নয়াদিল্লি, 3 জানুয়ারি: দূষণের পরিমাণ এখনও কমার নাম নেই ৷ দু’মাস আগেই গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (GRAP) তৃতীয় ধাপের অধীনে বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছিল ৷ তারপরেও কমছে না দিল্লির দূষণ ৷ নিঃশ্বাস নিতে হাঁসফাঁস করছেন মানুষ ৷ বিভিন্ন অংশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাওয়ায় দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে ৷ ফলে প্রভাব পড়েছে ট্রেন ও বিমান চলাচলে ।
পিছিয়ে গিয়েছে 24টি ট্রেন ছাড়ার সময় । অযোধ্যা এক্সপ্রেস 4 ঘণ্টা পিছিয়ে গিয়েছে, গোরক্ষধাম এক্সপ্রেস 2 ঘণ্টারও বেশি বিলম্বিত হয়েছে ৷ নির্ধারিত সময়ের 3 ঘণ্টা পর ছেড়েছে বিহার ক্রান্তি এক্সপ্রেস এবং শ্রমশক্তি এক্সপ্রেস । আবহাওয়া দফতরের জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর 5.30 মিনিটে দিল্লিতে তাপমাত্রা ছিল 9.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস । অনেক বিমানও আবহাওয়ার কারণে প্রভাবিত হয়েছে ৷ FlightRadar24 জানাচ্ছে, দিল্লি বিমানবন্দরে আসার বিমান গড়ে পাঁচ মিনিট এবং যাওয়ার বিমান 11 মিনিট বিলম্বিত হচ্ছে ।
বাতাসের মান আরও খারাপ হয়েছে
শুক্রবার দেশের সবচেয়ে খারাপ বায়ুর গুণমান রেকর্ড করা হয় রাজধানীতে ৷ সকাল 8টায় শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) দাঁড়িয়েছিল 318-তে ৷ সকাল 6টায় দৃশ্যমানতা খারাপ হয়ে যায় । যেসব বিমানে কম দৃশ্যমানতা অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব রয়েছে, বিশেষ করে যেগুলি CAT III মান মেনে চলে না, সেগুলি বিলম্ব বা বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
দিল্লির জলবায়ুর মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত সফদরজং আবহাওয়া কেন্দ্র বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 16.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে ৷ যা গতকালের 15 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কিছুটা বেশি হলেও কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে 3 ডিগ্রি কম ।
আইএমডি অনুযায়ী, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে 4.5 ডিগ্রি বা তার কম হলে ‘ঠান্ডা’ অবস্থা ঘোষণা করা হয় ৷ যদি সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 10 ডিগ্রির নিচে থাকে । সফদরজং সেই মানদণ্ড পূরণ না-করলেও পালাম, নাজাফগড়, পুসা এবং নারেলা আবহাওয়া কেন্দ্রগুলি ‘ঠান্ডা’ ঘোষিত হয়েছে ।