লখনউ, 25 সেপ্টেম্বর : তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রাপ্ত দেশের বহু মহিলা । প্রায় সব ক্ষেত্রেই সেই মহিলাদের অসহায় অবস্থায় রেখে স্বামীরা চলে যায় । তাদের জন্য মাসিক ভাতা দেওয়ার প্রকল্প চালুর দাবি তুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ । আজ এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে যোগী বলেন, "তিন তালাকে প্রাপ্ত মহিলাদের চিহ্নিত করে প্রতি বছর 6 হাজার টাকা করে দেওয়া উচিত । যত দিন না তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে ততদিন এই ভাতা চালু থাকা উচিত ।"
তিন তালাক বলার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রথা বা 'তালাক-এ-বিদ্দত'-কে 2017 সালে অসাংবিধানিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট । এরপর তাৎক্ষণিক তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা করতে বিল আনে মোদি সরকার । লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকায় সেইসময় রাজ্যসভায় আটকে যায় । বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মুসলিম উইমেন (প্রোকেটশন অফ রাইটস অফ ম্যারেজ), 2019 অর্থাৎ তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি পাশ করাতে উদ্যোগী হয় মোদি সরকার ৷ এরপরই চলতি বছরের জুলাইতে তাৎক্ষণিক তিন বিরোধী তালাক বিলটি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয় ।
মুসলিম শরিয়তি আইনে শওহর তিন বার তালাক দিলেই সেটা বৈধ, অর্থাৎ স্ত্রীকে তিন বার তালাক বলে দিলেই বিচ্ছেদ হয়ে যেত । তবে সরকার আইন প্রণয়ন করে সেই প্রথাকে ভাঙতে সচেষ্ট হলেও দেখা যাচ্ছে তিন তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না । আগের মতোই সামনাসামনি তিন তালাক দেওয়ার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনেও তিন তালাক দেওয়ার বিভিন্ন ঘটনা সামনে এসেছে । এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলে । সেই সময় আক্রান্ত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেন যোগী আদিত্যনাথ ।