বনাসকান্ঠা, 17 অগাস্ট : বেড়েই যাচ্ছিল পাওনাদারের হয়রানি । চাপের মুখে নিজের একটি কিডনি বেচে দিলেন গুজরাতের বনাসকান্ঠা জেলার এক শিক্ষক। অভিযোগ, কিছু টাকা শোধ দেওয়ার পরও আরও টাকা দেওয়ার জন্য তার উপর চাপ দিচ্ছিল পাওনাদাররা । অবশেষে চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই শিক্ষক ।
জানা গিয়েছে, থারাড়ের খোডা গ্রামের একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক রাজাভাই পুরোহিত এক বেসরকারি ঋণদাতার কাছ থেকে 3 লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন । কিন্তু, মাত্র এক বছরেই সুদসহ সেই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায় । এত পরিমাণ টাকা শোধ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজের একটি কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন ওই শিক্ষক । সোশাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপনও দেন তিনি । শ্রীলঙ্কার এক চিকিৎসক আগ্রহ দেখালে তিনি সেখানে গিয়ে 15 লাখ টাকায় একটি কিডনি বেচে দেন ।
সেই টাকা থেকেই পাওনাদারের টাকা মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন পুরোহিত । ইতিমধ্যেই আরও টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকে ওই ঋণদাতারা । এরপরই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি । হারশাদ ভাজির, দেবা রাবারি, ওখা রাবারি ও ভাশ্রম রাবারি নামে চারজনের বিরুদ্ধে থারাড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষক সত্যিই শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন কিনা সে'বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে । একটি কিডনি বাদ গিয়েছে কিনা তা জানতে তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও করা হবে ।