বহরমপুর, 31 জানুয়ারি: রাহুল গান্ধির গাড়ির কাচ বাংলায় ভাঙেনি, ভেঙেছে বিহারে। এমনই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। তাঁর কথায়, "আমার কাছে খবর আছে, বিহারের কাটিহারে গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে। ভাঙা কাঁচ নিয়েই তিনি বাংলায় ঢুকেছেন।" একই সঙ্গে, এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলায় আমরা এটা পছন্দ করি না। বাংলায় কেউ করেনি। বিহারে সদ্য বিজেপি নীতিশ কুমারের মধ্যে জোট হয়েছে। ওদের রাগ থাকতে পারে, ওরাই কিছু করে থাকতে পারে।" রাহুল গান্ধির গাড়ির কাচ ভাঙা ইস্যুতে বহরমপুরে প্রশাসনিক সভা থেকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বহরমপুর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা ছিল। মালদায় সভা করে মুর্শিদাবাদে আসেন মমতা। তার আগেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির গাড়ি কাচ ভাঙার অভিযোগ ওঠে। এদিন বহরমপুরে প্রশাসনিক সভা থেকে তিনি বলেন, "হেলিকপ্টারে আসার সময় আমি একটা ম্যাসেজ পেলাম। তাতে জানতে পারি এক কংগ্রেস নেতা (পরে রাহুলের নাম ধরেই বলেন রাহুল আমার থেকে ছোট) রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙে দিয়েছে কেউ। খবর নিয়ে জানলাম ঘটনা ঘটেছে বিহারে।" পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "ভাঙা গাড়ির কাচ নিয়েই বাংলায় ঢুকেছেন উনি। ফলে এই ঘটনা বাংলায় ঘটেনি।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল ছিল। সিপিএমের জন্য সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। সিপিএম বিজেপির এক নম্বর দালাল।"
ঢিল মেরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে পালটা নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ তাঁর অভিযোগ, রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে যাতে মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়, সেটাই তৈরি করতে চাইছে প্রশাসন ও সরকার ৷
মমতার পালটা এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, “বিহারে কোনও সমস্যা হয়নি ৷ কিন্তু এখানে রাহুল গান্ধির সঙ্গে পদে পদে অসহযোগিতা করা হচ্ছে ৷ অথচ মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা কিংবা বক্তব্য রাখায় কোনও সমস্যা নেই ৷ এখানে পুলিশেরও দেখা নেই ৷ আসলে প্রশাসন আর সরকার চাইছে, এমন কিছু হোক যাতে রাহুল গান্ধির যাত্রা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় ৷ রাহুল গান্ধির মতো ব্যক্তিত্ব থাকলে মানুষের ভিড় হবেই ৷ কিন্তু এখানে পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েই ব্যস্ত ৷ এসব নিয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ নেই ৷ এখানকার পুলিশ অন্ধ৷ এরা সব দেখেও কিছু দেখে না ৷” তবে অধীরের দাবি খারিজ করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়ার প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনাতেও অধীরের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।