কলকাতা, 19 মার্চ: 'চিনের চিহ্ন কাস্তে আর পাকিস্তানের তারা। এর পরেও কি বলতে হবে দেশের শত্রু কারা ?' এই দেওয়াল লিখনের মতই অতীতে জনপ্রিয় ছিল 'দিল্লি থেকে এত গাই সঙ্গে বাছুর সিপিআই'। এমন ছড়া-স্লোগানের লড়াই এক দশক যাবৎ প্রায় উধাও হয়ে গিয়েছিল রাজনীতির ময়দান থেকে। তবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কলকাতার অলিগলিতে নতুন করে চোখে পড়ছে রাজনৈতিক দলের ছড়া-স্লোগান ও কার্টুন। যদিও এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল নেতা ধ্রুবজ্যোতি বসু বলেন, "কার্টুন যুদ্ধ শৈশবকে নাড়া দেয়। আগে অনেক শিল্পী ছিল। মানুষের কাছে অনেক দ্রুত পৌঁছনো যায়। এর জন্যই আবোলতাবোল, হীরক রাজার দেশে আমাদের এতো প্রিয়। আগে হত এমন ছন্দ ও স্লোগানের লেখা। সেই পুরোনো পথেই আমরা প্রচার করছি। বিরোধীদের তেমন প্রচার শুরু হয়নি। তবে তারাও এই দেওয়াল লিখনের প্রতিযোগিতায় এলে খুশি হব।"
কলকাতার দক্ষিণ কেন্দ্রে বিশেষ করে নজরে এসেছে তৃণমূলের ও সিপিএমের দেওয়াল লিখন। তবে সিপিএম প্রার্থীর নাম লিখে ভোট চেয়েছেন। তবে বর্তমান ভোট প্রচারে দেওয়ালে ছড়া, স্লোগান, কার্টুনে ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। কোনও দেওয়ালে নরেন্দ্র মোদির কার্টুন হাতে তিনটি চেনে বাধা তিন কুকুর। গায়ে লেখা আরবিআই, ইডি, সিবিআই। মোদির কল্পনায় লেখা বাকি রইল সুপ্রিম কোর্ট ও ইন্ডিয়ান আর্মি। আবার কোনও দেওয়ালে কার্টুনে তুলে ধরা হয়েছে অম্বানি-আদানি পরিচালনা করছে মোদিকে। মোদির হাতের পুতুল ইলেকশন কমিশন, মিডিয়া, বিচারব্যবস্থা, তদন্তকারী এজেন্সি। সিএএ, এনআরসি নিয়েও কার্টুন তৈরি করে বিরোধী শিবিরকে বিঁধেছে শাসক শিবির।
রাজ্যে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি প্রস্তুতি শুরু করেছিল। তবে সেই প্রস্তুতির লড়াইতে বেশ কয়েক যোজন এগিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে 42 আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল ৷ অন্যদিকে, বিজেপি বা বাম-কংগ্রেস এখনও সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। ফলে দেওয়াল লিখন বা মানুষের কাছে পৌঁছনো, সব জায়গায় জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল ৷