কলকাতা, 25 নভেম্বর: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিডিয়ো নিয়ে রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্যভবনের । হাসপাতালের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে । সেই কমিটি রিপোর্ট দেবে স্বাস্থভবনে । তবে ইতিমধ্যেই ওই ভিডিয়োতে দেখা যাওয়া একজন ডোমকে গ্রেফতার করেছেন টালা থানা । যদিও এই ঘটনায় স্তম্ভিত আরজি কর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ।
ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না-ঘটে, তার জন্য এবার থেকে পুরো বিষয়টি নিজে খতিয়ে দেখবেন আরজি কর হাসপাতালের এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় । তিনি নিজেই একজন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক । তাই নিজেই এই বিষয় এবার থেকে তদারকি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ।
এই বিষয় নিয়ে এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে । আমি নিজে থেকে এবার ময়নাতদন্ত করব । ডিসেম্বর মাস থেকে সপ্তাহে একদিন করে আমি নিজে উপস্থিত থাকব । আমার সামনেই হবে ময়নাতদন্ত । কারণ যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা একদমই অনুচিত । এই বিষয় আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব । যদিও একজন বর্তমানে গ্রেফতার হয়েছেন ।"
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালের ময়নাতদন্তের ঘরে দেখা গিয়েছিল চাঞ্চল্যকর ঘটনা । একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ডোম নিজেই বলে যাচ্ছেন দেহের কোথায় কী হয়েছে এবং সেটাই চিকিৎসক লিখে যাচ্ছেন । কোথায় আঘাত মৃতদেহের ? কোথায় ক’টা সেলাই রয়েছে, কী কী সেলাই রয়েছে, সেইগুলো গড়গড় করে বলে চলেছেন অল্পবয়সী এক যুবক । তাঁর পরনে একটা টি-শার্ট । সেই ব্যক্তি হলেন সন্তোষ মল্লিক । আর তাঁর বলা কথা শুনেই তথ্য নথিভুক্ত করছেন ফরেনসিক প্রধান ।
অন্য আরেকটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মর্গের ভিতরে সারি দিয়ে রাখা আছে মৃতদেহ । সেই মৃতদেহ খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করছেন একজন । অন্যদিকে তাঁকে সাহায্য আরও একজন ব্যক্তি । তাঁরা কেউ মর্গের কর্মচারী কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন আছে । কিন্তু নেই সেখানে কোনও চিকিৎসক । তবে ওই ব্যক্তি সবকিছুই নিজের হাতে করছেন । এবার এই ফরেনসিক ল্যাবেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল অভয়ার । এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।