গঙ্গাসাগর, 22 ডিসেম্বর: আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি ৷ তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ পুণ্য অর্জনের আশায় ভিড় জমাবেন গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরে। মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে চলবে ডুব দেওয়ার পালা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় 2025 সালের গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু বাধ সাধছে বৃষ্টি ৷
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক থেকে শুরু করে সমস্ত দিক নিজে খতিয়ে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী 6 জানুয়ারি গঙ্গাসাগরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মেলার কাজ কতটা হল তা খতিয়ে দেখবেন । তাঁর পরিদর্শন কর্মসূচি এবং গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ। কিন্তু সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ৷
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে সেজে উঠছে কপিলমুনি মন্দির চত্বর (ইটিভি ভারত) বৃষ্টির জেরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ কার্যত থমকে গিয়েছে। বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা। তাঁরা জানালেন, বৃষ্টির জেরে কাদা হয়ে গিয়েছে চারিদিক ৷ আবহাওয়ার উন্নতি হলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শেষ করবেন। এদিকে, মকর সংক্রান্তির জন্য সেজে উঠছে গঙ্গাসাগর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, মেলা চলাকালীন শীতের প্রাবল্য থাকবে।
রবিবার সকাল থেকে কখনও ঝিরঝিরে, কখনও আবার মুষলধারে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। আর এই বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ফলে বিস্তীর্ণ মেলার মাঠে বাঁশের কাঠামো তৈরি হলেও চারপাশে ব্যরিকেড বানানো যায়নি। স্থায়ী ও অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণের কাজও বৃষ্টিতে থমকে গিয়েছে ।
এবিষয়ে ঠিকাদার ইউনিয়নের সভাপতি হরিপদ মণ্ডল বলেন, "হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি ৷ গঙ্গাসাগর মেলার মধ্যেও জেলা প্রশাসনের দুশ্চিন্তার কারণ, নদী ভাঙন। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গনের সামনেও ভাঙনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গঙ্গাসাগর মেলা আগেই সমস্ত কাজ আমরা সম্পন্ন করব।"