গঙ্গাসাগর, 18 নভেম্বর:হাতে আর দু'মাসও সময় নেই ৷ জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা 2025। গঙ্গাসাগর মেলাকে মাথায় রেখে দফায় দফায় চলছে প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠক। মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফেও চলছে বৈঠক ৷ কিন্তু বাধ সেজেছে মুড়িগঙ্গা নদীর চর ৷ প্রতিদিনই এই মুড়িগঙ্গার চরে আটকে পড়ছে ভেসেল ৷
প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলার আগে ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে মুড়িগঙ্গা নদীতে চলে ড্রেজিংয়ের কাজ। মুড়িগঙ্গা নদী অতিরিক্ত পলি এবছর জেলা প্রশাসনের কপালে ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ। মুড়িগঙ্গা নদীতে অতিরিক্ত পলি জমায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে সাগরদ্বীপের এলাকাবাসীদের।
দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেশিরভাগ সময় ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেটিঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে পুণ্যার্থী থেকে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের। চলতি বছরে সাগরমেলার জন্য ড্রেজিংয়ের সরঞ্জাম এসে গেলেও কাজ শুরু হয়নি এখনও। কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের পর অবশেষে সেতু তৈরির ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুর জন্য জমি চিহ্নিতকরণ ও সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা বলছেন, কবে বাস্তবে রূপ নেবে সেই সেতু ?
উত্তম মণ্ডল নামে এক নিত্যযাত্রী বলেন, "মুড়িগঙ্গা নদীতে চর পড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের এমন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত করতে হয় আমাদের। প্রতিদিনই মুড়িগঙ্গা নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না-থাকার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকে ভেসেল পরিষেবা। এর ফলে সঠিক সময় আমরা গন্তব্যে পৌঁছতে পারি না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুড়িগঙ্গা নদীর উপর ব্রিজ তৈরির অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে ৷ কিন্তু কবে এই সমস্যা মিটবে তা আমরা জানি না।"
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য চলছে ড্রেজিং (নিজস্ব ছবি) রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, গঙ্গাসাগর মেলাকে মাথায় রেখে আমরা ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছি। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে । প্রকৃতির সঙ্গে আমরা লড়াই করতে পারি না ৷"