কলকাতা, 26 ডিসেম্বর: আবারও তালা পড়ল আরজি করের আটতলার ওটিতে। সিএফএসএল-এর রিপোর্টকে সামনে রেখে নতুন করে তালা দেওয়া হল অর্থপেডিক-এর এই অপারেশন থিয়েটারে। কিছুদিন আগেই জরুরি বিভাগের আটতলার অর্থোপেডিক-এর ওটি ঘর খোলা হয়েছিল। কিন্তু ঘর খোলা হওয়ার পরেই সেখানে দেখা যায় রক্ত। এর পাশাপাশি প্রকাশ্যে এসেছে সিএফএসএল-এর রিপোর্টও। সেই রিপোর্ট ঘিরেই বাড়ছে সন্দেহ। কারণ, সেই রিপোর্ট থেকে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ ঘটনাস্থল সেমিনার রুম কি না ! তাই এই ঘর খোলার পরেই আবারও ঘর বন্ধ করে দেয় আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরজি কর হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা সিবিআইয়ের মৌখিক নির্দেশ পেয়েছিলাম। সেই কারণে ওই ওটি ঘর খোলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই যখন রিপোর্ট আমরা দেখতে পাই, তৎক্ষণাৎ ঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘর খোলার প্রথম থেকে আমাদের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছিল। এখনও সিবিআই-এর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে এবার লিখিতভাবে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যদি অনুমতি আসে তাহলে ভিডিয়োগ্রাফি করেই আবারও ওই ওটি ঘর খোলা হবে।"
তবে ওটি ঘর বন্ধ হওয়ার জেরে অস্ত্রপচারের জন্য আসা রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ ওই ওটি ঘরেই রয়েছে আর্থস্কোপি মেশিন। ওই ঘর বন্ধ থাকার ফলে সেই মেশিনও বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে না। দু-তিন মাস ধরে আর্থস্কপি করতে আসা রোগীরা ফিরে গিয়েছেন। সেই বিষয় উপাধ্যক্ষ বলেন, "আর্থস্কপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করা হয়। ফলে বহু মানুষই আসেন চিকিৎসা করাতে। কিন্তু বর্তমানে এই মুহূর্তে সবাইকে আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি। প্রায় 25 থেকে 30 জন রোগীকে আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে আমরা চেষ্টা করছি সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে ওই মেশিনটা যত তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের করা যায়।"