তু কর্ণপাত করেননি । ওই দুই মহিলা খুন করেছে, তা আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই জানতে পারি । শেষ রবিবার একজন বয়স্ক মহিলা ভাড়া বাড়িতে আসতে গিয়ে রাস্তার কুকুর তাঁর পিছু নিয়েছিল । চিৎকার চেঁচামেচি হওয়ায় আমিই এগিয়ে এসে ওঁকে সাহায্য করেছিলাম। এর বাইরে আর কিছুই জানি না ।"

এদিকে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লিতে ছুটে আসেন স্থানীয় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ রাহা । তিনি বলেন, "ওই দুই মহিলার কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়ে সেই সময় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু ওই মহিলারা তখন আমার সঙ্গেই উলটে দুর্ব্যবহার করেন । এখন তো শুনছি এই ঘটনা । পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের সাজা দিক, সেটাই চাই ।"

অন‍্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাগর আজিঙ্কা অনন্ত বলেন, "ঘটনার তদন্ত চলছে । খুনের ঘটনাস্থল ভালো করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে । তারপরেই স্পষ্ট হবে গোটা ঘটনাটি ।"

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে কুমারটুলির গঙ্গার ঘাটে ট্রলি ব‍্যাগে করে দেহ ফেলতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যান মধ‍্যমগ্রামের বাসিন্দা আরতি ঘোষ ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ । পরে, তাঁদের দু'জনকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে । জানা যায়, দেহটি ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষের ।তাঁকে পরিকল্পনা করে মধ‍্যমগ্রামের ভাড়া বাড়িতে ডেকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা । তবে, খুনের নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ইতিমধ্যে নর্থ পোর্ট থানা থেকে মামলাটি গ্রহণ করেছে মধ্যমগ্রাম থানা।

মধ‍্যমগ্রাম, 25 ফেব্রুয়ারি: কুমারটুলিতে ট্রলি ব্যাগে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে । খুনের পর সুমিতা ঘোষের দেহ ট্রলি ব‍্যাগে ভরে মধ‍্যমগ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে ভ‍্যানে করে সেটি প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দোলতলায় । এরপর একটি গাড়িতে চাপিয়ে ব‍্যাগবন্দি সেই দেহ সোজা নিয়ে যাওয়া হয় কাজিপাড়া রেল স্টেশনে । তারপর ট্রেনে করে পার্কসার্কাস স্টেশনে নেমে একটি হলুদ ট‍্যাক্সিতে সেটি নিয়ে আসার পর কুমারটুলির ঘাটে ট্রলিবন্দি দেহ গঙ্গায় ফেলে, তা গায়েব করার পরিকল্পনা করেছিলেন ধৃত আরতি ঘোষ ও ফাল্গুনী ঘোষ ।

স্থানীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা । ট্রলিতে দেহ নিয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এদিকে, মা ও মেয়ের উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তাঁদের পড়শিরা । এই হত‍্যার ঘটনা জানাজানি হতেই মা ও মেয়ের বেপরোয়া জীবনযাত্রা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন প্রতিবেশীরা ।

ETV BHARAT
ধৃত মা-মেয়ের মধ্যমগ্রামের বাড়িতে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)

উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন মা আরতি ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী । সেই বাড়ি ঘিরেই এখন যাবতীয় রহস্য ! যদিও খুনের ঘটনার পর সেই ভাড়া বাড়িটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ । তবে, বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে না পারায় খুনের ঘটনাস্থল, সেই বাড়ির ভিতরে এখনও প্রবেশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা ।

সূত্রের খবর, বাড়ির মালিকের এক নিকট আত্মীয়কে পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছে মধ্যমগ্রাম থানায় । তাই যতক্ষণ না তাঁকে নিয়ে পুলিশের পদস্থ কর্তারা ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পারছেন, ততক্ষণ এই রহস্য উদঘাটিত হবে না বলেই ধারণা তদন্তকারীদের । আপাতত যাবতীয় রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে মধ‍্যমগ্রামের সেই ভাড়া বাড়ি ।

এদিকে, কুমারটুলি-কাণ্ডে ধৃত আরতি ঘোষ ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ গত আড়াই বছর ধরে ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় । এলাকাটি মধ্যমগ্রাম পুরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত । তবে মা ও মেয়ে মেলামেশা করতেন না প্রতিবেশীদের সঙ্গে । স্থানীয়রা এর কারণ হিসেবে বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে তাঁদের উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রা ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মা ও মেয়ে সেভাবে কোনও কাজ করতেন না । বরং তাঁরা উৎশৃঙ্খল জীবনযাত্রা বেছে নিয়েছিলেন । রাত-বিরেতে নাকি বহিরাগত ছেলেদের ভিড় লেগেই লাগত ভাড়া বাড়িতে । সেখানেই আরতি ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনীর দুষ্কর্ম চলত বলে অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, তাঁদের দু'জনের চালচলনও ঠিক ছিল না বলে অভিযোগ । এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মধ‍্যমগ্রাম পুরসভা এবং থানাতে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিলেন । বাড়ির মালিককেও ভাড়াটে তুলে দিতে বলা হয়েছিল । কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আগেই ঘটে গেল এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড । যা নিয়েও আক্ষেপ ঝরে পড়েছে পড়শিদের গলায় ।

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ঋতুপর্ণা ঘোষ বলেন, "বছর দুয়েক আগে এখানে ভাড়াটে হিসেবে এসেছিলেন ওই দুই মহিলা । প্রথম দিন থেকেই ওঁরা কারও সঙ্গে সেভাবে মিশতেন না । আমরাও খুব একটা আগ্রহ দেখাতাম না ওঁদের নিয়ে । 2023 সালে একবার পুজোর সময় বাড়িতে বহিরাগত ছেলেদের প্রবেশ নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি হয়েছিল । এ নিয়ে একবার বাকবিতণ্ডাও বেঁধেছিল আমার সঙ্গে । তখন বাড়ির মালিককে বলা হয়েছিল ভাড়াটিয়া তুলে দিতে । তিনি সেই সময় বলেছিলেন, এগ্রিমেন্ট শেষ হলেই মার্চ মাসের মধ্যে তুলে দেওয়া হবে । রাত-বিরেতে বহিরাগত যুবকদের তো আনাগোনা ছিলই । সপ্তাহ খানেক আগে এক মহিলাকে ভাড়া বাড়িতে আসতে দেখেছিলাম । তিনিই খুন হওয়া মহিলা কি না তা বলতে পারব না ।"

একই সুর শোনা গিয়েছে আরেক বাসিন্দা শঙ্করী সরকারের গলাতেও । তাঁর কথায়,"ভাড়াটে হিসেবেই চিনতাম । সেভাবে কারও সঙ্গে ওঁরা কথা বলতেন না । মাঝে মধ্যেই দেখতাম বাইরের ছেলেরা ঘরে ঢুকছে । বারণও করেছিলাম আমরা । কিন্তু কর্ণপাত করেননি । ওই দুই মহিলা খুন করেছে, তা আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই জানতে পারি । শেষ রবিবার একজন বয়স্ক মহিলা ভাড়া বাড়িতে আসতে গিয়ে রাস্তার কুকুর তাঁর পিছু নিয়েছিল । চিৎকার চেঁচামেচি হওয়ায় আমিই এগিয়ে এসে ওঁকে সাহায্য করেছিলাম। এর বাইরে আর কিছুই জানি না ।"

এদিকে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লিতে ছুটে আসেন স্থানীয় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ রাহা । তিনি বলেন, "ওই দুই মহিলার কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়ে সেই সময় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু ওই মহিলারা তখন আমার সঙ্গেই উলটে দুর্ব্যবহার করেন । এখন তো শুনছি এই ঘটনা । পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের সাজা দিক, সেটাই চাই ।"

অন‍্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাগর আজিঙ্কা অনন্ত বলেন, "ঘটনার তদন্ত চলছে । খুনের ঘটনাস্থল ভালো করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে । তারপরেই স্পষ্ট হবে গোটা ঘটনাটি ।"

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে কুমারটুলির গঙ্গার ঘাটে ট্রলি ব‍্যাগে করে দেহ ফেলতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যান মধ‍্যমগ্রামের বাসিন্দা আরতি ঘোষ ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ । পরে, তাঁদের দু'জনকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে । জানা যায়, দেহটি ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষের ।তাঁকে পরিকল্পনা করে মধ‍্যমগ্রামের ভাড়া বাড়িতে ডেকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা । তবে, খুনের নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ইতিমধ্যে নর্থ পোর্ট থানা থেকে মামলাটি গ্রহণ করেছে মধ্যমগ্রাম থানা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.