ETV Bharat / bharat

ফায়ারিং রেঞ্জ আর কম ওজন, শত্রু মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার M777 হাউইতজ়ার

author img

By

Published : Jul 3, 2020, 8:03 PM IST

অন্য কামানগুলির থেকে অনেকটাই হালকা এই M 777 । প্রতি মিনিটে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে ।

ছবি
ছবি

বোফর্সের উত্তরসূরি বলা হয় এই কামানকে । দীর্ঘ ফায়ারিং রেঞ্জের সঙ্গে অল্প ওজনের সুবিধা থাকায় পাহাড়ের যে কোনও জায়গায় সহজেই পৌঁছাতে পারে । মিনিটে প্রায় পাঁচ রাউন্ড ছোড়ার ক্ষমতা রয়েছে । যা নিমেষে শত্রুকে কাবু করতে পারে । M777 হাউইতজ়ার । লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর সম্প্রতি এই কামানের জন্য অ্যামেরিকা থেকে গোলা-বারুদের অর্ডার দিয়েছে ভারত ।

M777 হাউইতজ়ারের ইতিহাস

এই কামানের জন্ম ব্রিটেনে । সেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অস্ত্র-সস্ত্রের আধুনিকীকরণের কথা মাথায় রেখেই ব্রিটিশ সংস্থা VESL-র ইঞ্জিনিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এই M777 হাউইতজ়ার কামান তৈরি করে । পরে ব্রিটিশ সংস্থা VESL-কে কিনে নেয় BAE সিস্টেমস নামে এক যুদ্ধসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা । 2005 সাল থেকে M777- পরিষেবা দেওয়া শুরু । সেবছর ডিসেম্বরে কানাডা সেনার ফার্স্ট রেজিমেন্ট এই কামানের উদ্বোধন করে । 2008 সালে অস্ট্রেলিয়া ও 2010 সালে ব্রাজিল তাদের সেনাশক্তিকে আরও মজবুত করতে সংযুক্ত করে এই হাউইতজ়ার কামানকে । ইরাক ও আফগান যুদ্ধেও M 777 ছিল ন্যাটো বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার । 2014 সালে এই কামানের সেন্সর, পাওয়ার সিস্টেমে নানা পরিবর্তন এনেছে অ্যামেরিকার ইঞ্জিনিয়াররা ।

M777 হাউইতজ়ারের বৈশিষ্ট্য

ক্রু- 8

ওজন - 4,200 কেজি । অন্য কামানগুলির থেকে অনেকটাই হালকা এই M 777 । এই ওজন কমার কারণ হল, এই কামান তৈরিতে অত্যধিক পরিমাণে টাইটেনিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে ।

দৈর্ঘ্য - 35 ফুট 1 ইঞ্চি

ব্যারেলের দৈর্ঘ্য- 16.7 ফুট

সাধারণত M 107, M 795 সেল ব্যবহার করা হয় ।

ক্যালিবার - 155 m.m

রেট অফ ফায়ার -প্রতি মিনিটে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে । সাধারণত 2 মিনিট পর্যন্ত লাগাতার গুলি ছুঁড়তে পারে । সর্বোচ্চ ক্ষমতা 5 মিনিট ।

ফায়ারিং রেঞ্জ - 24 কিলোমিটার । রকেট-নির্ভর ব্লেড সেলের সাহায্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ কিলোমিটারে । প্রয়োজনে ৪০ কিমি পাল্লার গাইডেড আর্টিলারি সেলও ব্যবহার করা যায় এই কামানে ।

এটি একটি ডিজিটাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করে । যা নেভিগেশন, লোকেশান ও পয়েন্টিং সাহায্য করে কামানটিকে । লিকুইড পিসটন নামে এক সংস্থা এই ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমের মূল ইঞ্জিন তৈরি করেছে ।

হালকা হওয়ায় সহজেই স্থল, জল ও আকাশ পথে একে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায় । পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের ক্ষেত্রেও সুবিধা হয় । সাধারণত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় M777-কে ।

2012 সালে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত নিয়ামক সংস্থা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের তরফে 3000 কোটি টাকায় M377 হাউইতজ়ার কেনার প্রস্তাব গৃহীত হয় । এই কামান মূলত অরুণাচলপ্রদেশ এবং লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে । উপমহাদেশে ভারতের কাছেই রয়েছে এই M৭৭৭ । পাকিস্তানের হাতে রয়েছে এর পূর্ববতী সংস্করণ M১৯৮ । লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই একটি খবর সামনে এসেছে । অ্যামেরিকা থেকে M777 হাউইতজ়ারের জন্য গোলা-বারুদের অর্ডার দিয়েছে ভারত । প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন সেনা জওয়ানদের আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে । তাদের হাতে আগে থেকেই M 777 রয়েছে । এবার সেই M 777 হাউইতজ়ারের জন্য গোলা-বারুদের অর্ডার দিচ্ছে ভারত । দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকার অস্ত্র কেনার জন্য সেনা খাতে একটি বড় অর্থ প্যাকেজে মঞ্জুরি দিয়েছে । এর জেরে 500 কোটির মধ্যে যে কোনও অস্ত্রসামগ্রী বা সরঞ্জাম কিনতে পারে সেনা । সেই সূত্রেই সেনার এই পদক্ষেপ । উল্লেখ্য, বালাকোট অভিযানের পর গত বছর মে-জুন মাসে গোলাবারুদের অর্ডার দিয়েছিল ভারত ।

বোফর্সের উত্তরসূরি বলা হয় এই কামানকে । দীর্ঘ ফায়ারিং রেঞ্জের সঙ্গে অল্প ওজনের সুবিধা থাকায় পাহাড়ের যে কোনও জায়গায় সহজেই পৌঁছাতে পারে । মিনিটে প্রায় পাঁচ রাউন্ড ছোড়ার ক্ষমতা রয়েছে । যা নিমেষে শত্রুকে কাবু করতে পারে । M777 হাউইতজ়ার । লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর সম্প্রতি এই কামানের জন্য অ্যামেরিকা থেকে গোলা-বারুদের অর্ডার দিয়েছে ভারত ।

M777 হাউইতজ়ারের ইতিহাস

এই কামানের জন্ম ব্রিটেনে । সেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অস্ত্র-সস্ত্রের আধুনিকীকরণের কথা মাথায় রেখেই ব্রিটিশ সংস্থা VESL-র ইঞ্জিনিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এই M777 হাউইতজ়ার কামান তৈরি করে । পরে ব্রিটিশ সংস্থা VESL-কে কিনে নেয় BAE সিস্টেমস নামে এক যুদ্ধসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা । 2005 সাল থেকে M777- পরিষেবা দেওয়া শুরু । সেবছর ডিসেম্বরে কানাডা সেনার ফার্স্ট রেজিমেন্ট এই কামানের উদ্বোধন করে । 2008 সালে অস্ট্রেলিয়া ও 2010 সালে ব্রাজিল তাদের সেনাশক্তিকে আরও মজবুত করতে সংযুক্ত করে এই হাউইতজ়ার কামানকে । ইরাক ও আফগান যুদ্ধেও M 777 ছিল ন্যাটো বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার । 2014 সালে এই কামানের সেন্সর, পাওয়ার সিস্টেমে নানা পরিবর্তন এনেছে অ্যামেরিকার ইঞ্জিনিয়াররা ।

M777 হাউইতজ়ারের বৈশিষ্ট্য

ক্রু- 8

ওজন - 4,200 কেজি । অন্য কামানগুলির থেকে অনেকটাই হালকা এই M 777 । এই ওজন কমার কারণ হল, এই কামান তৈরিতে অত্যধিক পরিমাণে টাইটেনিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে ।

দৈর্ঘ্য - 35 ফুট 1 ইঞ্চি

ব্যারেলের দৈর্ঘ্য- 16.7 ফুট

সাধারণত M 107, M 795 সেল ব্যবহার করা হয় ।

ক্যালিবার - 155 m.m

রেট অফ ফায়ার -প্রতি মিনিটে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে । সাধারণত 2 মিনিট পর্যন্ত লাগাতার গুলি ছুঁড়তে পারে । সর্বোচ্চ ক্ষমতা 5 মিনিট ।

ফায়ারিং রেঞ্জ - 24 কিলোমিটার । রকেট-নির্ভর ব্লেড সেলের সাহায্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ কিলোমিটারে । প্রয়োজনে ৪০ কিমি পাল্লার গাইডেড আর্টিলারি সেলও ব্যবহার করা যায় এই কামানে ।

এটি একটি ডিজিটাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করে । যা নেভিগেশন, লোকেশান ও পয়েন্টিং সাহায্য করে কামানটিকে । লিকুইড পিসটন নামে এক সংস্থা এই ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমের মূল ইঞ্জিন তৈরি করেছে ।

হালকা হওয়ায় সহজেই স্থল, জল ও আকাশ পথে একে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায় । পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের ক্ষেত্রেও সুবিধা হয় । সাধারণত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় M777-কে ।

2012 সালে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত নিয়ামক সংস্থা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের তরফে 3000 কোটি টাকায় M377 হাউইতজ়ার কেনার প্রস্তাব গৃহীত হয় । এই কামান মূলত অরুণাচলপ্রদেশ এবং লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে । উপমহাদেশে ভারতের কাছেই রয়েছে এই M৭৭৭ । পাকিস্তানের হাতে রয়েছে এর পূর্ববতী সংস্করণ M১৯৮ । লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই একটি খবর সামনে এসেছে । অ্যামেরিকা থেকে M777 হাউইতজ়ারের জন্য গোলা-বারুদের অর্ডার দিয়েছে ভারত । প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন সেনা জওয়ানদের আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে । তাদের হাতে আগে থেকেই M 777 রয়েছে । এবার সেই M 777 হাউইতজ়ারের জন্য গোলা-বারুদের অর্ডার দিচ্ছে ভারত । দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকার অস্ত্র কেনার জন্য সেনা খাতে একটি বড় অর্থ প্যাকেজে মঞ্জুরি দিয়েছে । এর জেরে 500 কোটির মধ্যে যে কোনও অস্ত্রসামগ্রী বা সরঞ্জাম কিনতে পারে সেনা । সেই সূত্রেই সেনার এই পদক্ষেপ । উল্লেখ্য, বালাকোট অভিযানের পর গত বছর মে-জুন মাসে গোলাবারুদের অর্ডার দিয়েছিল ভারত ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.