কলকাতা, 5 অক্টোবর: আরজি কর-কাণ্ডের জেরে উৎসবে ফেরা ও না-ফেরা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একাংশের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছে ৷ তারই মাঝে শুক্রবার রাতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ৷ সেই ছবিকে কেন্দ্র করে বামনেতাকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে একাংশ সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ৷ 'উৎসবে নেই ৷ তবে, রেস্টুরেন্টে খেতে যাবেন', এমন নানা ব্যঙ্গ তাঁকে নিয়ে করা হচ্ছে ৷ সেই ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷
ভাইরাল হওয়া ছবিতে বিমান বসুকে একটা রেস্তরাঁর চেয়ার টেনে বসতে দেখা যাচ্ছে (ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত) ৷ সেই ছবিটিকে কেন্দ্র করেই যত বিতর্ক ৷ অভিযোগ, বিমান বসুকে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া নিয়ে নানা কটূমন্তব্য করছেন একাংশ লোকজন ৷ মূলত, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যাটাই সেখানে বেশি ৷
কিন্তু, এর প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ এমনকি টালিগঞ্জের চিত্র পরিচালক থেকে শুরু করে সঙ্গীত শিল্পী এমনকি অন্যান্য বাম-বিরোধী নেতারাও এই বিষয়টির নিন্দা করেছেন ৷ সেখানে অধিকাংশই বিমান বসুকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে চাইলেন ৷
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, "বিমান বসুকে নিয়ে কাল রাত থেকে এই ছবি এবং বিভিন্ন মন্তব্যের পোস্ট ঘুরছে ৷ সাধ্যমতো আমি সেইগুলিতে একই বয়ানে আপত্তি জানিয়েছি ৷ ভালো লাগল, আমার মন্তব্যের পর একাধিক ফেসবুকবন্ধু বিমানদাকে নিয়ে পোস্ট ডিলিট করেছেন ৷ এই সুস্থতা ও সৌজন্য থাকুক ৷ পরামর্শ মানার জন্য ধন্যবাদ। (যদিও বিমানদার পার্টির ফেসবুক বিপ্লবীদের 99 শতাংশ এই ভদ্রতা জানে না ৷ তাঁদের জবাব, তাঁদের মতো করেই দেব আমরা) ৷"
ছবিটির বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, "আমার মনে হয় দূরপাল্লার কোনও যাত্রার মাঝে, দোকানে ঢুকেছিলেন ৷ নদিয়া জেলা হতে পারে, বা অন্য কোথাও ৷ রাস্তার ধারের দোকান ৷ ছবি দেখে যা মনে হল ৷ বিমান বসুর ক্ষেত্রে এবিষয়ে অন্য কিছু না-লেখাই ভালো ৷ রেস্টুরেন্ট যাওয়া দোষের নয় ৷ কিন্তু, বিমানদা এখন কোনও রেস্টুরেন্টে খেতে যাবেন, এটা অসম্ভব ! ছবিটা কবেকার, তা অবশ্য জানি না ৷ দূরের যাত্রা হলে, মাঝপথে কোথাও বসাটা স্বাভাবিক ৷"
চিত্র পরিচালক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় লেখেন, "রাজনৈতিক বিরোধিতা আছে, থাকবে ৷ কিন্তু মানুষটা ভালো, মানুষটা সৎ ৷ যাঁরা এই মানুষটাকে ট্রোল করেন বা করছেন, তাঁদের দীনতাই প্রকাশ পায়, ওঁর নয় ৷"
কংগ্রেস মুখপাত্র সুমন রায়চৌধুরী লেখেন, "এই কারণেই এই শাসকদল বা এদের সঙ্গে সম্পৃক্ত যাঁরা, তাঁদের আমি অশিক্ষিত, দুর্বৃত্ত বলি ৷ এরা এই সমাজের যোগ্য নয় ৷" তবে, প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত, কোনও সিপিএম নেতাকে প্রকাশ্যে কিছু বলতে বা সোশাল মিডিয়ায় লিখতে দেখা যায়নি ৷