বসিরহাট, 16 ডিসেম্বর: সরকারি টাকায় তৈরি সুলভ শৌচালয় জবরদখল ! অভিযোগ, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সংসার পেতে বসেছেন এক ব্যক্তি ৷ এমনকি উঠে যেতে বলা হলেও, তাতে কর্ণপাত করেননি ওই ব্যক্তি ৷ ঘটনা উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট 1 নম্বর ব্লকের দণ্ডিরহাট বাজারের ৷ শৌচালয় দখলমুক্ত করতে, তাই প্রশাসনের দ্বারস্থ বাজার কমিটি ৷
যদিও, দখলকারী সাবির সরদারের দাবি, সুলভ শৌচালয় তৈরির জন্য নিজের জমি দিয়েছিলেন ৷ বদলে পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর ৷ তাই শৌচালয় তিনি ছাড়বেন না-বলে জানিয়েছেন ৷
বসিরহাটে সরকারি শৌচালয় দখল করে সংসার পাতার অভিযোগ ৷ (ইটিভি ভারত) ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে সরকারি টাকায় দণ্ডিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য ওই শৌচালয় নির্মাণ করা হয় ৷ লকডাউনের সময় বাজার বন্ধ থাকায়, ওই শৌচালয় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল ৷ অভিযোগ, সেই সময় সাবির সরদার তাঁর পরিবার নিয়ে শৌচালয় দখল করে নেন ৷ শৌচালয়েই খাট, আলমারি-সহ নানা আসবাবপত্র দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছে ৷ অভিযোগ, পুরো সংসার পেতে বসেছেন তিনি ৷
লকডাউন ওঠার পর বাজার খুলেছে ৷ ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছেন চারবছর ধরে ৷ কিন্তু, শৌচালয় দখল হয়ে থাকায় সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ীরা ৷ একাধিকবার শৌচালয় ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলে বাজার কমিটি ৷ কিন্তু, তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি ৷ তাই শৌচালয় দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা ৷
এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য তথা বাজার কমিটির কর্মকর্তা কওসর মণ্ডল বলেন, "ব্যবসায়ীদের ব্যবহারের জন্য সীমান্ত উন্নয়ন দফতর থেকে কয়েক বছর আগে সুলভ শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছিল ৷ স্থানীয় একটি পরিবার গায়ের জোরে সেই শৌচালয় দখল করে রেখেছে ৷ শৌচালয়ের সামনে তাঁরা ছাউনি তৈরি করেছে ৷ শৌচালয় ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওই পরিবারকে কয়েকবার বলা হয়েছে ৷ কিন্তু, তাতে তাঁরা গুরুত্ব দেননি ৷ আমরা পুলিশকে ওই শৌচালয় দখলমুক্ত করার কথা বলেছি ৷"
আর শৌচালয় জবরদখলকারী সাবির সরদারের দাবি, "শৌচালয় নির্মাণ করার জন্য আমরা জমি দিয়েছিলাম ৷ শৌচালয় নির্মাণের পর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, সেই শর্ত সরকার পূরণ করেনি ৷ তাই আমি কোনও মতেই ওই শৌচালায় ছাড়ব না ৷"
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জমিতে ওই শৌচালয় হয়েছে, তা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন নয় ৷ পূর্ত দফতরের জমিতে ওই শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে ৷ তাই, সাবির সরদার যে দাবি করছেন, তা সত্যি নয় ৷