শিমলা, 12 জুলাই: হড়পা বানে গত তিন দিনে এখনও পর্যন্ত 31 জনের মৃত্যু হয়েছে হিমাচলপ্রদেশে ৷ বর্ষার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় 80 বলে জানিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ৷ গত শনিবার হড়পা বান ও লাগাতার বৃষ্টির জেরে এখনও পর্যন্ত যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার খতিয়ান সামনে রাখা হল প্রশাসনের তরফে । তথ্য বলছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমি-ধস ও বন্যার কারণে বন্ধ হয়েছে 1300 রাস্তা ৷ সেই সঙ্গে 40টি সেতু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷
ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যু- হিমাচলপ্রদেশের এমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, 24 জুন বর্ষার শুরু থেকে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আনুমানিক 1 হাজার 50 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হড়পা বান ও বর্ষায় এখনও পর্যন্ত 80 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এখনও 10 জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে প্রশাসন ৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, 24 জন পথ দুর্ঘটনায়, 21 জন ভূমিধস, 12 জন উঁচু জায়গা থেকে পড়ে, 7 জন জলে ডুবে দুর্ঘটনায়, 5 জন আকস্মিক বন্যা, 4 জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, 2 জন সাপের কামড় এবং 5 জন বর্ষায় অন্যান্য কারণে মারা গিয়েছেন ৷
হাজারের উপর রাস্তা বন্ধ হিমাচলে- সরকারি তথ্য অনুযায়ী ধস ও বন্যার কারণে 1300 রাস্তা বন্ধ হওয়ায় শিমলা ও মানালিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ করা যাচ্ছে না ৷ ধসের কারণে চণ্ডীগড়-মানালি ও শিমলা-কালকা জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে ৷ এমনকি যে জায়গাগুলিতে টানেল রয়েছে তার মুখগুলিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে ভিতরে কোনও গাড়ি আটকে গিয়ে থাকলেও উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ বন্যার জেরে প্রায় 3,737টি জল সরবরাহ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ পাশাপাশি, 79টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ আর 333টি বাড়ির আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ হিমাচল রোডওয়েস ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের 1 হাজার 284টি রুটের বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি, দক্ষিণে সঙ্গী অস্বস্তিকর গরম
এই বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু দাবি করেছেন, কুলুতেই টাকার অঙ্কে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় 4 হাজার কোটি ৷ যেখানে প্রায় 40টি দোকান ও 30টি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে ৷ তিনি কাসোল, মণিকরণ, ক্ষীর গঙ্গা ও পুলগা এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করেছেন ৷ এমনকি কুলুতে আটকে পড়া পর্যটকদের সঙ্গেও কথা বলেন ৷ উল্লেখ্য, গত সোমবার হিমাচলের মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব থেকে মানুষকে বের করে আনার সবরকম চেষ্টা চলছে ৷ সেই মতো মানুষজনকে উদ্ধার করে নিরাপদস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷