আসানসোল, 3 জানুয়ারি: বেআইনি কয়লাখনি র্যাটহোলে এক ব্যক্তি পড়ে যাওয়ার খবরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় রানিগঞ্জের নর্থ সিয়ারশোল খোলামুখ খনি এলাকায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সিআইএসএফের তাড়া খেয়ে ওই ব্যক্তি পালানোর সময় একটি পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিতে পড়ে যান । শুক্রবার রাতের দিকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, জামুড়িয়ার কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার নর্থ সিয়ারশোল খোলামুখ খনির পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি খোলামুখ খনি । স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে প্রাত্যহিক কর্ম করতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন মহাবীর খনি এলাকার যাদব পাড়ার বাসিন্দা ভীষম রায় (38)।
স্থানীয় কাউন্সিলর রূপেশ যাদব জানান, "ওই ব্যক্তিকে নর্থ সিয়ারশোল খোলামুখ খনির দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ কোনও কারণে তাড়া করে ৷ সেই ভয়ে পালাতে গিয়ে পরিত্যক্ত খাদানে পড়ে যান তিনি । সকাল থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলে । ইসিএলের রেসকিউ টিম আসতে দেরি করেছে ।"
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই পরিত্যক্ত খনিটি প্রায় 120 ফুট গভীর । সেখানেই ভীষম রায় নামে ওই ব্যক্তি পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান । যদিও অন্ধকার খনির ভিতরে কিছুই দেখা যাচ্ছে না । ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ ও জামুড়িয়া থানার পুলিশ । এছাড়াও রানিগঞ্জ দমকলের বিশেষ দলও ঘটনাস্থলে যায় । কিন্তু খাদানটি খুবই গভীর ও সেখানে বিপজ্জনক গ্যাস থাকার সম্ভাবনা থাকায় দমকল বিভাগ বা পুলিশ উদ্ধারকাজে হাত লাগাতে পারেনি ।
খবর দেওয়া হয় ইসিএলের মাইনস রেসকিউ টিমকে । যদিও তারা আসতে অনেক দেরি করে বলে অভিযোগ । দুপুরের পর উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শেষমেশ রাতের দিকে মেলে দেহ। বিপজ্জনক খাদানে কেউ পড়ে গিয়ে থাকলে তাঁর বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ বলেই আশঙ্কা করছিলেন স্থানীয়রা। শেষমেশ তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হল।
নর্থ সিয়ারশোল খনির কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা লাল্টু মাজি জানান, "এরকম ভাবে অনেক বেআইনি পরিত্যক্ত খাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । লিজ হোল্ডিং জমিতে এই খাদানগুলিকে বুজিয়ে দেওয়া উচিত ইসিএলের । তাহলে এই দুর্ঘটনাগুলি ঘটে না । ইসিএলের রেসকিউ টিম আসে।"