বসিরহাট, 17 ফেব্রুয়ারি:দক্ষিণ 24 পরগনারজীবনতলায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ-কাণ্ডে মিলল তৃণমূল যোগ ! রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার হওয়া আবদুল সেলিম গাজি, আশিক ইকবাল এবং ফারুক মল্লিক শাসকদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত এলাকায় । এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্র মারফত । আর তাঁদের এই রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা ।
সেলিম ওরফে বাবলুর এবং আশিক ওরফে বাপ্পার বাড়ি উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদে । অন্যদিকে, ফারুক হাড়োয়ার বাসিন্দা । সোমবার হাসনাবাদের মুরারীশাহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেলিম ও আশিকের বাড়ির গেটে ঝুলছে তালা । পরিবারের কোনও সদস্যেরই দেখা মেলেনি বাড়িতে । দু'জনেরই পাকা বাড়ি । এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে সেলিম ও আশিকের । ফলে ভয়ে এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বাসিন্দারা । প্রশ্ন করলেই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন গ্রামবাসীরা । তবে, হাড়োয়ায় ফারুকের বাড়িতে অবশ্য দেখা মিলেছে পরিবারের সদস্যদের । তবে, তাঁরাও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ৷
স্থানীয় সূত্রের খবর, আশিক একসময় মুরারীশাহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন । সেলিমের স্ত্রীও ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য । বর্তমানে দু'জনেই এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী । হাড়োয়ার বাগানাটি গ্রামের বছর তিরিশের ফারুকও এলাকার সক্রিয় তৃণমূলের কর্মী । কার্তুজ-কাণ্ডে তৃণমূলের এই তিন সক্রিয় কর্মী গ্রেফতার হওয়া নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি । বিজেপি ও সিপিএমের দাবি, কোনও নির্বাচন এলেই তৃণমূল যে বন্দুক-গুলির রাজনীতি শুরু করে । এই ঘটনা তারই প্রমাণ ।
এই বিষয়ে বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, "তৃণমূল আমলে গোটা রাজ্যটাই দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে । পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে সুরক্ষিত নয়, এই ঘটনায় স্পষ্ট । হাসনাবাদ অঞ্চলে এতদিন ধরে কীভাবে ওই দুষ্কৃতীরা এই অবৈধ কারবার করতে পারল, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে আমাদের । এক্ষেত্রে পুলিশের ব্যর্থতা অবশ্যই রয়েছে । পুলিশ শাসকদলের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকে সবসময় । দুষ্কৃতী মানেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগ । এর প্রমাণ আমরা আগেও পেয়েছি । আমরা শঙ্কিত, এরকম আর কত দুষ্কৃতী সীমান্ত ঘেঁষা হাসনাবাদ অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে ।"