কলকাতা, 5 মে: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও তদন্ত করতে পারে পুলিশ ? রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই আইনজ্ঞ এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বার বার সংবিধানের 361 ধারার রক্ষাকবচ নিয়ে আলোচনা করছিলেন ৷ সংবিধানের 361 ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায় না ৷ এবার সেই রক্ষাকবচের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ প্রশ্ন তুললেন পুলিশি তদন্তের এক্তিয়ার নিয়েও ৷ এক্স হ্যান্ডেলে দুই পাতার একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজভবনের কোনও কর্মী কোনও সহযোগিতা করবেন না ৷
এমনকী পুলিশের সঙ্গে ফোনে বা পুলিশ ডাকলেও রাজভবনের কর্মীরা যেতে বাধ্য নয় বলেও সাফ জানিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ সেক্ষেত্রে তিনি সংবিধানের 361 ধারার 2 এবং 3 উপধারার উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি বা সমগোত্রীয় সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও রকম ফৌজদারি মামলা রুজু করা বা তদন্ত করতে পারে না পুলিশ ৷ সুতরাং পুলিশের তলব বা সমনের সামনে রাজভবনের কর্মী বা আধিকারিকরা কোনওভাবে সাড়া দিতে বাধ্য নয় বলেও সাফ জানিয়েছেন রাজ্যপাল ৷
এই বিবৃিতি জারির দিন দুয়েক আগেই রাজভবনে প্রবেশ করে কলকাতা পুলিশ। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে খোঁজ-খবরও করে তারা। এরপরই এমন বিবৃতি জারি করল রাজভবন। ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। আচমকাই রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। পরে তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও যান। স্বভাবতই এমন খবরে চাঞ্চল্য পড়ে যায়। অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি সেই রাতেই প্রশাসনিক পদক্ষেপ করে রাজভবন । বলা হয় নির্বাচন চলাকালনী রাজভবনে পুলিশ ঢুকতে পারবে না। একইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও কার্যত বয়কট করে রাজভবন। তাঁর প্রবেশের উপর জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি চন্দ্রিমা আছেন এমন কোনও অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল থাকবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও চন্দ্রিমা জানান, সাধারণ মানুষ হিসেবে কোথাও তাঁর প্রবেশ কেউ আটকাতে পারে না।