লখনউ, 21 ফেব্রুয়ারি : অযোধ্যা জমিজটের ইতিহাসিক রায়ে মসজিদ নির্মাণের জন্য বিকল্প জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । সেই নির্দেশ অনুসারে পাঁচ একর জমি ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে । জমি হস্তান্তরের কথা আজই নিশ্চিত করেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ।
সপ্তাহ দুই আগেই আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভা এই জমি দেওয়ার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছিল । এবার সেই জমি হাতে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড । ওয়াকফ বোর্ডের তরফে সভাপতি জ়াফর ফারুকি সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, " জমি গ্রহণ করা বা না করা নিয়ে, আমাদের কোনও মতামত ছিল না । সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে । আমরা সেই নির্দেশ মেনেই চলছি ।"
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো, উত্তরপ্রদেশ সরকার চলতি মাসের প্রথম দিকেই রৌনাহি থানা এলাকায় মসজিদের জন্য জমি চূড়ান্ত করে । অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকে ভবিষ্যত কর্মসূচি নিয়ে একপ্রকার চুপই করে গেছিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড । আজ জমি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে 24 ফেব্রুয়ারি বোর্ডের বৈঠকের কথাও জানিয়ে দেন সভাপতি জ়াফর ফারুকি ।
গত বছরের 9 ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা জমিজট মামলায় রায় জানায় সুপ্রিম কোর্ট । 490 বছরের পুরনো এক বিতর্কের নিষ্পত্তি হয় ওই দিন । বিতর্ক শুরু হয়েছিল মুঘল আমলে । সম্রাট বাবরের নির্দেশে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তাঁর সেনাপতি মির বাকি । পরবর্তীতে মহন্ত রঘুবীর দাস ফৈজা়বাদ জেলা আদালতে মামলা করে মসজিদ লাগোয়া জমিতে রামমন্দির নির্মাণের আবেদন জানান । তখন দেশে ব্রিটিশ শাসন চলছে । মহন্তের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ আদালত । বিতর্ক জোরদার গত শতাব্দীর নয়ের দশকে । অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আন্দোলন জোরদার হয় । 1992 সালের 6 ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয় ।
9 ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে মন্দির, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদের জন্য দেওয়া হবে বিকল্প জমি । সেই নির্দেশ মতো এই পাঁচ একর জমি দেওয়া হল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে ।