কলকাতা, 3 জানুয়ারি: নতুন বছরের শুরুতেই রাস্তায় মস্তক মুণ্ডন করে প্রতিবাদে সামিল হলেন 2016 এসএলএসটি শিক্ষকরা ৷ বিগত বছরের 22 এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যোগ্য-অযোগ্য সবার চাকরি চলে গিয়েছে । বাতিল হয়ে গিয়েছে 19 হাজার চাকরি । যার মধ্যে 15 হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ।
অর্থাৎ, 11 শতাংশ অযোগ্য প্রার্থীর কারণে ভুগতে হচ্ছে বাকি 89 শতাংশ যোগ্য শিক্ষকদের । এর প্রতিবাদে 23 ডিসেম্বর শিয়ালদা স্টেশন থেকে বড় মিছিলে অংশ নেন প্রায় 10 হাজার চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা । সেদিন থেকেই তাঁরা বসে পড়েন ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে । আগামী 7 জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে । তারাই আজ মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন ।
এই বিষয়ে ন্যাড়া হয়ে এক আন্দোলনকারী বলেন, "যোগ্য-অযোগ্য ভাগ করার দায়িত্ব আমাদের যে নিয়োগ করেছেন তাঁর । দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করেছে । তাঁরা পরিষ্কার করে দিয়েছেন কারা দুর্নীতি করেছেন । আমাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে সরকার যাতে উপযুক্ত আইনজীবী দিয়ে যারা বৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদেরকে বাঁচান ।"
যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে বলেছেন, "আইনি প্রক্রিয়া চলছে । তাই এই নিয়ে আমি কিছু বলবি না । কিন্তু আন্দোলন করে লাভ নেই । যোগ্যরা চাকরি পাবেন । অযোগ্যরা পাবেন না ।"
পাশাপাশি শুক্রবার বিকাশ ভবনে যান এই আন্দোলনকারী শিক্ষকরা । করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাবার কথা ছিল তাদের । কিন্তু সেন্ট্রাল পার্কের সামনে তাদের আটকে দেয় বিধাননগর পুলিশ । সেখানে বসে অবস্থান চালান আন্দোলনকারীরা । এরপরে তাদের ছয় প্রতিনিধি বিকাশ ভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিয়ে আসেন । তবে এই মস্তক মুণ্ডন নতুন নয় । এর আগে 2016 সালে গান্ধিমূর্তি পাদদেশে নিয়োগের দাবিতে মাথা মুড়িয়ে ছিলেন রাসমণি পাত্র এবং পলাশ মণ্ডল । এই দুজন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী হলেও এখনও তাঁদের নিয়োগ হয়নি ।