কলকাতা, 7 অগস্ট: জ্বলছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুই বাংলার মধ্যে সেতুবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মন খারাপ অনেকেরই। এদিন রবীন্দ্রস্মরণের পরিসরে বিধানসভার অলিন্দেও এপার বাংলার জনপ্রতিনিধিদের আবেদন, 'দ্রুত শান্তি ফিরুক বাংলাদেশে।'
বুধাবর বিধানসভায় রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এখানেই তাঁর বক্তব্যে উঠে এল, বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গ। যদিও তিনি বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে ছিলেন যথেষ্ট সাবধানী। অহেতুক তাঁর বক্তব্যে কোনও বিতর্ক হোক তা তিনি চাইছেন না।
অধ্যক্ষের গলায় 'শান্তি ফিরুক বাংলাদেশে' (ইটিভি ভারত) অধ্যক্ষ বললেন, "বাংলাদেশে যা ঘটছে তা খুবই বেদনাদায়ক। গোটা বিশ্বের মানুষ দেখছে এসব। তবে এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।" এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় উঠে এসেছে তাঁর বাংলাদেশ ভ্রমণের স্মৃতিও। তিনি বলেন, "আমি অধ্যক্ষ হওয়ার পর একটি সম্মেলনে বাংলাদেশ গিয়েছিলাম। আমার বাবা, কাকা যেখানে থাকতেন, সেই বাড়িতেও গিয়েছিলাম। এখন সেখানে এক অধ্যাপিকা থাকেন। এত ভিড় হয়েছিল যে আমি ঢুকতে পারিনি।"
তাঁর কথায়, "বাংলাদেশ আমার কাছে একটা স্মৃতি। আমি আশা করব, দ্রুত আবার স্বাভাবিক হবে বাংলাদেশ।" শুধু অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এদিন রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও উঠে এসেছে বাংলাদেশকে ঘিরে স্মৃতিমেদুরতা। তিনি বলেন, "একাত্তর সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমি সে দেশে গিয়েছিলাম। তারপর আর যাওয়া হয়নি। আমাদের কাছে বাংলাদেশ মানে একটা অন্য আবেগ। এই আবেগ নিয়েই আমরা থাকতে চাই। এখন যেসব ঘটনা ঘটছে মোটেই ভালো লাগছে না। তাড়াতাড়ি শান্তি ফিরে আসুক এই কামনা করছি।"
এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ফুটবলার বিদেশ বসুও। তাঁর কথায়, "আমার বাবা-কাকা সকলেই বাংলাদেশের। নিজেও ফুটবল জীবনে খেলতে বাংলাদেশ গিয়েছি অনেকবার। যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি দ্রুত আবার শান্তি ফিরে আসবে।" মূর্তি ভাঙা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সুর উঠে এসেছে চিরঞ্জিতের গলায়। তিনি বলেন, "তালিবানিরা যেভাবে মূর্তি ভাঙে, ওখানেও সেভাবে মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। একদল উগ্রপন্থী এই কাজ করছে। 70 শতাংশ মানুষ নিশ্চয়ই এমনটা চান না ৷ 30 শতাংশ মানুষ এই কাজ করছে। ফলে এই গোটাটাই একটা গোষ্ঠী করেছে। এর প্রতিবাদ তো একদিন না একদিন হবেই।"