ভাটপাড়া, 13 নভেম্বর: নৈহাটিতে উপনির্বাচনের দিন সাতসকালে গুলি চলল ভাটপাড়ায় ৷ চায়ের দোকানে তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি ৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত তৃণমূল নেতা অশোক সাউ ৷ নির্বাচনের সঙ্গে এই ঘটনার সম্পর্ক না-থাকলেও প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল কমিশন ৷
বুধবার সকালে বাড়ির কাছে চার নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তৃণমূল নেতা অশোক সাউ বাজার করতে বেরিয়েছিলেন ৷ প্রতিদিনের মতো স্থানীয় একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন তিনি ৷ সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ গুলি চালাতে চালাতে অভিযুক্তরা চায়ের দোকানেও ঢুকে পড়ে ৷ পরে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে সকেট বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ । গুরুতর আহত অবস্থায় অশোক সাউকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে । পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া ৷
ভাটপাড়ায় গুলিতে তৃণমূল নেতা, কী বললেন অর্জুন ও পার্থ ? (ইটিভি ভারত) এদিকে ভাটপাড়ার পাশেই নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে উপনির্বাচন । তারই মধ্যে এগুলি চালানোর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় । যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এই গুলি চালানোর সঙ্গে উপনির্বাচনের কোনও যোগ নেই ৷ তবে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে ৷ যাতে ভাটপাড়ার ঘটনার প্রভাব 6 কেন্দ্রে উপনির্বাচনের উপর না-পড়ে ৷ নিহত অশোক সাউ ভাটপাড়া পুরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ডের শাসক দলের নেতা ছিলেন ৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভাটপাড়ার চার নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি চায়ের দোকানে কিছু লোক চা খাচ্ছিলেন । সেখানে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক সাউ । আচমকা একদল দুষ্কৃতী সেখানে চড়াও হয় । চারদিকে তারা এলোপাথাড়ি বোমাবাজি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। বোমায় চায়ের দোকানে বসে থাকা আরও কয়েকজন আহত হন । তাঁদের উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকজন দুষ্কৃতী হেঁটে ওই এলাকায় এসেছিল । তাদের সঙ্গে ব্যাগ ছিল। রাস্তার চারদিকে তারা এলোপাথাড়ি বোমা ছুড়তে থাকে । তারপর তারা ওই চায়ের দোকান লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করে । তখন বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ঢাকা সাধারণ মানুষ যে যার মতো ছুটে পালাতে থাকেন । ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি দোকান বন্ধ করে দেন । যদিও পুলিশ আসার আগেই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে চম্পট দেয় । এদিকে, ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক সংঘাত নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন,"এই ব্যারাকপুর কমিশনারেট টাকা নিয়ে ক্রিমিনালকে সিকিউরিটি দেয় ৷ পার্টির তরফ থেকে পার্থ ভৌমিক বলে দেয় এই ক্রিমিনালকে বাঁচাতে হবে ৷ ওই ক্রিমিনালের যত টাকা তোলার সেটা ওদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হয় ৷"
যদিও পার্থ ভৌমিকের কথায়, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ৷ আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে ৷ অর্জুন সিং যে গুণ্ডারাজের চাষ ব্যারাকপুরে করে গিয়েছেন তা সারাতে তো সময় লাগবে ৷ তবে পরিষ্কার হবেই ৷ ভাটপাড়ার যে সবচেয়ে বড় গুণ্ডা তাকে ভাটপাড়া ছাড়তে হবে ৷"